লেখা মাহবুব আলম
সকাল কয়টা বাজে সঠিক জানি না।আম্মার ডাক শুনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলাম।সকাল ৮ টা বাজে।রাতভর বইয়ের সাথে গল্প করে কখন টেবিলের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই।আজকে আমার চাকরির একটা ইন্টার্ভিউ আছে।এজন্য গতকাল রাতে আম্মাকে বলেছিলাম ৯টার দিকে ডেকে দিতে।কিন্তু আম্মা এতো আগে ডাক দিয়ে কাঁচা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতেই বিরক্ত না হয়ে পাড়লাম না।আম্মা বললো,”তোর একটা চিঠি এসেছে”।
চিঠির সাথে আরেকটা কার্ড আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে আম্মা রান্নাঘরের দিকে চলে গেলো।কার্ডটা বিয়ের।ভাবছি কার্ড?তাও আবার বিয়ের, এই হতভাগাকে কে পাঠালো?যার জনসাধারণ একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে একবেলা ভাত খাওয়ার মুরোদ নেই!
ভাবতে ভাবতে খুলেই ফেললাম।
আমার বন্ধু হায়াত লিখেছে।আগামী ১২ জুলাইতে ও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছে।তাই বিশেষভাবে প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে বিয়ের কার্ডসহ নিমন্ত্রণ জানিয়েছে।না গেলে বন্ধুত্বের বন্ধন ভাঙার ভয়ও দেখিয়ে লিখে পাঠিয়েছে।
হাতের আঙ্গুলের করে আরেক আঙ্গুল রেখে বিয়ের আর কয়দিন বাকি গোনার চেষ্টা করছি।অবশেষে ফলাফল আর মাত্র ছয়দিন বাকি।
ভাবছি কি করবো।ছোটবেলা এবং স্কুল লাইফের বন্ধু,অন্তত দুদিন আগে না গেলে খারাপ দেখায়।
ভাবতে ভাবতে রেডি হয়ে চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে চলে গেলাম।
আলহামদুলিল্লাহ,চাকরিটা হয়ে গেলো।এখন আরেক নতুন ঝামেলা সামনে আসলো।নতুন চাকরি আর বন্ধুর বিয়ের দাওয়াত।
অনেক ভেবে ঠিক করলাম তিন দিন চাকরি করে অতঃপর কিছু দিনের ছুটি চেয়ে নিবো।দেখতে দেখতেই তিন দিন চলে গেলো।আমি এখন অফিসের বসের সামনে দাঁড়িয়ে।ছুটি চাইতেই ওনি ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললেন,তিন দিন আগে জয়েন করলে আর আজ ছুটি?হবেনা।যাও গিয়ে অফিসের কাজে মন দাও।
“না” শব্দ শুনে মাথা গরম হয়ে গেলো।অতঃপর বসকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করালাম।তবে তিনি সাথে একটা শর্ত জুড়ে দিলেন।ছুটি কাটিয়ে আসলে ওভারটাইমে কাজ সারতে হবে।অপছন্দনীয় এক শর্ত তবুও রাজি না হয়ে উপায় নেই।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এখন তা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ পাচ্ছি।শহুরে মানুষ,তাই নদী,বিল,পুকুড় কখনোই তেমন বেশি একটা দেখা হয়না।বন্ধুর বাড়ি গ্রাম অঞ্চলে।তাই গ্রাম পর্যন্ত আসতে আসতে একের পর এক নদী,ছোট নদী,খাল দেখেই চলেছি।অনেকদিন পর বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছি,তাও বন্ধুকে না জানিয়ে।অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে।এখন শুধু পুরনো স্মৃতিই ভরসা।
নদীর পর মাঠের আলপথ দিয়ে হাঁটছি।এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে।যা কবিকুল শত বৎসর আগেই কবিতায় প্রকাশ করে গেছেন।হঠাৎ দেখলাম দূর পথে কিছু মানুষ জড় হয়ে আছে।সামনে এগিয়ে যেতেই সব দেখে ও শুনে বুঝলাম কোন অল্পবয়সী নারীকে দাফন করা হচ্ছে।গ্রাম্য মানুষ।নিজের জমি জায়গা।তাই কি ভেবে জমির পাশেই মেয়েটিকে দাফনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে তারাই ভালো জানে!
এতো অল্প বয়সে মৃত্যু?
