রাত্রি যখন গভীর হয় সকলে ঘুমায় আমি জেগে থাকি।
খোলা আকাশের বুকে নক্ষত্রের গায়ে লেখা রয়েছে কি-না তোমার নাম আমি খুঁজে খুঁজে দেখি।
আমি নীল জল, মরুভূমি, সাগর, পাহাড়
আকাশ-পাতাল সব তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি;
আকাশের ওই সবচেয়ে উঁচু তারাটিকে পাথর চোখ মেলে দেখেছি
তুমি আছ কি-না!
তুমি আমার স্বপ্ন সমুদ্র
এখানে গাঁও শালিকেরা ডানা মেলে উড়ে যায়
পথ দেখায়, তোমাকে ডাকে।
তুমি স্মৃতি হয়ে জ্বলো এই বুকে
তুমি চিতা বহ্নিমান
হৃদয়ের প্রতিটি কম্পনে তুমি আছ বেগবান
তুমিই এক অনন্য নিয়তি আমার।
নিষ্পলক তাকিয়ে থাকি অসীম আকাশের দিকে
সুনীল সেই শূন্যতায় যদি পাই তোমার দেখা!
তুমি জেগে আছ আমার বুকে চির অম্লান
জ্বলন্ত নক্ষত্রের মতো।
বাদলের মাতাল করা বাতাসে
তুমি আসবে আমার কাছে
তোমার আগমনী অনুভাব করি,
আমি লিপ্ত হই তোমার আরাধনায়
বৃষ্টির তরল নিঃশ্বাসে
অবুঝ শিশুর মতো সরল বিশ্বাসে।
তুমি আমার স্মৃতির অঙ্গনে যতনে বেড়ে ওঠা রজনীগন্ধার একগুচ্ছ শুভ্র ডাঁটা,
রাতের অন্ধকারে আমার নিঃশ্বাসে
অহর্নিশ জেগে আছ তুমি
যুগ যুগ ধরে নিভৃত গোপনে;
তোমার কথাই যেন বলে ফাগুনের দখিনা বাতাস।
যে কথা মৌমাছির গুঞ্জরে নীরবে
যে কথা বাতাস বলে চুপিসারে
যে কথা তোমাকে আজও হয়নি বলা
সেই কথাই যেন শুধু সিম্ফনি হয়ে বাজে হৃদয়ে!
সমস্ত দ্বিধার দেয়াল ডিঙিয়ে তুমি আসবে
নীল সমুদ্রের তীর উজান পেরিয়ে
দুঃসাহসী নাবিকের মতো
তুমি আসবে জানি
আমার নিস্তব্ধ নিশীথের নিঃসঙ্গ উপত্যকায়।
এখানে ধীরে ধীরে গড়া প্রেমের স্তম্ভ জেগে আছে
একটি শাশ্বত
সূর্যের অনন্ত প্রতীক্ষায়….
——–বুনোহাঁস
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
মোহাসিনা আপু এ কবিতাটার লিংক দুই বার দিয়েছেন।
একবার পড়ছি আবার ও পড়লাম।
অসাধারণ! প্রিয়জনকে পাওয়ার প্রতীক্ষা যে অসীম হয়, রাত পেরিয়ে যায়, তারার মেলা শেষ হয়ে ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে যায় চারদিক, তবুও দেখা মেলে না প্রিয়তমার। সে কি আসবে? এই প্রতীক্ষা যে দীর্ঘসময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়।
অনেক সুন্দর লিখেছেন। শুভ কামনা অনেক।
আপু একই কবিতা দুইবার দেওয়া হয়েছে। ১৯নাম্বারে এটা পড়েছি