সাইফুল ইসলাম জীবন
লাল সবুজের পতাকা উড়ছিল
শহর, গ্রাম, মহল্লায় মহলায়।
স্বাধীনতার স্বাদ ছুঁয়ে গিয়েছিল
সমগ্র বাংলায়।
নব উদ্যমে
জেগেছিল এক অধ্যায়।
আমাদের বাংলাদেশ যিনি সূচনা করেছে,
সে কি জানতো তাঁর সাথে কি হবে?
কেউ জানতোনা,তিনিও জানতোনা
কি হতে চলছে? কেমন হবে?
তবে তিনি অগাধ –
বিশ্বাস করতেন দেশের মানুষকে
অবিচল আস্থায় বলতেন
কোন বাঙালী মারবেনা আমাকে।
তিনি যে জানতোনা সর্ষের ভেতর ভূত চেপে আছে,
তবে কি হয়েছিল সেদিন?
পনেরো আগস্ট ভোরের আলো
ফুটে উঠেনি তখনও,
আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠেছে ঢাকা
ঢাকার রাজপথ তখনও ফাঁকা,
বঙ্গবন্ধু তখন ঘুমিয়ে আছে
ধানমন্ডির বত্রিশ নং সড়কের
ছয়শত -সাতাত্তর নং বাড়িতে।
ঘাতের দল ছুটে আসছিল
দানবের মত ট্যাংক, কামান
মেশিনগানসহ অস্ত্রসস্থ নিয়ে
টার্গেট বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবার,
ঘাতকেরা ঘিরে ফেলে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি
তখন ভোরের আলো কিছুটা পরিষ্কার ।
ওমনি শুরু হয়ে গেলো গুলাগলি
বিকট শব্দে আতঙ্কিত, সমগ্র ধানমন্ডি।
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে চারপাশে থাকাতে থাকে বঙ্গবন্ধু,
কানে বাজে তখন
পরিবারে চিৎকার চিৎকার!
ঘাতের দল জাপিয়ে পড়ল
হঠাৎ বুলেট এসে লাগলো
বঙ্গবন্ধু বুকে,
মাটির বুকে শুয়ে গেলো,
বুলেটে বুলেটে ক্ষতবিক্ষত করল
বঙ্গবন্ধুকে,
ওরা রেহায় দেয়নি বঙ্গবন্ধু পরিবারকে
রেহায় দেয়নি ছোট্ট শিশু রাসেল কে,
কালোরাত জন্ম দিল কলঙ্ক জাতিকে
ওরা মানুষ নয়! ওরা মানুষ নয়!
বাংলার বুকে পিতা হারানোর বেদনা
আজও বয়ে যায় করুণ শোকে!
মুজিব তুমি আজও আছ বহমান
কোটি বাঙালির বুকে।
বাহ্,চমৎকার।ছন্দে,তালে,শব্দের বুননে হৃদয়ছোঁয়া এক কবিতা।
শেষ পর্যন্ত প্রাণপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর কথাটি ভুল প্রমাণিত হলো।বাঙলার কিছু ঘাতকই তার প্রাণকে কেড়ে নিলো।হায়রে বাঙালি!
গভীর অনুভূতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দেখতে হয়।এমন বাঙালি জাগ্রত নেতা আর নেই।তাকে নিজ চোখে না দেখেও তাকে ভালোবেসে এ চোখ সিক্ত।
বানানের একাধিক ভুল কবিতার সৌন্দর্য্যে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে।
ধন্যবাদ
ভালো লাগলো কবিতাটি।বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখা।
বড়ই খারাপ লাগে সেই ১৫ আগষ্টের কথা স্মরণ করলে।
নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করেছে।কাউকে রেহায় দেয়নি।
তবে মুজিব আজও বহমান কোটি বাঙালির বুকে।
শেষের চার লাইন ভালো লেগেছে।
বাংলার বুকে পিতা হারানোর বেদনা
আজও বয়ে যায় করুণ শোকে,
মুজিব তুমি আজও আছ বহমান,
কোটি বাঙালির বুকে।
মহলায়–মহল্লায়
জানতোনা–জানতো না
জাপিয়ে–ঝাপিয়ে
বঙ্গবন্ধু বুকে–বঙ্গবন্ধুর বুকে
শুভ কামনা রইলো।
১৫ ই আগস্ট, সংঘটিত হয়েছিল ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়।
কবিতায় ছন্দ পতন ঘটেছে। আর এতে কতগুলো ভুল চোখে পড়লো।যেমনঃ
মহলায়=মহল্লায়,
আমাদের বাংলাদেশ যিনি সূচনা করেছে = আমাদের বাংলাদেশ যিনি সূচনা করেছেন,
কেউ জানতোনা,তিনিও জানতোনা=তিনিও জানতেন না। (এরকম ভুল আরো আছে)
গুলাগলি=গোলাগুলি,
জাপিয়ে= ঝাঁপিয়ে,
ঘাতের দল জাপিয়ে পড়ল=ঘাতকের দল ঝাঁপিয়ে পড়ল,
আরো সুন্দর লেখা কামনা করি। 🙂
নবাব সিরাজ ঊদ্দৌলাকে যেমন তারই বিশ্বাসী লোক মিরজাফর হত্যা করেছিল, ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুও তারই বিশ্বাসী বাঙালীর হাতে হত্যা হয়েছিলেন। শুধু তিনিই না, হত্যা হয়েছিল তার পুরো পরিবার এমনকি ছোট্ট শিশু রাসেলও। খুব সুন্দর করে ছন্দমিল রেখে কবিতাটি লিখেছিলেন এবং মনকে কাঁদানোর মত। তবে বানানে অনেক ভুল আছে। আর স্পেসের ব্যবহার বেশি হয়েছে।
মহলায়- মহল্লায়।
তিনিও জানতোনা- জানতেন না।
গুলাগলি- গুলাগুলি।
বঙ্গবন্ধু বুকে- বঙ্গবন্ধুর বুকে।
শুভ কামনা রইল।
অনেক ভালো লেগেছে।
সাবলীল লেখা মনে হলো।
কনসেপ্টটাও খু্ব সুন্দর।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যতই লেখা হবে ততই কমতি হবে না।
শুভ কামনা।