একজনের কাছে প্রশ্ন করতেই সেই মানুষটার জন্য মনের ভেতর ঘৃণা জন্মাতে লাগলো।মূলকথা হলো মেয়েটি একজন ছেলেকে খুব ভালোবাসতো।ছেলেটিও মেয়েটিকে ভালবাসতো।কিন্তু ছেলেটি মেয়েটিকে ঠকিয়েছে।মেয়েটি তা সহ্য করতে না পেরে নিজের মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছে।
লোকজনের সাথে আমিও মেয়েটির কবরে কয়েক মুঠো মাটি দিয়ে চলে আসলাম।মাটি দেয়ার সময় মৃত্যুকে বড্ড ভয় পেলাম।তবে আমার চিন্তা মেয়েটি কিভাবে মৃত্যুকে এতো সহজে মেনে নিলো।
বন্ধুর বাসায় আসতেই বন্ধু আমাকে দেখে রীতিমতো চমকে গেলো।বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
আমি তো ভেবেছিলাম তুই আসবিই না।তুই যেই রকমের মানুষ!
বন্ধুর আতিথেয়তা মনে প্রাণে গ্রহণ করলাম।বিশ্রাম নিচ্ছি।এমন সময় মাগরিবের আযান কানে আসলো।মেয়েটিকে মাটি দিয়ে আসার পর থেকেই মনের মধ্যে কেমন ভয় কাজ করছে।আমারো মৃত্যু হবে।জীবনে কোন আল্লাহর হুকুম আদায় হয়নি।পরকালে কি জবাব দিবো।সোজা মসজিদের দিকে ছুটে গেলাম।
এইযে শুনছেন?
আমি একটি চেয়ারে বসে কি জেনো করছি।আর এইসময় একজন মেয়ের কণ্ঠ শুনতে পেলাম।পিছনে তাকাতেই সাদা শাড়ি পড়া একজন অল্পবয়সী মেয়েকে দেখতে পেলাম।তবে ঘরের অন্ধকারের জন্য মুখটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না।
একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি আবার বললো,
আমাকে একটা সাহায্য করবেন?
সাহায্য?আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম,জ্বী বলুন?
মেয়েটি বললো,তার আগে আপনাকে একটা গল্প বলি।একজন মেয়ে আর একজন ছেলে দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসতো।একদিন মেয়েটি ছেলেটির কাছে নিজেকে বউ করে নেয়ার প্রস্তাব করলে,ছেলেটি কিছু বলে না।মেয়েটি একি প্রস্তাব ছেলেটির কাছে বারংবার করতে থাকে।একদিন ছেলেটি মেয়েটির কাছে এসে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়ে চলে যায়।এদিকে মেয়েটি তার মাঝে আরেকটি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পায়।মেয়েটি সমাজের নিষ্ঠুরতা জানে।তাই সে তার মাঝে নতুন প্রাণটিকে পৃথিবীতে আসার অনেক আগেই নিজের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা…
ঘুম ভেঙ্গে বিছানা থেকে লাফিয়ে উঠলাম।ওহ স্বপ্ন ছিলো।শরীর দিয়ে ধরধর করে ঘাম ঝরছে।পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম।কিন্তু ঘুম আসছে না।
সকাল হলেই হায়াত পুরো গ্রামটা ঘুরিয়ে দেখালো।গ্রামটা যেনো কোনো এক স্বপ্নরাজ্য।সেদিন রাত্রে একি স্বপ্ন আবার দেখলাম।
কি ঘটছে আমার সাথে।একি স্বপ্ন বারবার দেখি।তবে মেয়েটি কি আমার কাছে সত্যি সাহায্য চাচ্ছে।কিন্তু আমি কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
আগামীকাল হায়াতের বিয়ে।বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা আসার অপেক্ষায়।আমি আর হায়াত বাড়ির সামনের বাগানে বসে আছি।সাথে পুকুরপাড়।আমি আর হায়াত গল্প করছি।গল্পের এক পর্যায়ে হায়াত আমাকে বললো,
আমি বড় নিষ্ঠুর রে পথিক।ওর মুখে এরকম একটা বাক্য শুনে অবাক হয়ে গেলাম।
আমি বিস্ময় নিয়ে বললাম,কেনো,কি হয়েছে?তুই এই কথা বলছিস কেনো?
হায়াত আবার বললো,আমি নিপাকে ঠকিয়েছি।আমি ভালোবাসার যোগ্য না।
ওকে বললাম,কি হয়েছে?সবকিছু খুলে বলতো?আর এই নিপা কে?
হায়াত বলতে লাগলো,
উত্তর গ্রামের মেয়ে নিপা।ওর আর আমার ভালোবাসা গড়িয়ে চার বছরের মাথায়।একদিন নিপা বললো ওকে আমার বউ করে নিতে।আমি শুনে ভাবতে লাগলাম,সত্যি তো।এতো বছরের ভালোবাসা আমাদের।বিয়েটা করে ফেলা দরকার।সেদিনি বাড়ি এসে আব্বাকে নিপা আর আমার কথাটা বলতে গিয়েছিলাম।কিন্তু…
আমি বিরক্তি প্রকাশ করে বললাম,কিন্তু কি?পরে বল কি হয়েছিলো?
