অনাসৃষ্টি
Muntasir Ahmed Rasel
.
রাজশাহীর যে অঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাস, সে অঞ্চলেই নূর ইসলাম এর জন্ম। বাবা-মা ধর্মের সাথে মানানসই নাম রাখলেন যাতে ছেলে ধর্ম কর্ম করে। প্রাথমিক আর মাধ্যমিক পাঠ চলাকালীন মক্তবে গিয়ে ইসলাম শিক্ষাও অর্জন করল নূর। নামটা ধর্মের সাথে যতটা মানিয়ে যেত কর্ম ততটা মানাতো না। ভৌগলিক বৈশিষ্টের অনুসারে জুটে গেল কিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের বন্ধু। তথাপিও নুর ধর্মের পথ থেকে ততটা দূরত্বে যায়নি যতটা হলে তার নিজের নামের অস্তিত্ব বিলোপ পেয়ে যেত।
যখন নুরের বয়স ২০ তখন গ্রামে এক সুন্দরী মেয়ের আবির্ভাব ঘটল। কোথা থেকে? কিভাবে হল? ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা নুরেরও আজানা ছিল। তবে কানে কানে কানাকানি হচ্ছিল যেটা নিয়ে সেটা হল মেয়েটা নাকি ভীষণ সুন্দরী। মানুষ সুন্দরের পূজারী। সুন্দর কোন জিনিস চোখে পড়লে সেটা নিজের বশে আনা অবধি মনুষ্য মন ঠিক থাকেনা। সুন্দর কোনকিছু চোখের আড়ালে থাকলেই ভালো থাকে।
গ্রামে সেদিন মেলা হচ্ছে। কৌতুহলী নুর মেলায় উপস্থিত। কৌতুহলী চোখে তখন পর্যন্ত সেই অপরিচিতার ছায়া পড়েনি। ভারী নিঃস্বাসে যেন গলা বন্ধ হয়। কেউ যেন মুখের হাসির উপর নজরদারি করছে,মুখে চেপে রাখা অজস্র হাসির ঢেউ। মেয়েটি যখন সামনে তখনের সে পুলকিত হৃদয়। সব মিলিয়ে ভালো লাগা।
ব্যাকুল হৃদয় নিয়ে তারপর দুইদিন আর দেখা মেলেনি।দুইদিন পর মেয়েটি যখন বাসায় ফেরার পথে বাসষ্টান্ডে তারও কিছুক্ষণ পর নুর সেখানে পৌছাল। তারপর কাছে যেতে না যেতেই সিএনজি চলতে শুরু করল। মেয়েটি সিএনজি তে করে বাসার পথে আর তখন নুর এর হৃদয় ধক–ধক শব্দে লাফাচ্ছে। ঠিক সে মূহুর্তে বুঝি সে নিজের কবলে ছিল না। অন্যথায় ভরা রাস্তায় এমন করে ভরা সিএনজি থামিয়ে সে মেয়েটির হাতে নিজের মোবাইল নাম্বার ধরিয়ে দিতে পারতো না।
মেয়েটির নাম পূজা।সমস্যাটা হল সেখানেই। মেয়েটি ছিল হিন্দু ধর্মের। “ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়” এ কথাটা নুর হয়তো মন থেকে বিশ্বাস করতো। হয়তো মেয়েটিও বিশ্বাসী একটা হাতের অপেক্ষায় ছিল। তাই অল্পতেই হয়ে গেল একটা প্রণয়ের সম্পর্কের শুরু। তবে কিছুদিন অতিক্রান্ত হতেই নুর এর মনে হল মেয়েটির মুখে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একটা ছাপ আছে। ভালো লাগা কমতে থাকল। বেড়ে যাচ্ছিল দূরত্ব। এমন সময়ে পূজা এলো তার বোনের বাসায়। পূজার বোনের বাসা থেকে অল্প একটু সময়ের পথ তারপরই নুরের বাসা। দেখা হবে ঝলমলে আলোকিত জোৎস্নায়।দেখা করার অনেক উপায় ও অনেক সময় থাকা সত্বেও জোৎস্না রাত’টাকে বেছে নেওয়ার একটা আলাদা কারণ রয়েছে। আর তা হল, যেহেতু হিন্দু মুসলিম সমাজ বৈধ বিয়ে সম্ভব না সেহেতু কাছে আসার এর থেকে ভালো সময় আর পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে আজ পূজা’কে তার ভালোবাসার সত্যতা কতটুকু তা প্রমাণ করে দিতে হবে। আসতে হবে অনেকটা কাছে, কেঁপে যাক বুক, নষ্ট হয়ে যাক হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন তবুও আজ দ্বিধা রাখা চলবে না। নয়তো আজ বিশ্বাসের এ খেলায় যে হেরে যেতে হবে। বালিকার মন যতবার দ্বিধার সম্মুখীন হয় ততোবারই একটা কথা মনে পড়ে “বিশ্বাস ই হলো একটা সম্পর্কের ভিত্তি”। অন্যদিকে বালক অকপট আর নির্ভীক হয়ে ভাবে, এ তো ভালোবাসার দামে কেনা এতে ভুলের কি আছে !
