গল্প লেখকঃ
Rabiul Hosen Mashrafe
(এপ্রিল -২০১৮)
…………………
সিয়াম এলাকার বখাটে একজন যুবক। বয়স ২৩ ছুঁই ছুঁই। সারাদিন বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়ানো,বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, নেশা করা ইত্যাদি হচ্ছে তার দৈনন্দিন কাজ।
ছেলে বড় হয়েছে। তাও বাবার টাকাতেই খায়। কোন কাজকর্ম করে না। মা-বাবা কিছু বললেও তা এড়িয়ে যায়।
সেই এলাকাতেই শাকিলা নামের একজন মেয়ে ছিল। শাকিলা ছিল অত্যন্ত সুন্দরী ও ধার্মিক একজন মেয়ে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। এক কথায় এমন মেয়ে আজকাল নেই বললেই চলে। একদিন সিয়াম শাকিলাকে দেখলো এবং তাকে ভালো লেগে গেল। আর এ বিষয়টা সে শাকিলাকে জানিয়েও দিল। শাকিলা সরাসরি কোন কথা না বলে কৌশলের আশ্রয় নিল।
শাকিলা: দেখ,তুমি কি রকম ছেলে সেটা আমি জানি। কিন্তু আমাকে ভালোবাসতে হলে তোমাকে কিছু ওয়াদা করতে হবে এবং যাথাযথভাবে তা পালন করতে হবে।
সিয়াম: কি ওয়াদা,বলো।
শাকিলা: ১) তোমাকে নেশা করা ছাড়তে হবে।
২) আগামী ৪০ দিন তোমাকে জামায়াতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
সিয়াম: (একটু দূর্বল কন্ঠে)আচ্ছা ঠিক আছে, তাই হবে।
শাকিলা: মনে রেখো তোমার নামাজ যেন আল্লাহকে দেখানোর জন্য হয়।
তারপর দু’জনই চলে গেলো এবং শাকিলার শর্ত মতো সিয়াম খারাপ ছেলেদের সাথে মেশা বন্ধ করে দিল। পরদিন থেকেই জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করা শুরু করলো। এদিকে শাকিলা নজর রাখছে তার ওপর।
প্রথম ১০ দিন সিয়াম নামাজ পড়লো। কিন্তু অনূভুতি একই রয়ে গেল।
২৫ তম দিনে সে একটু উপলব্ধি করলো,সে এতদিন অন্ধকারে ছিল।
৩০ তম দিনে সে হঠাৎ বা-মা ও ভাই-বোনদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করতে শুরু করলো।
এবং ৪০ তম দিনে সে তার পুরোপুরি ভুল বুঝতে পারলো।
কথামতো শাকিলা তার সাথে দেখা করলো।
শাকিলা:-আলহামদুলিল্লাহ। তোমার কর্তব্য পালন দেখে আমি বিষ্মিত হয়েছি।
(মৃদুকান্না মিশ্রিত কন্ঠে) এখন তুমি যা বলবে তাই করবো।
সিয়াম: না, আজ আর তোমাকে বলবো না আমি ভালোবাসি। আমি বুঝতে পেরেছি যে আমি এতদিন অন্ধকারে ছিলাম। আমি এখন বুঝতে পেরেছি, ছেলে ও মেয়ের শারীরিক ও আধ্যাত্নিক সম্পর্কের জন্য বিবাহই একমাত্র পবিত্র বন্ধন। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?
ওয়াদা মতো শাকিলা সিয়ামের কথা রাখলো এবং পূর্ণ ইসলামিক নিয়মে দু’জন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো।
০ Comments