#লেখকঃ #হাসান_কাজী।
………………
পর্বঃ ০১।
—- এ অাপনি হাসান ত..?
—- হ্যাঁ। অামি হাসান কাজী।
—- অামাকে চিনতে পারোস না। অামি ইতি..
—– ( বুকের মাঝে নরা) কেম। আছিস..?
—- ভাল। তুই..?
—- ভাল। অনেক ভাল
—- বিয়ে করেছিস..।
—– না। তবে করব। পরিবার মেয়ে দেখছে।
—- ওহ্।
—- তোর খবর কি? কয় বাচ্চা..?
—- ( একটু হেসে) ১ ছেলে।।
—- ভাল ই অাচোস তাহলে?
—- তুই বর্তমান কি করিস.?
— এই ত একটা ছোট খাটো চাকরি।
— ভাল। যাই তাহলে..
— হ্যাঁ।
দীর্ঘ ৩ বছর পর অাজ দেখা হয়েছিলো ইতির সাথে। জিবনের প্রথম ভালবাসা ছিল। ওরে অনেক ভালবাসতাম। কিন্তু ও শুধু অবেহলা করছে । জিবনো বুঝতে চায় নি অামার মনের কথা। অনেক বার ফিরে গেছি ওর এক টুকরো ভালবাসা পেতে। বাট এখন অফিসের কাজ নিয়া ব্যাস্ত তাই অার মনে পরে না। ইন্টার ১ম বর্ষে থাকা কালিন দেখা হয়,বন্ধুত্ব্য তারপর ভালবেসে ফেলি ওরে। বলার পর শুধু ই অবহেলা করছিলো। এখন সুখী ই অাছি। বাট প্রথম ভালবাসা ত।
এই সব নানান কথা বলতে বলতে বাসায় ফিরলো হাসান। অাজ অাবার মন টা খারাপ হল। বাট নো মোর।
৫ দিন পর অাবার অফিসের সামনে দেখা। হাসান একটা সরকারি দপ্তরি সিনিয়র অফিসার। বাসায় ফিরার পথে অটো তে হাসান অার এক বোরকা পরা মহিলা। হঠাৎ সেই চেনা কন্ঠ।
ইতি = কেমন অাছোস?
হাসান = ভাল। তুই?
ইতি = হ। ভাল।
হাসান = কোথায় চাস?
ইতি = এই ত বাড়ি।
হাসান = ভাল। স্বামী, সংসার,ছেলে। কত সুখি তুই।
ইতি = অাসলে বিয়া হয় নি অামার। তোর অফিসে একটু কাজ ছিলো। তাই গিয়েছিলাম। বোনের মেয়েটা বৃত্তি পাইছে ত?
হাসান = মিথ্যা কেন বলছিলি?
ইতি = সরি। কি করব বল। তুই ত ভাবছোস অামার বিয়ে হয়েছে। তাই একটু মজা করলাম।
পৃথিবী কত অজব? অামাকে কষ্ট দিয়ে ও মজা পায়। হাসান মনে মনে ভাবল।
পর্বঃ ০২।
সেদিন সারাটা পথ কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরল হাসান। মনের ঘহিনে ঝমে থাকা হাজার ও কষ্ট ও স্মৃতি গুলো মনে পরে। ছেলে মানুষ ত তাই কাদে নাই। কিন্তু জিবনের অাশা মাটি হওয়া টা উপভোগ করল। বাড়ি এসে মা- বাবার সাথে দেখা করে নিজের ঘড়ে মন মরা হয়ে ঘুমাই রইল বাবা বললঃ
— কি রে কোন সমস্যা।
— না অাব্বা। অাজ অফিসে একটু কাজ ছিলো তাই।
— এত অল্প বয়সে কত কষ্ট করিস।
— কি কষ্ট। মুখে হাসি নিয়ে বলে, মাথার উপর ফ্যান। গদি অালা চেয়ার। অারাম অার অারাম।
— হ বুঝি না।
— হুমমম।
— শোন অার একটা খবর অাছে?
— কি?
— নতুন অার একটা মেয়ে দেখছি..। তোর মা বলল খুব মিষ্টি অার লক্ষি।
— যাও ত।
—- শোন ফূলসাটি বাড়ি। কাল যাবি কিন্তু দেখতে।
বুকের কান্না অাজ কত বেরে গেল। ফূলসাটি গ্রামের মেয়ে ই ইতি। অার তার গ্রামে দেখতে হবে মেয়ে। সত্যি পৃথিবীটা নিষ্টুর। মা অাবার বলেছে তার ভাল লাগছে। যেতেই হবে..। কিন্তু ইতি কে বার বার মনে পড়ে কেন?
সারা রাত জেগে জেগে ইতির সাথে কাটানো প্রতিটা স্মৃতি তার মনে করতে লাগল..! অার কখন যে কান্না শুরু করল। নিজেও জানে না।
— কি পাপ করছি অামি। দেখতে কি খুব খারাপ? যে ভালবাসে নাই।
মন কে বুঝায়, অামি ত ওরে ভুলে গেছি। দূর কত মেয়ে অাসল গেলো। বৌ কে ভালবাসব। এটাই বেটার। এ বলে কান্না থামালো। পরের দিন ভোর সকালে। বাড়ি এল হাসানের এক বন্ধু। বন্ধুটা এসে লাথি দিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিল।
ও বন্ধুরর নাম সাব্বির।
— কি রে তুই?
— হুমমম। কাল রাতে অাসছি। তোর বিয়ে
খাবো তারপর যাবো।
— ঐ সালা। সেনাবাহিনি হয়ে ফাউ কথা শিখছো?
এমন সময়ে মা আর ছোট মামা।
হাসানঃ- মামা অাপনিও..
মামাঃ- হ। রেডি হ। অাজ অফিস দরকার নাই।
হাসানঃ- না না। কাজ অাছে।
মা পছন্দ করছে। অাব্বাও রাজি। অামার কোন অাপত্যি নাই।
মাঃ- তার পরেও। সংসার করবি তুই।
হাসানঃ মা অামি ত অাগেই বলছি। তোমার পছন্দ ই অামার। তবে মেয়েটা একটু ফরসা হলে তোমার দাদুরাও ফরসা
হবে। এই অার কি?
মাঃ বাজান ভাল। পাগলামি করিস না।
হাসানঃ ওকে। তাহলে সন্ধ্যায়।
মামা ও সাব্বিরঃ ওকে ওকে
মা রাজি তাই রাজি হল হাসান। সাব্বির এক অদ্ভূত কারণে হাসে। অার বলে ইতি না হল ফূলসাটি ই ত..। কেউ বুঝল না মনের কথা। যে পথে কত সন্ধ্যা কাটায়ছে ইতি কে এক পলক দেখার জন্য। সেই পথেই অন্য মেয়ে কে দেখতে হবে।।ঘোটক কে ফোন দিয়ে জানতে পারল যে, মেয়ে তার সেম ইয়ার এ পড়ে । যদিও এখন অার পড়ে না। কি করার মা-বাবা রাজি..। অাল্লাহ্ মা -বাবার চয়েস কে খারাপ করে না। অতিত কে ভুলা উচিত..। সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে..
[৩য় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।
Lekhar man barate hobe..jothesto banan vul ache..lekhok shaheb, banangulur proti shochesto houn..dhonnobad