নিশাত তাসনিম
আগামীকাল;
আমাকে কবর দেয়া হবে।
কারণ, আমার স্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগে আমি অভিযুক্ত।
আমার নিকটাত্মীয়রা ধীরে ধীরে চলে যাবে সবাই
তাদের নিজস্ব নিয়মে।
আমার বন্ধু বান্ধবরা একসময় ভুলে যাবে
সেই উত্তেজনাকর ক্রিকেট ম্যাচগুলোর স্মৃতি।
যেগুলোতে আমার ছিলো সরব পদচারণা।
কিন্তু;
তবুও- নীল আকাশের জ্বলজ্বলে শুকতারা দেখে তারা অশ্রু ঝরাবে।
হয়তো পুরনো স্কুলের বারান্দায় হঠাৎ থমকে দাঁড়াবে-
যার সামনের বিশাল মাঠ চিৎকার করে
আমার না থাকার অস্তিত্ব জানান দিবে।
খুব অল্প বয়সেই পতনের কারণে তারা
নিজেদের মাঝে শূন্যতা অনুভব করবে।
আমার স্বাভাবিক মৃত্যুকে তারা অস্বাভাবিক করে তুলবে
আলোচনা আর সমালোচনায়…….।
প্রিয় কৃষ্ণচূড়াকে নির্বাসন দেয়া হবে
আমার মৃত্যু শোকে….!
আমার জীবনের চতুর্থ অধ্যায় রচিত হবে।
মৃত্যু শোককে তারা পণ্য বানিয়ে বিকাবে….!
কিন্তু; আমিতো বন্ধু হতে চেয়েছিলাম
কারো দেখানো চোখের জল চাইনি???
দোহাই তোমাদের!
স্বাভাবিক পৃথিবীতে ফিরে এসো।
ঐ মাঠের চিৎকার আমাকে ধিক্কার দেয়!
তুমি ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো
স্লোগান দেয় বাতাসের বেগ।
কিন্তু; না-
ফেরা আর হয় না।
কৃষ্ণচূড়ার সমাধি রচিত হয় অস্বাভাবিক লেখা এপিটাফে।
মৃত্যু সবার প্রাপ্য;
প্রিয় ভুল,
প্রিয় ব্যাথা।
ব্যাথার দহনে পোড়ো না, আমি কষ্ট পাবো
ভুল ব্যাথার ভুল সংশোধন করে বিদায় নিলাম।
সাদা গোলাপটার ঝরে পড়া পাপড়িগুলো
অবাক নয়নে,
সাড়ে তিনহাত জমির জায়গাটাকে চিনে রাখে
পানির অভাবে শুকোবার ভয়ে!
প্রকৃতির নিগূঢ় ত্বত্তের অজানা রহস্য ভেদ করে
পৃথিবীর মায়ার বাঁধন ছিন্ন হলো,
আয়ত চোখের বিশুদ্ধ নোনাজলের বিনিময়ে।
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনির মতো হয়তো
তাদের হৃদয়ে বেজে ওঠে বিদায়ের বাণীবহুল
শোকার্ত সুখ!
অশ্রুজল বিসর্জন দিয়েও আমি পাইনি
অশ্রুর মর্যাদা।
তাই;
তোমাদের কাঁদতে দেবো না
তোমরা কেঁদো না
অমরাত্মা আমার কষ্ট পাবে।
খুবই সুন্দর। প্রতিটি চরণই মনকে ব্যাকুল করার জন্য যথেষ্ট। কবি তার কবিতায় এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কষ্ট ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। আসলেই আমাদের মৃত্যুর পর সবাই এটাকে নিয়েও কাহিনী বানাতে ব্যস্ত হয়ে যাবে। কিছুদিন পরেই ভুলে যাবে আমাদের শূণ্যতা।
সুন্দর অনেক ভালো লিখেছেন। শব্দচয়ন সুন্দর। বানানে কোন ভুল নেই।
ব্যাথা- ব্যথা।
বাহ্! অপরূপ নির্মান, শব্দের ঝনঝনানি। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি শব্দ বারংবার দোল খাচ্ছে অন্তরে। কি সুন্দরভাবে সাজিয়েছেল প্রতিটি লাইন।
শুভ কামনা রইলো।
অসাধারণ কবিতা।
পড়ে খুব ভালো লাগলো।বর্ণনাভঙ্গী ভালো ছিলো।
শব্দচয়নও খুব সুন্দর।
আমাদের সবাইকেই একদিন এ পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে।সবাই কিছু দিন সমালোচনা করবে।তারপর ভুলে যাবে।স্কুল কলেজের বন্ধু বান্ধুবীরা হয়তো বারান্দার পদচারণা, আড্ডায় খুব মিস করবে।
তারপরেও একসময় আর কেউ স্মরণ করবে না।কথার ছলে হয়তো কোনো দিন মনে পড়বে।
শুভ কামনা রইলো।
বেশ সুন্দর একটি কবিতা।
কবির লিখার হাতও বেশ।
শব্দচয়ন, শব্দ গাঁথুনি দু’টোই মনকাড়া।
শুভকামনা আপনার জন্য।