“অপেক্ষা খুব কঠিন একটা কাজ” তাদের প্রত্যেকে এটা টের পেয়েছে যারা কখনো অপেক্ষা করেছে। অপেক্ষার প্রহর যেন পেরোতেই চায়না।
খবর এলো পূর্বপাড়ার মজিবর এর ঘরে সর্বনাশ হয়ে গেছে। বিচার শুরু হয়ে গেছে। দলে দলে লোক যাচ্ছে। এ কি কান্ড ঘটেছে! কিভাবে ঘটেছে? কেউবা হায়! হায়! করতেছে। শোনা যাচ্ছে অনেক কিছুই। তবে যেটা তাল মনে হচ্ছে সেটা আসলে তাল নয়, সেটা যে তিল সে কথা বোঝার মত জ্ঞান নুর এর আছে। তাই বেশি কিছু না ভেবে ঘটনাস্থলে গেল।
গোলমালে মুখরিত চারপাশ। মজিবর চাচার বাড়ির সম্মুখে যেতে না যেতেই নুরের চোখে পড়ল কিছু কামুক চাহনি যা অনবরত পিষিয়ে মারছিল দুটি দেহকে। আরেকটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায় দেহ দুটি মেয়ের। দুজনেই সবে চৌদ্দতে পা রেখেছে। হয়তো এখনো বাস্তবতাটা ঠিকভাবে বোঝে উঠেনি। তদুপরি এতগুলো নির্লজ্জ কামুক চাহনি। বালিকা দুটি নুইয়ে পড়েছিল, যেমন করে নুইয়ে পড়ে সদ্য বীজের খোলস থেকে উন্মুক্ত হওয়া চারাগুলো প্রচন্ড সূর্য তাপে। আশ্চর্যজনক হলেও এরা প্রত্যেকে কৃষক, যারা নুইয়ে পড়া চারাগুলো দেখে কাঁদ–কাঁদ হয়ে ওঠে। অথচ মেয়ে দুটি এদের চোখে পড়ছে না। মেয়ে দুটিকে মাঝে রেখে চারপাশে শ’খানেক মানুষ।মেয়ে দুটির সামনেই এক বেঞ্চে বসা পাঁচজন লোক। পাঁচ জনের মধ্যে দুই জনের পরনে ছিল প্যান্ট। এরা ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। আর তিনজন দাড়িওয়ালা মুরব্বী। বেঞ্চের দু’পাশে মেয়ে দুটির বাবা। বৃত্তের যে পাশে নুর ছিল তার বিপরীত দিকে কিছু মহিলা। তাদের মাঝে দুইটি মহিলা নীরবে চোখের জল ফেলতেছে।
অতঃপর এক যুবক দাড়িয়ে সবাইকে চুপ হতে বলল। প্রত্যেকেই শুনল অথচ কেউ কেউ কানে তুলল না। অতএব মেম্বার উচ্চস্বরে জিজ্ঞাসা করল – তোদের নাম কি রে?
মেয়ে দুটির মধ্যে একজন কাঁপা স্বরে জবাব দিল – আমার নাম শারমিন আর ও জান্নাতুন।
মেম্বার মুখটা বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল – কে কার সাথে রাত কাটিয়েছিস?
