অনুরূপ অনুভূতি
প্রকাশিত: অগাস্ট ২১, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,661 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখক-গালিব হোসেন
.
(১)
ঘন কালো মেঘ বিরাজ করে আছে আকাশে।বইছে ঝড় হাওয়া।সকলে ছুটাছুটি করে নিরাপদ স্থানে যেতে ব্যস্ত।
তাদের মধ্যে একজন রফি।বয়স খুব বেশি নয়,উনিশ কি বিশ হবে।
টিউশনি করে বের হয়ে দেখে আবহাওয়ার এরূপ অবস্থা।রাস্তার ধুলোয় চারিপাশ ঢেকে গিয়েছে।বাতাসের বেগে গাছ বেকে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সে বাড়ি যাবে কি যাবেনা দুমিনিট ভেবে দিলো দৌড়।
কিন্তু দূরভাগ্য আজ তাঁর পিছু নিয়েছে।
মাঝ পথে শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি।উপায়হীন হয়ে রফি তখন এক বন্ধ দোকানের নীচে আশ্রয় নিলো।সেখানটা কেমন যেন গা ঝুমঝুমে পরিবেশ।জনবসতি খুব কম।
এবং বৃষ্টির কারণে দৃশ্য আরো ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।
রফি ভয় পাচ্ছে।
দূর দূর পর্যন্ত কারো দেখা নেই।অপরদিকে ঘন মেঘে চারিপাশ কালো অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে।
হঠাৎ কোথা থেকে এক নয়-দশ বছর বয়সী ছেলে দৌড়ে এসে রফির পাশে অবস্থান করলো।রফি প্রথমে সেটা খেয়াল না করলেও দ্বিতীয়বার বুঝতে পেরে ছিটকে ওঠে।
ছেলেটা রফির কাঁপনি দেখে খিল খিল করে হেসে ফেলে।
যা ছিলো রফির জন্য চরম লজ্জাজনক ব্যাপার।লজ্জা মাটিচাপা দিয়ে রফি ছেলেটার উদ্দেশ্য করে বললো “নাম কি তোমার?”
উৎফুল্ল মাখা কণ্ঠে ছেলেটা জবাব দেয় “সোহান।”
তারপর বাসার কথা জিজ্ঞাসা করতে ছেলেটা মাথা নিচু করে ফেললো।
উত্তর না পেয়ে রফি আবার জিজ্ঞাসা করে “বাসা নেই তোমার?”
ছেলেটা ফ্যাকাসে মুখ করে জবাব দেয় “না।”
রফি নির্বাক।
চেহারা এবং কথা বলার ধরণ দেখে সোহানকে ভালো পরিবারের মনে হচ্ছে।তাহলে!
সন্দেহ কাটাতে রফি জিজ্ঞাসা করে “কোথায় থাকো তুমি?”
ছেলেটা এদিকওদিক তাকিয়ে জবাব দেয় “জানিনা।”
এর মধ্যে ধীরে ধীরে বৃষ্টি থেমে যায়।আকাশ পরিষ্কার হতে থাকে।আবারো বৃষ্টি আসতে পারে আশংকা করে রফি বাড়ি উদ্দেশ্যে তাড়াতাড়ি পা চালায়।
(২)
সূর্য অস্ত গিয়ে চাঁদ উঠে মেঘের আরালে লুকিয়ে আছে।তারা গুলো আজ নিখোঁজ।অঝর ঝরে চলেছে বৃষ্টি।
বাহিরে কাকপক্ষীর টু শব্দ পর্যন্ত নেই।এমন সময় দরজায় ঠকঠক আওয়াজ।
সজাগ থাকায় রাশেদা বেগম এক হ্রাস বিরক্তি নিয়ে দরজা খুললেন।
সামনে এক কিশোর দাঁড়িয়ে।
ব্যাপারটা তাঁর মনে সন্দেহ তৈরী করলো সাথে গ্রাস করে চলে অনৈতিক অন্ধ বিশ্বাস।
তবুও নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে জোর গলায় জিজ্ঞাসা করলেন “কে তুমি?কি চাই এতো রাতে?”
ছেলেটা মুখ মলিন করে জবাব দিলো “বাহিরে আমার খুব ভয় লাগছে।”
রাশেদা বেগম বিভ্রান্ত হয়ে বললেন “নাম কি তোমার?”
ছেলেটা নিচু স্বরে বললো “সোহান।”
এবার রাশেদা বেগম বেশী জোরে বলে ফেললেন “বাসা কোথায়?”
কথার আওয়াজে রফির ঘুম ভেঙে গেলো।সে উঠে গিয়ে চোখ ডোলতে ডোলতে জিজ্ঞাসা করলো “কে মা এতো রাতে?”
