গভীর অন্ধকারে নির্জন রাতে
একা ঘরে আধো ঘুমে
শুকনো পাতা পরার শব্দেও যেন
আচমকা হয়ে উঠি জেগে।
এই বুঝি তুমি এলে ভেবে-
তাকিয়ে দেখি দরজার পানে
তাসের নেশায় আসক্ত সেই তুমি
এলে অবশেষে নিশি শেষে।
কখনো ভেবেছি নিশাচর হয়ে
মিশে থাকি নীল কস্তুরীর মাঝে,
আবার ভেবেছি কখনো হারিয়ে যাই
সেই রাজ্যে, যেখান থেকে কেউ ফিরে না আসে।
হৃদয়ে মৃত্যুর শান্তি খঁজেছি অবিরত
শেলতীব্রতা তোমার নেই-
সেই আস্বাদ নষ্ট করার মত।
শুধু তাকিয়ে দেখো আমার জন্য-
কাঁদছে বিমিশ্র শত শত নক্ষত্র।
কতোবার গভীর ভাবে ঘুমোতে চেয়েছি আমি অন্ধকারের স্তনের ভিতর মৃত্যুর মিশে
অন্য কোনো গ্রহের জীব নই আমি
অনুভুতির তীব্র ভাষা আমারও আছে।
আছে স্পন্দন, উদ্যম, কাজ
শত কোটি মাতৃত্বের প্রশব বেদনার আড়ম্বর;
বেঁচে থাকার ভয়াবহ আরতি।
বার বার অপমৃত্যু থেকে এসেছি ফিরে
ভাবনার মাঝে শতবার ভেবেছি
নিজ আত্মার সাথে বুঝে, অবশেষে-
অপমৃত্যু থেকে ফিরে এসেছি।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
বাহ! অসাধারণ সব শব্দচয়নের সংমিশ্রণে দারুণ একটা কবিতা পড়লাম। আসলেই প্রিয় মানুষটির জন্য অপেক্ষা করা হয় তখন এক মুহূর্তও যেন অসীম হয়ে যায়। কিছুতেই সময় শেষ হতে চায় না। আর যদি এতো অপেক্ষার পর দেখা যায়, সে মানুষটি নেশাগ্রস্ত হয়ে ফিরেছে তাহলে আর দুঃখের সীমা থাকে না। মেয়েরা যে কত মৃত্যুযন্ত্রণা পেয়ে বেঁচে থাকে সেই কষ্ট একমাত্র মেয়েরাই জানে। কিন্তু তারা কখনোই তাদের প্রাপ্য সম্মান পৃথিবীতে পায় না।
কবিতায় কিছু চরণে বিরামচিহ্ন ব্যবহার করলে আরো ভালো হত। বানানে দু’টো ভুল আছে।
খঁজেছি- খুঁজেছি।
প্রশব- প্রসব।
শুভ কামনা রইল।
খুবই সুন্দর মুলভাব সম্পন্ন কবিতা। কবিতার প্রত্যেকটি লাইনই আমায় মুগ্ধ করেছে।
খঁজেছি — খুঁজেছি
প্রশব– প্রসব
কবিতাটি পড়ে একটা ঘোরের মাঝে আটকে গিয়েছি।সত্যিই ভালো ছিলো কবিতাটি।শুভকামনা
কবিতাটি পড়ে একটা ঘোরের মাঝে আটকে গিয়েছি।সত্যিই ভালো ছিলো কবিতাটি।শুভকামনা নিরন্তর