শাহাদাত সাব্বির
কা কা কা…
তারস্বরে চেঁচাতে থাকে নাগরিক কাকেরা।
কান পেতে শুনলেই বোঝা যায় এ নিছক কা কা ধ্বনি নয়,
অমুক হত্যার বিচার চাই, তমুক খুনীর ফাঁসি চাই বলে ঝড়ের প্রলয়ধ্বনি।
অতঃপর কাকেদের সামনে ছিটানো হয় নতুন চালের ভাত,
ঠিক বাসমতি নয়, ইরি ধানের ভাতও নয়, তবে প্রলয়ধ্বনি থেমে যেতে যথেষ্ট।
কা কা কা…
আবারো মুখরোচক খাবারের লোভে ক্রমাগত বেজে যায় তাদের কুৎসিত রাগিণী।
অমুক কোটার সংস্কার চাই, তমুক নেতার পদত্যাগ চাই, ধর্ষকের লিঙ্গ কর্তন চাই।
অতঃপর ছিটানো হয় সুগন্ধি চালের শাহী কোন খাবার,
কাকেরা চুপ হয় একটু, ডুবে যায় নতুন খাবারে।
আঙ্গুলগুলো চুষতে থাকে, যেন কোন দেহপসারিণী মুখলেহন করে সুখে ডুবিয়ে মারছে।
অবশেষে চাটাচাটি শেষ হয়,
আবারো কা কা কা…
নাহ! এই কাকের বাচ্চাদের থামানো উচিত।
কখনো বিশ্বকাপ, কখনো রেলমন্ত্রীর শুক্রাণুর সংখ্যা,
অর্থমন্ত্রীর গোবরে ভরা চাঁদিতে ধান চাষ করা যায় কিনা,
চাঁদের বুকে মহাতারকার মেহেদীমাখা দাড়ীওয়ালা অবয়ব,
কিংবা মহাকাশে উপগ্রহের দাঁত কেলিয়ে হাসিতে বিশ্বজয়
এমন হাজারো সুস্বাদু খাবার তখন ছিটিয়ে দেয়া হয় নাগরিক কাকেদের সামনে।
কাকেরা কা কা থামিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
কি সুন্দর! এক খাবারের ক্ষুধা ভুলাতে অন্য আরেক খাবার এক তুড়িতেই সামনে এসে যায়।
কা কা কা…
আবার নতুন কোন ছিটানো খাবারে চোখ পড়ে নাগরিক কাকেদের,
অমনি চুপ, মজে যায় তারা নতুন খাবারে।
নগরের চাষীরা ঠ্যাং নাচিয়ে বিচিহীন অণ্ডকোষ চুলকে দেখেন আর হাসেন।
জনগণ নামের বিচিত্র প্রজাতির এই কাক
নগরের চাষীরা জানেন কি করে এই কাকেদের ভুলাতে হয়।
ভালো লিখেছেন। আমরা আন্দোলন করে গায়ের রক্ত দিয়ে পথ রাঙাই আর শকুন কাকেরা আমাদের দেহ ছিন্নভিন্ন করে খায়। তার চেয়েও বেশি হিংস্র, কিছু উচ্চপদস্থ লোকজন, প্রভাবশালো লোকজন তারা নির্বিচারে চুষে যাচ্ছে আমাদের রক্ত। বানানে কোন ভুল নেই। কবিতায় কোন ছন্দমিল নেই। তবে কবিতার প্রয়োজনে কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করতে হয়েছে।
যাই হোক, সুন্দর লিখেছেন। শুভকামনা রইল।
আমার মতে,একটু বেশি হয়ে গেলো না।
বাঙালি সবসময়ি জাগরূক জনতা।তাদের দমিয়ে রাখা কখনো সম্ভব নয়।যার উদাহরণ বায়ান্ন,একাত্তর।তবে দেশ চালানো নেতারা এই জনতাকে দমিয়ে রাখতে হত্যায় লিপ্ত হয়ে যায়।তখন নিজের পরিবারের কথা ভেবে থেমে যেতে হয়।কিন্তু থামাটা ক্ষণিকের।বাঙালি আবার জেগে উঠবে।
ঘৃণিত দৃষ্টি সেইসব অমানুষদের প্রতি যারা বাংলার মূল চালিকাশক্তির উপর পা রেখে নিজের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যাস্ত।তাদের বিচার হবে একদিন,এই মাটিতেই।
ইনশাল্লাহ
একের পর এক ইস্যু নিয়ে মানুষ মাতামাতি করে।
একটার পর আরেকটা ইস্যু হলে ধাঁমাচাপা পরে যায়।
নাগরিক কাকেরা একটার পর আরেকটা নিয়ে আন্দোলন করে।শেষ মুহূর্তে সবই নীরব হয়ে যায়।
এটা প্রতিযোগিতার গল্প না।আরেকটু বড় করে লিখতে হবে।
চোখ পরে–চোখে পরে
শুভ কামনা রইলো।