রাশেদা বেগম সোহানকে দেখিয়ে বললো “দেখ বাবা কোথা থেকে এই ছেলেটা এসেছে।আমার তো খুব চিন্তা হচ্ছে।”
মায়ের কথা শুনে রফি মাথা নিচু করে তাকালো।
এবার সে অবাক।বড় বড় চোখ করে সোহানকে উদ্দেশ্য করে বললো “তুমি দোকানের সে ছেলেটা না?”
সোহান হালকা মাথা নাড়লো।
যা দেখে রাশেদা বেগম রফিকে জিজ্ঞাসা করলো “তুই চিনিস ওরে?”
রফি জবাবে বললো “তেমন ভাবে না।বলেছিলাম না,টিউশনি করে বাসা ফিরবার সময় মাঝ পথে বৃষ্টির জন্য আটকে গেছিলাম।সেখানে একটা পিচ্চির সাথে দেখা।এই সে পিচ্চি।”
কথা শুনে রাশেদা বেগম গম্ভীর গলায় বলে দিলো “তাহলে দরজা আটকে শুয়ে পর।বলা তো যায় না কার মনে কি আছে।”
কথাটা যেনো খুব জড়সড় ভাবে সোহানের মনে আঘাত করলো।সে খুব ভয় মিশ্রিত কণ্ঠে বলে “আন্টি আমার বাহিরে খুব ভয় করছে।দয়া করে থাকতে দেন।”
রাশেদা বেগম মনে মনে ভাবে “আসলে তো,এতোটুকু একটা বাচ্চা ছেলে।বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে আছে।অপর দিকে রাতও কম হয়নি।কখন কি বিপদ আপদ হয়ে যায়।”কিন্তু তবুও কিছু আশংকা রয়ে যায়।যা কাটিয়ে উঠতে তিনি সোহানকে রাগি গলায় জিজ্ঞাসা করেন “সত্যি করে বলোতো তোমার বাসা কোথায়?”
সোহান মাথা নিচু করে জবাব দেয় “জানিনা।”
এবার রাশেদা বেগম ঝাড়ি দিয়ে বলে “তাহলে এখানে আসলা কি করে?”
সোহান কান্না করে ফেলে এবং অশ্রু মিশ্রিত কণ্ঠে বলতে থাকে “আমি স্কুল ছুটির পর বাসায় ফিরছিলাম।রাস্তায় বড় চাচ্চুর সাথে দেখা।চাচ্চু বলে ফুচকা খাবো কি না।দেরী হলে আম্মু বকা দিবে তাই না বলে দিই।কিন্তু চাচ্চু জোর করে নিয়ে যায়।তারপর একটা গাড়িতে তোলে।গাড়িতে ওঠার একটু পরে আমার ঘুম পায় এবং আমি ঘুমিয়ে যাই।যখন ঘুম ভাঙে তখন দেখি আমি মাটিতে শুয়ে আছি।চারিপাশে কেউ নেই।”
এতোটুকু ছেলের মুখে এতো সুন্দর কথা শুনে রাশেদা বেগম ও রফি উভয়ে মুগ্ধ হয়ে যায়।তবে তাদের মনে একটা নতুন প্রশ্ন ভড় করে “ছেলেটা এতো কিছু বলতে পারলো অথচ গ্রাম বা জেলার নাম জানেনা?”
এমন সময় হঠাৎ করে ছেলেটা মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়।
(৩)
পরেরদিন সকাল হতে রফি খেয়াল করে সোহান ঘুমিয়ে।
তখন সে সোহানের দিকে চেয়ে মনে মনে ভাবে “কি নিষ্পাপ ছেলেটার চেহারা।অদ্ভুত মায়া আছে মুখটাতে।আজ তাঁর এমন ভাই থাকলে অনেক যত্নসহকারে পড়ালেখা করাতো।যখন যা চাইতো সব ইচ্ছা পূরণ করতো।”
এর মাঝে রাশেদা বেগম উৎফুল্ল কণ্ঠে বললেন “রফি তাড়াতাড়ি আয়,দেখেযা।”
রফি দৌড়ে মায়ের কাছে যায়।তাঁর মা টিভির দিকে উদ্দেশ্য করে বলে “নিচে হেডলাইন পড়।”
রফি কিছুক্ষণ হেড লাইন পড়ে নির্বাক।কারণ “ছেলেটা একজন বড় ব্যবসায়ীর সন্তান।বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।দুদিন যাবৎ নিখোঁজ।”
রাশেদা বেগম রফির মুখের দিকে চেয়ে বললো “দেখছিস এতোটুকু ছেলে কিভাবে গুছিয়ে মিথ্যা কথা বললো।”
রফি একমিনিট ভেবে জবাব দিলো “না মা,এর মধ্যে কিছু অন্য ব্যাপার আছে।ছেলেটার সাথে কথা বলে দেখি।তুমি টিভি থেকে যোগাযোগের নাম্বারে একটা কল দাও।”