মেয়েদুটি অপ্রস্তুত হয়ে বিড়বিড় করছিল। গোলমালে কারো কোন কথায় শোনা গেল না।
মেম্বার আবার গলা উঁচিয়ে বলল – যা বলছিস গলা ঝেড়ে বল।
মেয়ে দুটি চুপচাপ হয়ে রইল। পাশের এক ছেলের মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠল।ধুম মাচালে…। ছেলেটি দ্রুত কল রিসিভ করে পুকুর পাড়ে চলে গেল। কেউ একজন বলে উঠল দেখ ছেলেদের কান্ড সবাই কেমন মোবাইল কানে লাগিয়ে বসে আছে। হাসিতে মেতে উঠল সবাই। শুধু মেয়ে দুটি আর ওদের বাবা মা চুপ করে রইল। তবে মেয়ে দুটি একটু চোখ উঁচিয়ে ছেলেগুলোকে দেখল। ওদের অসহায় চোখ যেন আরও কিছু অনাসৃষ্টিকে নির্দেশ করছিল। তবে সে চোখের ভাষা বোঝে এমন সামর্থ্য ও কারো ছিল না।
সবাইকে থামিয়ে মেম্বার আবার জিজ্ঞেস করল – বল কে কার সাথে রাত কাটিয়েছিস?
মেয়ে দুটির মধ্যে আবার একজন বলে উঠল, আমি কিছু করিনি। যা করেছে ও করেছে।
মেম্বার গুলিয়ে ফেলে বলল কার নাম জানি কি বললি?
আবার সেই মেয়েটিই বলল আমার নাম শারমিন আর ওর নাম জান্নাতুন।
মেম্বার বোধ করি এই ঘটনার পুরোটা শুনেছে।এখন আবার মেয়ের মুখ থেকে শুনতে চাইছে। মেম্বার বলল তুই কিভাবে জড়ালি এই মামলায়? ও তো ৩ নং ওয়ার্ডের মেয়ে ৫ নং ওয়ার্ডে কি করছে?
এবার জান্নাতুন বলল, এ সব কিছুর পেছনে শারমিন–ই রয়েছে।
তৎক্ষনাৎ শারমিন কিছুটা রেগে থতমত হয়ে বলল, আমি কি করেছি?
সহপাঠীর এভাবে নাকচ করাতে জান্নাতুন নীরবতা ভেঙে বলে উঠল, শারমিন ই আমাকে ঐ ছেলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। কাল রাতেও শারমিন ই আমাকে ওখানে যেতে বলেছে।
এবার মেম্বার উৎসাহের সাথে জিজ্ঞেস করল ঠিক করে বলতো কিভাবে কি হয়েছে?
শারমিন বলতে শুরু করল ছেলেটির নাম মামুন। ছেলেটা আমাকে ধর্ম বোন বানিয়েছিল। তারপর একদিন আমার সাথে ও জান্নাতুন কে দেখে। পরে আমার কাছে সব কিছু জানতে চাইলে, আমি জান্নাতুন এর বিষয়ে সব কিছু খুলে বলি। একদিন জান্নাতুন এর সাথে মামুনের দেখা করিয়ে দিই।তারপর আমি আর কিছু জানিনা।
৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জান্নাতুন কে বাকিটা বলতে বলল। জান্নাতুন কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। এবার মেম্বার ধমকের স্বরে বলল, রাত কাটাতে লজ্জা লাগেনি বলতে লজ্জা লাগতেছে না কি..
জান্নাতুন ভয় পেয়ে বলতে শুরু করল – তারপর ছেলেটা আমায় মোবাইল কিনে দেয়। মোবাইল দিয়েই আমাদের যোগাযোগ হত। গত রাতে জান্নাতুন আমাকে মাঠে যেতে বলে। সেখানে মামুনের আসার কথা ছিল। তারপর মেয়েটা কিছুক্ষণ চুপ থাকে।
৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বলে, বয়স থাকতে আমিও এসব অনেক করেছি। খুব মজা তাইনা?
এবার পাশ থেকে একজন মেম্বারকে উদ্দেশ্য করে বলল,এখানে কি মাতলামি শুরু করেছেন? এটা কোন ধরনের বিচার? এতক্ষণ ধরে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন?
৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর। প্রায় দিন মাতাল থাকেন। সেদিনও সম্পূর্ণ মাতাল ছিলেন।নিজেকে সামলিয়ে দাড়িয়ে বললেন, তো তুই বিচার কর না..।
তখন তিনজন মুরব্বির মধ্যে থেকে একজন বলে উঠল মেয়েটার বিয়ে করিয়ে দে না।
৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বলে উঠল, কে বিয়ে করবে? আপনি করবেন?
এবার আরেকজন ক্রোধের স্বরে বলল, গাছে টাঙিয়ে পিটাও।
মেম্বার বললেন, মেয়ে মানুষ যে কিভাবে পিটবি?
সবাই তখন নীরব।সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হতে চলেছে।
৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বললেন, মেয়ে তো বলছে যে মামুন সেখানে আসেনি। অন্য একটা ছেলে না কি এসেছিল?
৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বলল, তুই এখানে এলি কিভাবে?
জান্নাতুন বলল, ভোরে উঠে আমি দেখি আমার জুতা আর ওড়না নেই।তখন আমি শারমিনের এখানে চলে আসি।
মেম্বার আবার শারমিনকে বলল, তোর জন্য দেখ আজ তোর বাবার কত দূর্নাম! আরও তো ছেলে মেয়ে আছে গ্রামে তাদের তো বিচার শালিষ হয়না।
আর তুই (জান্নাতুন) যার সাথে রাত কাটালি তাকে চিনতে পারলি না?
জান্নাতুন বলল, মুখে মাফলার বাধা ছিল আমি ঠিক চিনতে পারিনি। আমাকে কিছু খাবার খেতে দিল তারপর আমি কিছু জানিনা।
চারিদিকে আযান শুরু হয়ে গেছে। সেদিনের মতো বিচার স্থগিত রাখা হলো।জান্নাতুনকে তার মা বাবা মজিবর চাচার বাড়িতেই রেখে গেল। যে যার বাড়িতে ফিরে এলো। সবাই যার যার মেয়েকে সাবধান করে দিচ্ছে। ছেলেদের কেউ কিছু বলছিল না। এ সমাজের কলঙ্কগুলো পুরুষের গায়ে লাগে না। যত দোষ যেন নারী দেহের।
নুর ও বাসায় ফিরে এলো। তখনো কয়েকঘন্টা দেরী ছিল জোৎস্না উঠতে।
ঠিক মাঝরাতে জোৎস্নায় ঝলমল করছিল চারপাশ। তবুও গ্যাসলাইট টা নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ল। প্রকৃতি ছিল চুপচাপ, গম্ভীর। যেন শত শত কথা চেপে রেখেছে। বলছেনা কিছুই, বলবেও না। দেখে যাচ্ছে সমাজের অবিচার, সয়ে যাচ্ছে অনিয়ম। প্রকৃতির যেন কোন কিছুতেই কিছু আসে যায় না। তাইতো সে নীরব, নির্বীকার।
ততক্ষণে সে মজিবর চাচার বাড়ি পেরিয়ে গেছে সামনের বাগান টা পেরোলেই সন্ধ্যার দেখা পাবে। বাগানের বড় আমগাছটার কাছে গিয়ে সে থমকে দাঁড়াল। নুর এর গাল বেয়ে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ছে। নুরের তো এখন আনন্দঘন মূহুর্ত সে নিশ্চয় কাঁদছে না। গ্যাসলাইট অন করে ওপরের দিকে চেয়ে দেখতেই সে দেখতে পেল ওড়না আর জুতা ছাড়া একটি দেহ দড়িতে ঝুলছে গাছের ডালে। মেয়েটার শরীর থেকে ঘাম ঝড়ছে। সেখান থেকে সে বাসার দিকে ফিরে গেল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে একটা মেসেজ লিখল..
