লেখিকা: অধরা ইসলাম সাওদা
,
অগ্নি ঝড়া দুপুরে কাঁধে নিয়ে ঝুলি,
পেট তাহার পিঠের সাথে, গায়ে অজস্র ধুলি।
পরনে ছিড়া বসন দেখিতে হাড্ডিসার,
এ জগতে আপন বলতে নেই কেউ তার।
ডেকে নিয়ে বাসাতে দিলাম এক প্লেট ভাত,
তাই দেখে মনে হলো পেয়েছে হাতে আকাশের চাঁদ।
ভাত পেয়ে খুশিতে কেঁদে ভাসায় বুক,
ভাবেনি তো কখনো কেউ বুঝিবে তার দুঃখ।
ভিটে মাটি বেচে বাবা গেলেন পরপারে,
মা জননী সংসারী তার আছেন পরের ঘরে।
মায়ের কাছে যেতে চাইলে খায় সৎ বাপের তাড়া,
ক্ষুদায় অনটনে সে দিশেহারা।
যেখানেই খাবার চায়, খায় থাপ্পর লাথি,
অবশেষে পেটের দায়ে হাতে নিলো ভিক্ষার বাটি।
ভিক্ষা খুঁজতে খুঁজতে হয় মোর সাথে দেখা,
সজল নয়নে ব্যক্ত করে তার করুন ব্যাথা।
তারি দুঃখের কথা শুনে অজান্তেই আমার চোখে এলো জল,
এমনি করিয়া জন্ম নেয় এক একটা ভিক্ষুকের দল।
আজ যদি তাদের তরে সকলে বাড়িয়ে দেই সাহায্যের হাত,
তাতে করে অভিশপ্ত জীবন থেকে পাবে তারা উজ্জল প্রভাত।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
কবিতা লেখার হাত বেশ দুর্বল। মারাত্মক একটি ভুল করেছেন। গুরুচণ্ডালী দোষ, এটা কবিতার মান খুব কমিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ।
তবে কবিতার প্রাঞ্জলতা খুঁজে পেলাম আপনার লেখায়।
শুভ কামনা রইলো।
অনেক সুন্দর লেখনী।
একজন অসহায়, গরীব সন্তানেরর ভিক্ষাবৃতি নিয়ে কবিতা।
একজন শিশু যেই বয়সে বাবা মা’র আদরে থাকার কথা,পড়াশোনা করার কথা,সেই বয়সে ভিক্ষা করে।
শুধুমাত্র পেটের দ্বায়ে।
তখন মনে হয় জন্মই যেনো পাপ।
ক্ষুধায় সারাদিন পেট পিঠে লেগে যায় তবুও কেউ দুঃখ বুঝে না।আর কিছু মাও আছে সন্তানকে ফেলে দিয়ে নিজের সুখের জন্য বিয়ে করে।
আমরা যদি সাহায্য করতাম আজ হয়তো তাদের দুঃখ কিছুটা লাঘব হতো।
বানান ভৃল তেমন নেই
ক্ষুদায়–ক্ষুধায়
ব্যাথা-ব্যথা
শুভ কামনা রইলো।
এতো সুন্দর করে ভালোবাসা আবেগ জড়িয়ে চমৎকারভাবে কবিতাগুলো কিভাবে লিখেন আপনারা? এই কবিতাটা চোখে নিমিষেই পানি এনে দিল। পথশিশুদের করুণ দশা খুব সুন্দরভাবে অসাধারণ শব্দশৈলী দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতায়।
আসলেই আমাদের সমাজের এই পথশিশুগুলোর কষ্ট যদি গভীরভাবে উপলব্ধি করতো, তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতো, তাহলে এদেশ আরো সুন্দর হতো।
সুন্দর লিখেছেন। বানানে কিছু ভুল আছে।
ছিড়া- ছিঁড়া।
করুন- করুণ।
উজ্জল- উজ্জ্বল।
‘আজ যদি তাদের তরে সকলে বাড়িয়ে দেই সাহায্যের হাত,
তাতে করে অভিশপ্ত জীবন থেকে পাবে তারা উজ্জল প্রভাত।’
এই লাইন দুটি কবিতার পুরো ভাব প্রকাশ করে।
কবিতা লেখার সময় একটু যত্নবান হবেন।
লেখা দেখেই বুঝা যায় যে এটি অনেক আবেগ থেকে লেখা।যার কারণে লেখাটিও আবেগময় হয়ে উঠেছে।শুভকামনা