তারপর রফি সোহানের কাছে যায়।সোহান ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে আছে।
রফি নীরব এবং ঠাণ্ডা মাথায় সোহানের পাশে অবস্থান করে বললো “আমি জানি তুমি আমায় মিথ্যা বলেছো।তোমার মিথ্যা বলার পেছন কারণ আছে সেটাও বুঝতে পেরেছি।কিন্তু আমি তো তোমার ভাইয়া।আমার সাথে কি এর কারণ ভাগাভাগি করা যায় না?”
সোহান কিছু বুঝতে না পেরে মাথা চুলকাতে লাগলো।
ব্যাপারটা হাস্যকর দেখে রফি আবার বললো “তুমি বাসা থেকে পালিয়েছো কেনো?এমন ভুল কেউ করে?এগুলো বুদ্ধি বা কে দিয়েছে?”
সোহান বড় বড় চোখ করে রফির দিকে তাকায়।রফি তখন দৃষ্টি মলিন করে চোখে চোখ রেখে বলে “ভয় পেয়োনা।আমায় বলো ভাইয়া,না হয় পরে তোমায় পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে।”
কথাগুলো সোহানের ওপরে কাজ করে যায়।সোহান নরম সুরে এক এক করে বলতে থাকে “সৎ মা সারাদিন বকা দেয়।ছোট্ট ভুল করলে বকা দেয়।আমায় কেউ একদম আদর করেনা।আব্বু যখন বাহিরে থাকে তখন সৎ মা আমায় লাঠি দিয়ে পিটায়।আব্বুকে কতো বলি কিন্তু আব্বু আমায় উল্টা ধোমক দেয়।
কথা গুলো সুমিত নামে আমার এক বন্ধুর কাছে বলি।সুমিত তখন পালিয়ে যাবার বুদ্ধি দেয়।”
রফি জোরে নিশ্বাস ফেলে প্রথমে বলা মিথ্যা গুলো কে শিখিয়েছিলো জানতে চায়।
সোহান মাথা নিচু করে জবাব দেয় “সুমিত।”
এবার রফি চোখে চোখ রেখে বলে “বন্ধুদের কথায় এমন বোকামি করে পাগল?যদি তোমার কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো!তুমি এখনো অনেক ছোটো।তোমার বয়স এখন বাবা-মায়ের কাছে থেকে লেখাপড়া করা।তুমি জানো,এভাবে পালিয়ে এসে তোমার লেখাপড়ায় কত ক্ষতি হয়েছে?বাসায় থাকলে কি কাল রাতে এভাবে ভিজতে হতো?তোমার আম্মু না হয় একটু বকা দেয়,তাই বলে পালিয়ে যাবে?এখনি এভাবে হার মেনে নিলে ভবিষ্যতে বড় বড় মোকাবেলা করবা কি করে?শোনো,জীবন একটা।এবং জীবনের মূল মন্তব হচ্ছে সংগ্রাম।প্রতি ধাপে যে সংগ্রাম করে চলতে পারে সে একসময় ভালো পর্যায় যায়।তুমি তো ভাগ্যবান,ছোটো থেকে সংগ্রাম করবার সুযোগ পেয়েছো।এতো তাড়াতাড়ি হার মেনে নিলে চলে?আমি তোমার বাসায় ফোন দিয়ে আসতে বলে দিচ্ছি।চুপচাপ মন দিয়ে বাসায় যাও।একদম ভয় পাবানা।তোমার আব্বু-আম্মুকে বলে দিবো,তোমার আর বকা দিবেনা।”
রফির প্রতিটা কথা গভীর ভাবে নেয় সোহান।তারপর জিজ্ঞাসা করে “তবুও আম্মু যদি বকা দেয়?”
রফি মুখ বাঁকিয়ে বলে “বকা দিলে খিলখিল করে হেসে দিবা।তোমার হাসি অনেক সুন্দর।যে কেউ এ হাসি দেখলে রেগে থাকতে পারবেনা।”
সোহানের বাচ্চা মন কিছু একটা বুঝতে পারে।সে কিছুক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে চিন্তা করে বলে “আচ্ছা ভাইয়া।আমি বাসায় যাবো,আব্বুকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।”
রফি সোহানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে “ভালো ছেলে,প্রতিজ্ঞা করো এরপর আর কখনো বাসা থেকে পালিয়ে যাবানা।”
সোহান রফির হাতে হাত রেখে বলে “এই যে প্রতিজ্ঞা করলাম ভাইয়া।”
……………<সমাপ্ত>……………

