আখলাকুর রহমান
.
নামের বাহার বড্ড বেশি – ইজ্জত আলী সরকার,
মানের দিকে সবার আগে আসবে নামটা তার।
জলপুকুরের মামলা চলে ঢাকা শহরে,
আশা এখন আকাশ ছোঁয়া – দেখুক আলো এই আঁধারে।
বাপের দাদা রেখে গেছে বংশের বড় গর্ব,
গ্রামবাসী পাশে আছে, থাকবে সদা সর্ব।
ইজ্জত আলীর জলপুকুরে নেমেছে নিমাই চাঁদ,
পুকুর দখল করতেই হবে ভেঙে গেলেও দাঁত।
শহর মাঝে গ্রাম ছেড়ে দু’শত্রু লড়ে,
আদালতের কাঠগড়াতে শক্ত মনে চড়ে।
উকিল বাবু কঠিন সুরে বলে , “পুকুরখানা কার?”
ইজ্জত আলী হাত উঠিয়ে, “আমার পুকুর আমার”।
নিমাই চাঁদ বলল তেড়ে, “মিথ্যা বলবি না আজ”,
এমন ভাবে বলল যেন, পুকুর তারই সাজ।
কাজী হাঁকে চেয়ারে বসে, “দলিল আছে কার?”
দু’জনেই পুটলি খুলে কাগজ ধরে বলল, “আমার আছে আমার”।
দলিল দেখে চিন্তাবোঝা উঠল কাজীর মাথায়,
দলিলপত্র দু’জনেরই এক! মামলা কীভাবে সাজায়?
ইজ্জত আলীর আসল দলিল, বুড়োকালের ছাপ,
নিমাই চাঁদ টাকা ছড়িয়ে দলিল বানানোর বাপ!
কাঠগড়াতে দু’পাশেতে দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ,
ইজ্জত আলীর দুরুদুরু কাঁপছে আপন বক্ষ।
হঠাৎ করে আদালতে নকল দলিল কারিগর হাজির,
নিমাই চাঁদ মুখ লুকালো, “কী দরকার পাজির?”
জোড়া হাত এক করে মাথা হলো নিঁচু,
বলল, “আমি কারিগর, ভুল করেছি কিছু”।
আদালত জুড়ে বিস্ময় তখন চলছে তোলপাড়,
কার হবে জলপুকুর? সেটাই দেখার জোগাড়।
“টাকার লোভে দলিল দিয়েছি এই নিমাই চাঁদের,
শুধরে নিতে হাজির এখন করুন ক্ষমা এই অধমের”।
কারিগরের কথা শুনে রেগে উঠল কাজী,
নিমাই চাঁদ অবশেষে হেরেছে মামলার বাজি।
জেলঘরে ঠাঁই হলো তার বছর দু’য়ের জন্য,
মুক্তি পেয়ে করবে না অপরাধ কোনো অন্য।
হাসি মুখে ইজ্জত আলী নিজ গ্রামে এল,
মনটা খুশি জলপুকুরটা ফিরেই তবে পেল।
দু’হাত তুলে খোদার কাছে শোকর গুজার করে,
দিনশেষে সততার জয়, মিথ্যারা সব মরে।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
সুন্দর ছিল। কিছু কিছু অন্ত্যমিল একটু দূর্বল হয়েছে। তবে ভাবার্থটা অনেক ভাল। ওভারঅল ভাল ছিল
যেহেতু কবিতা, তাই সেভাবে অন্ত্যমিলের বিষয়টা সেভাবে দেখিনি।
ধন্যবাদ
হা হা হা…
খুব মজার একটি কবিতা।
অসাধারণ লেখনী।
একটি পুকুর নিয়ে ইজ্জত আলী আর নিমাই চাঁদ কতো কি করলো।
শেষ মুহূর্তে ইজ্জত আলী তার জলপুকুর পেলো।
নিমাই চাঁদ বাজিতে হারলো।
শুভ কামনা রইলো।
নিঁচু-নিচু
শুনে-শোনে
বাহ্ দারুণ লিখেছেন। একটা মামলা আর বাস্তবতা ফুটে তুলেছেন। পুকুরের জন্য নিমাই চাঁদ আর ইজ্জত আলী কি না করলো। যদিও পুকুরটা শেষে প্রমাণিত হলো যে ইজ্জত আলীর। পড়ে অনেক ভালোই লেগেছে আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।