মোঃ আতিকুর রহমান আশিক ।
#অদেখা_বাংলা
দেখিনি আমি বাংলার প্রকৃতি,
বৈশাখের আসা সে অতিথি।
দেখেছি আমি অট্টালিকায় ভরা শহর,
দেখিনি কভু জলপ্রপাত আর নহর।
কালবৈশাখীর ঝড় দেখিনি কখনো,
যায়নি সবুজে সাজা গাঁয়ে এখনো।
খেতে পারিনি জৈষ্ঠ্যের ফল,
তাইতো নেই দেহে বাঙালির বল।
শুনেছি মাত্র সুন্দর এদেশ,
কতশত মমতায় ভরা প্রকৃতি ও পরিবেশ।
আষাঢ় জুড়ে বৃষ্টির দিন,
দিয়েছে চেপে বোঝা আর ঋণ।
কখনো ভেজা হয়নি শ্রাবণের স্রোতে,
যেতে চাহে মন মোর ঐখানেতে।
ভাদ্র মাসের নরম তাল পিঠে,
শুনেছি তাহা বড়ই সুস্বাদু-মিঠে।
শিউলি আর কাশফুলে ভরা সাদা বন,
রাত্রির আদারে চন্দ্রের শোভামন।
ঘাসের বুকে ভেজা স্নিগ্ধ ভোর,
মেঘের সঙ্গী হয়ে চলে-
খন্ড হয়ে এক হওয়া শিমুল তুলোর।
কার্তিকে ফসল আনন্দ আনে ঘরে আর মনে,
নবান্ন চলে আসে হেমন্তের দিনে।
কুয়াশা-পৌষ আসে লুকায়ে সূর্যের মুখ,
নিরাবলম্ব হারায় স্বর্গের সুখ।
কোকিল ডেকে আনে মহা ফাল্গুন,
বৃক্ষে ওঠে পাতা,পাখিরা ডাকে গুনগুন-
ফুলে ফুলে ওঠে মৌমাছির গুঞ্জন।
চমৎকার কবিতা।ভালো লাগলো।
দেখা হয়নি কখনো গ্রামের প্রকৃতি।
কবিতায় তা ফুটে উঠেছে।
শহরে ইট পাথরে গড়া মানুষ গ্রামের সৌন্দর্য দেখবে কি করে।
শুভ কামনা রইলো।
কখনো – কখনও
এখনো – এখনও
আদারে – আঁধারে
নিরাবলম্ব শব্দটি বুঝলাম না।
শহরের মানুষের কাছে এখনও গ্রামের সৌন্দর্য্য অধরাই রয়ে গেল।
আসসালামু আলাইকুম। কবিতায় গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশের চিত্র ফুটে উঠেছে। বানানে তেমন একটা ভুল নেই। যে দুই একটা ভুল আছে তা নিচে দেওয়া হলো :
কতশত – কত শত
আদারে – আঁধারে
শোভামন – শোভা মন
আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
তাইতো -তাই তো (তো আলেদা বসবে)
কতশত-কত শত (যেহেতু দুইটা শব্দ তাই আলেদা বসবে)
ঐখানেতে-ওইখানেতে
আদারে-আঁধারে
শোভামন-শোভা মন(দুইটা শব্দ যেহেতু আলেদা বসবে)
বাহ্ কবিতার মাঝে কবির গ্রাম বাংলা না দেখার আপসোস আর গ্রামের সুন্দর্য্য ও পিঠাও তুলে ধরেছে। কিছু বানান ভুল ছিল ঠিক করে দিলাম। তবে ভালোই লেগেছে, শুভ কামনা রইল।