লেখকঃ
সুর্বনা ইসলাম
(মে – ২০১৮)
……………
স্কুলের বারান্দা দিয়ে আনমনে হাটছিলো মিরা। পাশ থেকে সে একটা ডাক শুনতে পেল
-এই মেয়ে শুনো।
মিরা এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। সে নিজের মনের ভুল ভেবে আবার হাটতে থাকে।
আবার শুনতে পায়।
-প্লিজ শুনো না।
মিরা আাবার এদিক ওদিক তাকায় দেখে কেউ নেই। কিন্তু সামনে তাকিয়ে দেখে তার নিজের ছায়া তাকে ডাকছে।
মিরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে যেতে থাকে। আর তার সামনে তার ছায়া এগুতে থাকে।
স্কুলের সাত তালায় যে কেউ উঠে না। সে উঠেছে
সবাই বারন করার সত্তেও উঠেছে। এই তালায় কোন ক্লাস হয় না। সবসময় ফাকা থাকে।
-ভয় পাচ্ছ কেন মিরা? আমি তো তোমার ছায়া সবসময় তোমার সাথে থাকি। এসো প্লিজ আমরা খেলি।
মীরা ভয়ে কিছু বলছে না। সে পিছাতে থাকে। পিছাতে পিছাতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তার।
ছায়াটা এবার হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে মিরার গলায় হাত চলে যায় তার।
ছায়াটা মিরার গলা টিপে দিচ্ছে। মিরা ঘোংগাচ্ছে।
মিরাকে ঝাকুনি দেয় তার মা। ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে মিরা। নাহ স্বপ্ন ছিলো। মিরার ঘোংগানোর শব্দ শুনে তার মা পাশের ঘর থেকে এসে তাকে জাগিয়ে দেয়।
মিরা লম্বা একটা নিশ্বাস ফেলে। হঠাৎ তার মনে পরে তাদের স্কুল এ তো সাত তলাই নেই।
মিরার মা চলে যায়। সে তার মাকে কিছু বলে না। মিরা আবার লাইট নিভিয়ে ঘুমিয়ে পরে। চোখটা লেগে যায় তার। খানিকবাদে সে তার বুকের উপর ভারী কিছু অনুভব করে। এত ভারী যে সে নড়তে পর্যন্ত পারছিলো না। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো তার।দেয়ালে চাঁদের মৃদু আলো গিয়ে পরে। সেই দেয়ালে এর দিকে চোখ চলে যায় তার। দেখে একটা ছায়া তার বুকের উপর দাড়িয়ে আছে।
মিরা চোখ বন্ধ করে আয়তুল কুরসী পরে তিনবার বুকে ফু দেয়। চোখ খুলে দেখে সে অনেক হাল্কা অনুভব করছে।
নাহ এটাও স্বপ্ন ছিলো। সে বার বার কেনো এমন স্বপ্ন দেখছে সে জানে না। সাথে সাথেই ফজরের আযান শুনতে পায় সে। অজু করে নামাযও পরে নেয়।
তার কেন যেনো মনে হচ্ছিলো কিছু একটা ঠিক নেই। সে তার মাথায় হাত দিয়ে দেখে তার চুলে অনেক ঝট এত ঝট যে মনে হচ্ছিলো কয়েক বছর সে চুল আছড়ায় নি। সে আয়নার সামনে দাড়ায় চুল আচড়ানোর জন্য। আয়নার সামনে গিয়ে দাড়াতেই দেখে তার গলায় হাতের ছাপ। সে ভয় পেয়ে যায় পাশ ফিরে তাকাতেই সে দেখে একটি ছায়া তার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
০ Comments