আমি চাইনা, পৃথিবীতে আর কোন মামুনের জন্ম হোক, অকালেই ঝড়ে পড়ুক কোন জান্নাতুন। ফিরে যাও, তুমি। বিয়ের পর আমরা একসাথে জোৎস্না দেখবো।
সমাপ্ত।
কোথাও নুর লিখেছেন আবার কোথাও নূর।
কনসেপ্টটা নতুন ছিল তবে আরো গুছিয়ে লিখলে আরো ভালো হতো।
মানাতো-মানাত
কৌতুহলী-কৌতূহলী
পৌছাল-পৌঁছাল
মুহুর্তে-মুহূর্তে
করতো-করত
শারমিন ই-শারমিনই
দাড়িয়ে-দাঁড়িয়ে
বলছেনা-বলছে না
চমৎকার ছিল গল্পটা, উক্ত নূর ইসলাম ঘটনা দেখে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, যে বিয়ে আগে প্রেম করা হারাম। এইভাবে যদি প্রতিটা ছেলে বুঝত তাহলে আজ নানার ধরনের ঘটনা ঘটত না। গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে, শুভ কামনা রইল
মানাতো-মানাত
কৌতুহলী-কৌতূহলী
পৌছাল-পৌঁছাল
মুহুর্তে-মুহূর্তে
করতো-করত
শারমিন ই-শারমিনই
দাড়িয়ে-দাঁড়িয়ে
বলছেনা-বলছে না
চমৎকার ছিল গল্পটা,,, উক্ত নূর ইসলাম ঘটনা দেখে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে, যে বিয়ে আগে প্রেম করা হারাম। এইভাবে যদি প্রতিটা ছেলে বুঝত তাহলে আজ নানার ধরনের ঘটনা ঘটত না। গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে, শুভ কামনা রইল
অসাধারণ লিখেছেন।
দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন।
শব্দচয়নে খুব ভালো।
বিয়ের আগে প্রেম,ভালোবাসা করা হারাম,এটা
যদি সবাই বুঝতো তাহলে এতো সমস্যার সম্মুখীন আমাদের হতে হতো না।
কারও জীবন নষ্ট হতো না।
শুভ কামনা রইলো।
এগিয়ে যান।লেখার হাত ভালো।
আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রসঙ্গে কিছু কথা :
গল্পটা মোটামুটি ভালো লেগেছে। লেখনী আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন। বেশ কিছু ভুল রয়েছে। নিচে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম :
এক জায়গায় নুর এক জায়গায় নূর লেখা। যেকোনো একটা ব্যবহার করতে হবে।
কি/কী এর ব্যবহারে সমস্যা রয়েছে।
ততটা – ততোটা
বৈশিষ্টের – বৈশিষ্ট্যের
ভৌগলিক বৈশিষ্টের অনুসারে – ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে
কিভাবে – কীভাবে
কোন – কোনো
থাকেনা – থাকে না
কোনকিছু – কোনো কিছু
দুইদিন – দু’দিন/ দুই দিন
বাসষ্টান্ডে – বাসষ্ট্যান্ডে
পৌছাল – পৌঁছাল
উপায় ও – উপায়ও
সত্বেও – সত্ত্বেও
চায়না – চায় না
হয়তো এখনো বোঝে উঠেনি – হয়তো এখনো বুঝে উঠেনি
প্রচন্ড – প্রচণ্ড
কাঁদ-কাঁদ – কাঁদো কাঁদো
ফেলতেছে – ফেলছে
দাড়িয়ে – দাঁড়িয়ে
মেয়েদুটি – মেয়ে দুইটি
জানিনা – জানি না
জান্নাতুন কে – জান্নাতুনকে
লাগতেছে না কি – লাগতেছে নাকি
হত – হতো
তাইনা – তাই না
শালিষ – শালিস
হয়না – হয় না
দূর্নাম – দুর্নাম
নুর ও – নুরও
কয়েকঘন্টা – কয়েক ঘন্টা
বলছেনা – বলছে না
বাগান টা – বাগানটা
এক ফোটা – এক ফোঁটা
নির্বীকার – নির্বিকার
গ্যাসলাইট টা – গ্যাসলাইটটা
দেরী – দেরি
একটা জিনিস ঠিক বুঝলাম না। নৃগোষ্ঠীর মতো কিছুটা দেখতে তাই প্রেম কমার কী আছে এখানে? এটা আবার কেমন প্রেম?
আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
তোর গল্পে আমি আর কি বলব? সবাই যা বলবে তাই। পুরস্কার পাইলে ট্রীট দিস????????