মনে পড়ে তোকে
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০১৭
লেখকঃ vickycherry05

 2,258 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05

ফাজানা নীল
…………

 

মেঘার রীতিমতো স্কুলে আসা আর ভালোভাবে পড়াশুনা করার একমাত্র কারন তিথি। মেঘার আর কোন বন্ধু নেই তিথি ছাড়া। তিথিই মেঘার বেস্ট ফ্রেন্ড। মেঘার কাছে তিথির স্থানটা ছিল অনেক উপরে। মেঘার খুব ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও ছড়া লিখত। এখন সে কবিতা লিখে শুধু তিথির জন্য। তিথি সাধারণত কবিতা পছন্দ করেনা। ব্যাতিক্রম শুধু মেঘার ক্ষেত্রে। মেঘার লিখা কবিতা তার খুব ভাল লাগে। তিথিও মাঝে মাঝে গান লিখে মেঘাকে দেয়। তিথি খুব ভাল গায়তে পারে। স্কুলের প্রায় সব অনুষ্ঠানে সে অংশগ্রহণ করে আর পুরস্কারও জিতে নেয়। তাদের স্কুলের সব টিচারই ওদের দুজনকে খুব ভালোবাসত আর অনেক আদর করতেন। শুধু অংকের টিচার ছিলেন রাগী। পড়া না পারলে তিনি বেত দিয়ে শাস্তি দিতেন। একদিন তিথির শরীর খারাপ থাকায় ক্লাস এ থাকতে পারেনি। সেদিন অংকের স্যার সবাইকে বলে আগামীকাল যে জ্যামিতি বক্স না আনবে তাকে ১০ টা করে বেতের আঘাত দেওয়া হবে। পরদিন সবাই স্কুলে জ্যামিতি বক্স নিয়ে এলো। আনলো না শুধু তিথি। গায়ে জ্বর তিথি স্কুলে এসেছে। বিষয়টি লক্ষ করে মেঘা নিজের জ্যামিতি বক্সটা রেখে দিল তিথির সামনে। স্যার ভাবলেন মেঘা জ্যামিতি বক্স আনেনি। কঠিন মার খেল মেঘা। এভাবেই চলে গেল অনেকগুলো দিন।হঠাৎ করেই তিথিদের ঢাকায় চলে যেতে হয়। তিথির বাবার ট্রান্সফার হয়েছে ঢাকায়। তিথি তার বাবার ট্রান্সফারের বিষয়টা আগে থেকেই জানত কিন্তু মেঘাকে কিছু বলেনি। তিথি যাওয়ার পরদিন মেঘা স্কুলে যায় কিন্তু তিথির দেখা পায় না।,এভাবেই চলে যায় দিনের পর দিন। এক সময় বছরও পেরিয়ে যায়। মেঘা আজও অপেক্ষায় থাকে তার প্রিয় বান্ধবী তিথির জন্য। আর কিছুদিন পর মেঘার স্কুল জীবন শেষ হয়ে যাবে। সামনে শুরু হবে কলেজ জীবন। তিথি ছাড়া নতুন শিক্ষা জীবনের কথা ভাবতেই তার বুকটা ভারী হয়ে আসে। মেঘা হারিয়ে যায় তার অতীত স্মৃতিতে। তিথির সাথে কাটানো সময়ে ডুব দেয় আর ভাবে তিথিও কি আমার কথা মনে পরে।

সম্পর্কিত পোস্ট

শয়তানকে পরাজিত করুন –

শয়তানকে পরাজিত করুন –

কোন এক দাওয়াতে এক ভাবী গল্প করছিলেন যে, এক মহিলা যখন তার Husband রাগ হয় তখন তিনি আয়াতুল কুরসি পড়েন আর তার স্বামী বিড়াল হয়ে যান । তখন আর এক ভাবী বললেন," ভাবী - আয়াতুল কুরসি পড়লে উনার স্বামী বিড়াল হন না বরং ঐ মহিলার সাথের শয়তানটা পালিয়ে যায়” । ভাবীদের এই...

একজন মানুষের গল্প

একজন মানুষের গল্প

দুই টাকার আইসক্রিম, বই সামনে নিয়ে চিৎকার করে পড়া, কলম দিয়ে এক অক্ষর বারবার লিখে হাত ব্যাথা সহ্য করতে করতেই ছোটবেলা কাটিয়ে দেওয়া। একটু বড় হওয়ার পর ছন্নছাড়া হয়ে যাওয়া। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেয়া কোনো এক বট তলা। যেখানে বসে আড্ডা দিত কয়েকজন স্কুল পালানো...

অস্ফুট কান্না

অস্ফুট কান্না

লেখা: মোহসিনা বেগম , প্রচণ্ড শীত পড়েছে আজ। চারদিক কুয়াশা যেন চাদর বিছিয়ে রেখেছে। সকাল এগারোটা বেজে গেছে এখনও সূর্যের দেখা নেই। ছুটিতে কয়েকটা দিন গ্রামে থেকে আনন্দ করব কিন্তু প্রচণ্ড শীতে জমে যাচ্ছি। লেপের নীচ থেকে বের হতেই ইচ্ছে করছে না। ওদিকে মা কতক্ষণ ধরে ডেকেই...

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *