শোক-সঙ্গী
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,000 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

আফরিন ত্বোহা

‘শোক-সঙ্গী’

অনেকদিনই তো হলো,
কলিংবেলটা চাপছে না কোনো গৌরবর্ণ হাত। সকালে ঝি আসে, দুপুরে গোয়ালা আসে, বিকেলে আসে উপরতলার বৌদিও। শুধু সন্ধ্যেয় আসে না খুব চেনাজানা কেউ, খুব ঘেমে-নেয়ে, হন্তদন্ত হয়ে বলে না তো কেউ, ‘আরে গেলে কই! দরজা তো খুলো!’
অনেকদিনই তো হলো,
চায়ের কাপ দুটোতে চামচ নাড়ি না টুংটাং, টিভির রিমোট চুপিচাপি পড়ে থাকে টি-টেবিলের উপর। গাল ফুলিয়ে বসি না পেছন ফেরে খুব, জুড়তে বসি না সাদা শার্টে খুলে যাওয়া বোতাম। কারো গায়ে এসে ধুম করে ছুড়ে বলি না, ‘অতো পারবো না আমি আর!
আমারো তো জব আছে! বাবুটার স্কুল আছে!’
অনেকদিনই তো হলো,
রান্নাঘরে এসে ফিসফিস করে বলে না কেউ, ‘গিন্নীর খুব কষ্ট হচ্ছে? দেখি দেখি কত ঘেমেছে!’
আমিও বলি না মুচকি হেসে ‘রান্না তাহলে সাহেব করছে?’ দুজনের হোহো হাসিতেও কাঁপে না মধ্যরাত, উচ্ছ্বসিত হয় না আর আকাশের ঐ একলা চাঁদ।
তবে অনেকদিনই হলো,
আমার এখন নিঃশ্বাস নিতে প্রায়ই কষ্ট হয় হুটহাট, যখনতখন ভিজে উঠে নাছোড়বান্দা চোখের ঘাট, সমস্ত ঘরজুড়ে কলরব তুলে হতচ্ছাড়া শূন্যতারা, ফেলে যাওয়া তোমার সমস্ত স্মৃতির ভীষণ তাড়া।
আমার কেমন একলা লাগে,
আমার তুমি কোথায় গেলে?
কেমন করে আছো ফেলে?
নক্ষত্র হয়ে কি আমায় দেখো? সেদিন কি খুব ভয় পেয়েছো গো? রক্তমাখা ছেঁড়া শার্টে, হাইওয়েতে শুয়ে থেকে,
খুব বুঝি কষ্ট হয়েছে?
মরে গিয়ে কি বেঁচে গেলে? আমাকে যে গেলে মৃত ফেলে।

সম্পর্কিত পোস্ট

নির্বাক_পাখি

নির্বাক_পাখি

হে কবি,      শক্ত করে ধরো,       তোমার অস্ত্র। আবারো,      তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে,      রক্তে রঞ্জিত করে দাও,      এই শুভ্র ময়দান। হে কবি,     শক্ত করে ধরো,     তোমার অস্ত্র। যেভাবে,     কবি নজরুল ধরেছিল,      ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে,    কবি সুকান্ত চেয়েছিল,  ...

তুলসী বনের বাঘ

তুলসী বনের বাঘ --আল-মুনতাসির। চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! ছদ্মবেশে ছড়িয়ে দিলো বিষম বিষের নাগ। ইচ্ছে করে কামড় খেলে, ভরলে হৃদয় বিষের নীলে কী করে আর দেখবে প্রিয় কৃষ্ণচুড়ার বাগ ? চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! চোখে তোমার বিষের তেজে পর্দা এলো নেমে, জগত...

ভালোবাসা রং বদলায়

: ভালোবাসা রং বদলায় লেখা: অদ্রিতা জান্নাত ছোট মেয়েটা খুব করে কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করেছিল আমি যেন একটি হলেও তার কাছ থেকে ফুল কিনে নেই, ঠিক যতবার আমি তাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলাম সে যেন ঠিক ততটাই আমার পিছু ছুটতে লাগল। আচ্ছা, এই যে শিশুটা যে কিছু টাকার বিনিময়ে আমাকে...

৪ Comments

  1. আরাফাত তন্ময়

    কিছু বলার ভাষা নেই…….
    কিছু বানানের দিকে একটু নজর রাখবেন।
    অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  2. আফরোজা আক্তার ইতি

    কবিতাটা পড়ে সত্যিই বলার মত কোন ভাষা নেই। অসাধারণ একটি কবিতা। কবিতায় একই সঙ্গে স্বামীর প্রতি গভীর প্রেম এবং তার সাথে বিচ্ছেদের তীব্র বেদনা ফুটে উঠেছে। ওপারে আকাশের তারা হয়ে তার সঙ্গীনীকে একা ফেলে গেছে।
    খুবই বেদনাদায়ক কবিতা। শব্দচয়ন খুব সুন্দর। বানানে খুব বেশি ভুল পাই নি।
    দুটোতে- দু’টোতে হবে।

    Reply
  3. Halima tus sadia

    বেদনাদায়ক কবিতা।
    চমৎকার লিখেছেন।

    সংসার জীবনে দুঃখ কষ্ট থাকবেই।দুজনকেই মানিয়ে নিতে হয়।তবে একজনকে ছেড়ে আরেক জন হুট করেই জীবন থেকে চির বিদায় নিয়ে চলে গেলে খুব খারাপ লাগে।স্বামী স্ত্রীর মিষ্টি খুনসুটির কথা খুব মনে পড়ে।তখন শুধু স্মৃতিকে নিয়ে বাঁচতে হয়।
    বানানে কোন ভুল নেই।
    শুভ কামনা রইলো

    Reply
  4. মাহফুজা সালওয়া

    ভাবের মূর্ত প্রকাশ।
    খুব সুন্দর করে আগাচ্ছিলো লাইন গুলা।
    শেষের দিকে মনে হলো,ছন্দপতন হয়েছে।
    অল্পকিছু বানান ভূল ছিলো,শোধরে নেবেন।
    চর্চা চালিয়ে যাবেন।শুভকামনা রইলো।

    Reply

Leave a Reply to Halima tus sadia Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *