কোন এক দাওয়াতে এক ভাবী গল্প করছিলেন যে, এক মহিলা যখন তার Husband রাগ হয় তখন তিনি আয়াতুল কুরসি পড়েন আর তার স্বামী বিড়াল হয়ে যান । তখন আর এক ভাবী বললেন,” ভাবী – আয়াতুল কুরসি পড়লে উনার স্বামী বিড়াল হন না বরং ঐ মহিলার সাথের শয়তানটা পালিয়ে যায়” । ভাবীদের এই কথোপকথন আমাকে ভীষন ভাবে অনুপ্রানিত করেছিল। তার পর থেকে আমি আমার জীবনে আয়াতুল কুরসি পড়ার প্র্যাকটিস করা শুরু করলাম । যখন ই বাসায় কেউ রাগ হতো আমি আয়াতুল কুরসি পড়তে থাকতাম । আলহামদু লিল্লাহ এখন এটা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে এবং এতে অনেক শান্তি এসেছে । এক বোনকে যখন আমি এটা বললাম তখন তিনি হেসে বললেন, রাগের সময় তো আয়াতুল কুরসি মনে আসে না । তাকে চেষ্টা করে দেখার জন্য বললাম যে পরে অভ্যাসে পরিনত হবে । আপনি যখন আয়াতুল কুরসি বা অন্য কোন দোয়া পড়ার কথা ভাববেন, তখন কোন কঠিন যুক্তিটা দিয়ে অন্যকে হারানো যায় সে কথা টা আপনার মাথায় আসবে না । এতে ঝগড়াও অনেকটা কমে যাবে । এছাড়াও আমি একটি হাদীস কিচেনের দরজায় লিখে রেখেছিলাম — “যখন তুমি চুপ করে থাকবে ফেরেশতারা তোমার হয়ে উত্তর দিবেন “। আপনাদের নিশ্চয় এই হাদীসটা জানা আছে! “হযরত আবূ হুরায়রা ( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ( দঃ) এর উপস্থিতিতে এক ব্যক্তি হযরত আবু বকর ( রাঃ) – কে গালাগালি করল। নবী করীম ( সাঃ) ও আবু বকর ( রাঃ) উভয়ে নীরব রইলেন। লোকটি গালাগালি থাকলে আবু বকর ( রাঃ) উত্তর দিলেন। তখন নবীজি ( সাঃ) উঠে চলে গেলেন। তারপর আবু বকর ( রাঃ) তাঁর সাক্ষাৎ করে বললেন – ইয়া রাসূলুল্লাহ ( দঃ)! সে আমাকে গালি দিলো, আর আমি নিরব রইলাম। আর যখনই আমি উত্তর দিলাম, আপনি চলে এলেন। এর কারণ কি? নবী করীম ( সাঃ) বললেন – যখন তুমি নিরব ছিলে ফেরেশতারা তোমার পক্ষ থেকে উত্তর দিচ্ছিলো। আর যখনই কথা বললে, ফেরেশতারা চলে গেল আর শয়তান এসে বসলো। তাই আমি শয়তানের সাথে থাকতে অপছন্দ করলাম।এই হাদীসটি আমার আম্মা আমাকে সব সময় মনে করিয়ে দিতেন । আর বলতে “কেউ কিছু বললে চুপ করে থাকবে বোবার কোন শত্রু নাই” । একদিন আমার স্বামীর কথার উত্তর দিতে গেলে আমার ৭ বছরের মেয়ে বলে, মা! তুমি কেনো বাবার কথার উত্তর দিচ্ছ? তুমি না এখানে লিখে রেখেছো যে,চুপ করে থাকলে ফেরেশতারা তোমার হয়ে উত্তর দিবে । সে দিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ওর জন্য অনেক দোয়া করেছি হাদীসটা মনে করিয়ে দেবার জন্য । এর ৯ বছর পর আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুল থেকে এসে যখন বললো -মা! সামিরার মন খুব খারাপ কারন ওর বাবা মা অনেক ঝগড়া করছে । আমি বলেছি আমার মা আমার বাবা রাগ করলে কোন উত্তর দেয় না, চুপ করে দোয়া পরে ।ঐ দিন প্রশান্তিতে মনটা ভরে গিয়েছি্ মনে মনে আয়াতুল কুরসি আর বিড়াল হওয়া গল্প বলা ভাবীদের জন্য দোয়া করেছি । আপনিও আজই আয়াতুল কুরসি পড়ার অভ্যাস করুন, দেখবেন ফল ইন শা আল্লাহ পাবেনই ।
অনেকেই ভাবতে পারে তারমানে কেউ অন্যায় ভাবে কিছু করলে বা বললে চুপ থাকবো নাকি?? অন্যায় কে বাধা দেওয়া তো মু’মিন এর কাজ।
” মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীরা একে অপরের হিতাকাংখী বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে আর অসৎ কাজে বাধা দেয়। ( সূরা তাওবাহ, আয়াত – ৭১)
কিন্তু উপরের আবু বকর ( রাঃ) ঘটনাটা দিয়ে বোঝানো হয়েছে রাগ এর নিয়ন্ত্রণ ও এর ফজিলত। কেউ যখন রাগ করে কথা বলে তখন তার কথার মাঝে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এমন কথা সে বলে ফেলতে পারে যাতে তার যবানের হিফাজত ও আমল কে নষ্ট করে ফেলে। তাই কেউ খারাপ কিছু বললে রাগ করে তার উত্তর না দিয়ে চুপ থাকা ভালো। ফেরেশতারা আপনার হয়ে তাকে উত্তর দিয়ে দিবে।
আলহামদুলিল্লাহ।
খুব ভালো লাগলো। এরকমভাবে সকলের উচিৎ রাগ নিয়ন্ত্রনে সচেষ্ট থাকা
Can I just say what a relief to discover somebody that truly understands what they are discussing online.
You actually realize how to bring a problem to light and make it important.
A lot more people need to check this out and understand this side of the story.
I can’t believe you are not more popular since you most certainly possess the gift. https://ketodrive.net/