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৫ Comments

  1. HM TareQue

    সত্যি অসাধারণ একটা গল্প। তবে কিছু টাইপিং মিস্টেক হয়েছে। লিখার পর আরেকবার পড়ে ঠিক করে দিলে ভাল হতো।

    Reply
  2. Nafim Ul Abir

    ভাল গল্প। সংলাপ কিছুটা একঘেয়ে। তবে সবমিলিয়ে সুন্দর, বাস্তব ভিত্তিক

    Reply
  3. আফরোজা আক্তার ইতি

    সুন্দর গল্প। বেশ ভালো লাগল। সোহানের মত অনেক অবুঝ শিশুই সুমিতের মত আরেক অবুঝ শিশুর ভুল পরামর্শে ভুল পথে পা দিচ্ছে। এই গল্প থেকে বাচ্চারা অনেক কিছুই শিখবে যে এসব ভুল পদক্ষেরপের পরিণতি কি হতে পারে। ভালো লিখেছেন। আরেকটু যত্ন নিয়ে লিখলে গল্পটা আরো ভালো হত। লেখার স্টাইল অনেকটা কবিতার মত হয়ে গেছে। কিছু ভুল আছে বানানে।
    কাঁপনি- কাঁপুনি।
    আরালে- আড়ালে।
    অঝর-অঝোর।
    ভড়- ভর।

    Reply
  4. Mahbub Alom

    একটু ভিন্ন ধরণের গল্প।অনেক ভালো লেগেছে।
    এইটুকু বাচ্চার কতটুকু সাহস।সৎ মায়ের অত্যাচার কতটুকু হলে আর বাবার ভালোবাসা না পেলে পালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবে।তবুও লেখক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা সঠিক।

    ধন্যবাদ

    Reply
  5. Halima tus sadia

    ভালো লাগগলো। অন্যরকম অনুভূতির গল্প।
    গল্পটি সুন্দরভাবেই লিখেছেন।
    প্রতিটি শিশু আচরণ তার পরিবার থেকেই শিখে।
    বাবা মার ভালো ব্যবহার সন্তানের উপর প্রভাব পড়ে।সৎ মা যদি আজ আদর করতো তাহলে সোহান সুমিতের কথা শুনে এভাবে পালিয়ে আসতো না।পড়াশোনা করতো।
    কিন্তু সেটা না করে এই বয়সেই মিথ্যা বলা শিখে গেছে।
    তবে রফি কাজটা খুব ভালো করেছে।তাকে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছে।

    বাবা মার উচিৎ সন্তানকে বুঝা।তাদেরকে শাসন কম করে আদর করা।কিছু বাবা মা শিশুকে একটু শাসনটা বেশি করে ফেলে।যার কারণে শিশুরা মানসিক অশান্তি ভোগ করে।
    ধোমক–ধমক
    তৈরী-তৈরি
    দেরী-দেরি
    দুমিনিট–দু’মিনিট
    আরালে–আড়ালে
    মন্তব–গন্তব্য
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply

Leave a Reply to আফরোজা আক্তার ইতি Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *