খুশিনা খাতুন
মেয়ে, তুই রাধতে পারিস??
সাজতে?চুল বাঁধতে?
সব কথায় চুপ থাকতে?
না!! সেকি?
তুই যে মেয়ে জানিস না তুই নাকি?
শোন মেয়ে, মন রাখবি কাজে।
উফফ! আবার না?
গোঁয়ার মেয়ে! বাজে!
কি বলছিস..?
চাকরি-বাকরি, পড়া!
মেয়েছেলে, একপা ও হবেনা নড়াচড়া।
দেশে বুঝি শিক্ষক নাই
তুই পড়াবি ইস্কুলে?
আমার বাপু,রেঁধে বেড়েই জীবন গেল চলে।
এই মেয়ে,এ কি?মাছ কাটছে দ্যাখো।
দুদিন বাদ শ্বশুর ঘর;
কাজকম্ম শেখো।
ও রুপার মা,
তোমার বুঝি চোখেই পড়ে না।
উনিশ তো পেরিয়ে যায় ;
মেয়ের বুঝি বিয়ে দেবেনা?
রূপা তোমার দিব্যি মেয়ে,
রূপের বালাই মন্দ নয়,
নির্লজ্জ মুখের ধার ঐটা কেবল ভয়।
রূপা বলল মুচকি হেসে,“খুব তাড়া?
তোমাদের কী আয়ু শেষ?
আর কটা দিন গোনো
আমিই গড়বো নতুন দেশ।”
ভালো ছিল।
লেখক কি কলকাতার নাকি? লেখা দেখে বাংলাদেশী মনে হচ্ছে না।
তবে যাই হোক, সুন্দর একটা বাস্তবতা তুলে এনেছেন কবিতায়।
আমাদের সমাজে নারীদের কে সর্বদায় থালা বাসন ধোয়া, আর রান্নার কাজের জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। নারীদেরকে শিক্ষা থেকে দূরে রাখছে। সবাই এটাই ভাবে, মেয়ে যেনো ঘর গৃহস্থালির কাজ গুলোই ভালো ভাবে করে।
কিন্তু, একজন মেয়ে শিক্ষিত হলে পুরো জাতির ভালো–মন্দের দেখাশোনা করবে, সেদিকে কারো খেয়াল থাকেনা।
যতি চিহ্নের পর স্পেস জরু।
আসসালামু আলাইকুম। এক সময় মেয়েদের ঘরে বন্দি রাখার প্রবণতা ছিল। কিন্তু যুগটা বদলে গেছে। এখন আর সেই নিয়ম তেমন একটা নেই। কবিতার মাধ্যমে মেয়েদের নারী শিক্ষার ও নারী স্বাধীনতার দিক ফুটে উঠেছে। কিছু কিছু ভুল রয়েছে যা না থাকলে বেশি ভালো লাগতো। নিচে ভুলগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো :
কি বলছিস? – কী বলছিস?
তোমাদের কী আয়ু শেষ? – তোমাদের কি আয়ু শেষ?
যতি চিহ্নের পর স্পেস হবে।
আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
চমৎকার লিখেছেন।
বেশ সুন্দর একটি কবিতা।
মেয়ে মানুষ বয়স আঠারো পার হলেই অনেক কিছু।
আর স্কুলে পড়াবে বলে যে রান্না করা শিখতে হবে না,কে বলেছে।
পড়াশোনার পাশাপাশি সবই করতে হয়।
ইস্কুলে–স্কুলে
শুভ কামনা রইলো।
রূপা বলল মুচকি হেসে,“খুব তাড়া?
তোমাদের কী আয়ু শেষ?
আর কটা দিন গোনো
আমিই গড়বো নতুন দেশ।”ভালো ছিলো
শুভকামনা নিরন্তর
সেকি-সে কি
হবেনা-হবে না (না আলেদা বসে)
ইস্কুলে-স্কুলে
দুদিন- দু ‘দিন
কাজকম্ম-কাজকর্ম
দেবেনা-দেবে না
কী-কি
যাইহোক ভালো ছিল, তবে তেমন ছুঁতে পারেনি। আর বানান ঠিক করে দিলাম দেখে নিবেন। শুভ কামনা রইল।