হায়াত আবার বলতে লাগলো,
সেদিন বাড়ি এসে দেখি আমার বড় বোন সোহানা আপু এসেছে।ওর ছোট ননদের আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়,কিন্তু ওর ননদের উড়নচণ্ডী চরিত্র দেখে ওর স্বামী ওকে তালাক দেয়।এখন ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আর কোথাও ওর ননদের সম্মন্ধ ঠিক করতে পারছিলো না।তাই আপুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঠিক করে আমার সাথে আপুর ননদের বিয়ে দিবে।কিন্তু এতে আপু অমত প্রকাশ করায় ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এমনকি দুলাভাই পর্যন্ত আপুর উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।দুলাভাই আপুকে তালাক দেয়ার হুমকি পর্যন্ত দেয়।আপুর তিন বছরের একটা ছোট মেয়ে আছে।তাই সবকিছু ভেবে আপু সেদিন বিয়ের কথাটা বলতে আব্বার কাছে এসেছিলো।
আব্বাও সবকিছু ভেবে কোন কূল কিনারা পেলেন না।অমত প্রকাশ করলে আপুর জীবনটা নষ্ট হবে,তাই আব্বা রাজি হয়ে গেলেন।আমি অমত প্রকাশ করেছিলাম।সেদিন রাতে আপু আমার ঘরে এসে পায়ে ধরে,
আপু তুমি এসব কি করছো।তুমি উপড়ে উঠো।
তুই আমার সুন্দর জীবনটা ভিক্ষে দে ভাই।তোকে ছোটবেলা থেকে আমি কত আদর যত্নে মানুষ করেছি।আজ পর্যন্ত তোর কাছে কিছু চাইনি।আজ তুই আমার এই চাওয়াটা পূরণ কর ভাই।
আমি আপুর চোখের পানিগুলো নিজ হাতে মুছে দিলাম।
সেদিন রাত্রিটা ছিলো আমার জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা জানিস!আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরতে কোথাও বাধা পাচ্ছিলো,তার কারণ তাহলে আপু সবকিছু বুঝে ফেলবে।আর “আমি রাজি” কথাটা মুখ দিয়ে বের হতে চাচ্ছিলো না।দুনিয়ার শত ভাষা,হাজার বাক্যের মধ্যে এই দুটো শব্দ সেদিন আমার কাছে সবচেয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর লেগেছিলো।তবুও আপুর সংসারের জন্য ভেবে আমি সেদিন সেই দুটো শব্দ হাজার কষ্ট সত্তেও বলেছিলাম।
হায়াতের চোখ দিয়ে অঝর ধারায় জল বইছে।আমি বললাম,
আর নিপা?
হায়াত চোখের জল মুছে বললো,
কিছুদিন পর আমি ওর সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়ে চলে আসি।
বললাম,
নিপা তোকে আটকায়নি?
হায়াত বললো,
হ্যাঁ,পায়ে পর্যন্ত ধরেছিলো।ওর সেই মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে ওকে বলতে ইচ্ছে করেছিলো,দূর পাগলী আমি যাব কই।আমি তো তোমারি!
আমি এখন সবকিছু বুঝতে পারছি।আমার স্বপ্নের সেই অল্পবয়স্ক মেয়েটিই তাহলে নিপা।আর গ্রামে আসার দিন যেই লাশটা দাফন করে দিয়ে আসলাম সেটা নিপা ছিলো।
আমি হায়াতকে বললাম,
তারপর,নিপার কোন খোঁজখবর নিয়েছিলি।কেমন আছে ও?
হায়াত বললো,
জানি না,হয়তো এখন আমার প্রতি ঘৃণা নিয়ে বেঁচে আছে।
না,নিপা বেঁচে নেই।দুইদিন আগে ও আত্নহত্যা করেছে।সেইসময়ে নিপা একটি প্রাণকে মারেনি।মেরেছে দুটি প্রাণ।
হায়াত অবাক হয়ে বললো,
মানে?
মানে,নিপার মাঝে তোদের ভালোবাসার অস্তিত্ব তোর ছেড়ে যাওয়ার কিছুদিন পরেই নিপা টের পায়।আর সমাজের নিষ্ঠুরতা আর তোর ছেড়ে যাওয়ায় নিপা মৃত্যুকে গ্রহণ করে।
হায়াত বললো,তুই জানিস কিভাবে?
আমি বিষণ্ণ মনে আস্তে করে বললাম,হয়তো নিপা একজন বড় ভাই হিসেবে বলেছে।
হায়াত কান্নায় ভেঙে পড়লো।আমি বললাম,
নিপার কোন ছবি আছে তোর কাছে?
হায়াত বললো,
হ্যাঁ আছে।তারপর বুকপকেট থেকে একটা ছবি বের করে দিলো।
একজন অপরূপা।ঠিক যেমনি বাংলার রমণীরা হয়,যেমনি কবি লেখকেরা অসংখ্য কাব্য লিখে গেছেন তাদের রূপ বর্ণনায়।
আজ রাতে কোন চাঁদ উঠেনি।শুধু কয়েকটা তারা উঠেছে।আর তাতেই হায়াত খুঁজছে নিপাকে।
আমি এক কোণে বসে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বোঝার চেষ্টা করছি।
সারারাত হায়াত একদৃষ্টে আকাশের দিকে চেয়ে ছিলো।
বিয়ের আগে ওকে যখন গোসল করানো হবে,তখন সবাই দেখে বললো,
কিরে হায়াত তোর চোখ দুটো এমন ফুলো ফুলো দেখাচ্ছে কেনো?
হায়াত কিছু বলতে পারেনি।হয়তো কোনদিন বলতেও পারবেনা।
আমার ছুটি শেষ হতে যাচ্ছে।হায়াতকে বুকে জড়িয়ে বললাম,
যা হয়েছে ভুলে যা।সামনে তোর আরেকটি নতুন জীবন।
হায়াত কিছু বলছে না।আমি আবার বললাম,
নিপা আর আসবেনা জানি।কিন্তু তোর যে নতুন সঙ্গিনী তার মাঝেই নিপাকে খুঁজে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দে।দেখবি একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে।
হায়াত নিজের চোখের জলগুলোকে আটকাতে কঠোর চেষ্টা সত্তেও ব্যার্থ হলো।হয়তো সারা জীবন ওকে এভাবেই চেষ্টা করতে হবে।আমার বিশ্বাস একদিন ও পেরে উঠবে।হায়াত নিপার কাছে অনেক বড় অপরাধী হয়ে থাকলো।এই অপরাধবোধটা ওকে সারাজীবন তাড়না দিয়ে যাবে।
আমি মাঠের আলপথ দিয়ে হাঁটছি।হাঁটতে হাঁটতে নিপার কবরের সামনে চলে আসলাম।নিপার ছবিটা আমার কাছেই রয়ে গেলো।পাশের শুকিয়ে যাওয়া পুকুড়ে গজে উঠা কতোক কস্তুরি ফুল ছিঁড়ে নিয়ে এসে নিপার কবরে রাখলাম।
কেনো জানি চোখের কোণে জল আসছে।আমি নৌকোতে বসে নিপার ছবির দিকে তাকিয়ে ভাবছি,
নিপা কি আজ আবার আমার স্বপ্নে আসবে,ও কি আমায় ধন্যবাদ দিবে?
আজকের রাতটা আসার জন্য বাকি সময়টা আমার অপেক্ষার সেরা প্রহর।
#প্রহর
~মাহবুব আলম
আমাদেত সমাজে এমন অনেক যুবক যুবতীই আছে, যারা অন্যের খুশির জন্য নিজের ভালোবাসা কুরবানি দেয়। তারা নিজের মানুষকে কষ্ট দিয়ে অন্যকে খুশি করতে চায়। হায়াতের কিছুই করার ছিল না অমন অবস্থায়। কিন্তু তার জন্যেই চলে গেল আরো দু’টি প্রাণ। নিপাও হায়াতকে ভুল বুঝে নিজেকে শেষ করে দেয়। কিন্তু আত্মহত্যাই কোন সমস্যার মূল সমাধান নয়। যাই হোক গল্পটি বেষ ভালো ছিল। বানামে তেমন ভুল নেই কয়েকটা ছাড়া।
পড়লাম- পরলাম।
অঝর- অঝোর।
উপড়ে- উপরে।
শুভ কামনা রইল।
নিপার জন্য খারাপ লাগলো।
হায়াতেরও কিছু করার ছিলো না।যার কারন। পরিবারের কথা মানতে হলো।নিপার জীবনটা শেষ হয়ে গেলো।
নিপার ভালোবাসা ছিলো প্রকৃত ভালোবাসা।
বানানে ও তেমর ভুল নেই।
সতেও–সত্ত্বেও
বাধা–বাঁধা
ব্যার্থ–ব্যর্থ
নৌকোতে–নৌকাতে
শুভ কামনা রইলো।