মহাপ্রস্থান
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,653 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

কবিতা: ‘মহাপ্রস্থান’
লেখা: ইমদাদুল আদ্রিয়ান

মহাপ্রস্থান আমি তোমার অপেক্ষায়
মহাপ্রস্থান আমি তোমারি দুয়ারে
নিয়ে নাও, নিয়ে নাও বরণ করে আমারে।
তোমারি অপেক্ষায় হয়েছে রাতের অবসান
অজ্ঞাত কত পাখি দিয়েছে নির্বিঘ্নে তাদের জান,
অবশেষে হলো নারীর অপমান।
তাদের অপেক্ষায় তুমি, মহাপ্রস্থান।

প্রেমিকার রুপে যে পতিতা নিয়েছে গর্ভে সন্তান
তার জন্যই তুমি, মহাপ্রস্থান।
প্রেমিক বেশে ধর্ষক সেজে
যারা করল আমার বোনেদের অপমান।
তারা মানুষ নয়…
তাদের জন্যই তুমি, মহাপ্রস্থান।

বৃক্ষতলে স্বজন বেশে কথা বলল যে প্রথিক
তার মধুকালে আবদ্ধ কত যে বাসস্থান।
তবুও সে অপেক্ষায় আছে
তোমার জন্য, মহাপ্রস্থান।

আমি অশিক্ষিত, মূর্খ-নির্বোধ
সমাজের জন্য করতে পারবোনা কিছু মঙ্গলকর।
আলসে দেহে সামান্য কাজে
দেখি চোখে অতিশয় অন্ধকার।

অন্ধ ভিক্ষুকের থালা থেকে
টাকা চুরি করল যেই জারজ সন্তান।
তারা তো মানুষের বাচ্চা নয়,
তাদের জন্যই তুমি, মহাপ্রস্থান।

তোমার সন্ধানে ছেড়েছি নিজ সদন
তুমি দেখা দিয়ে করো আমায় তা সম্প্রদান।
নাকি ওপারে নিতে আছে কোন বিধান?
দেখা দেও, দেখা দেও… মহাপ্রস্থান।

সইতে পারিনা এই নির্যাতন, জুলুম, লাঞ্ছনা
এক অবেলায়, অবসরে এসো মেহমান বেশে।
তোমার নিকটে এই আরজি আমার
করো প্রতিজ্ঞা, আসবে আমার দেশে।

তোমার অপেক্ষায় সন্ধ্যা পেরিয়ে এলো রাত
তবুও তুমি অদৃশ্যই রয়ে গেলে বহমান।
অজ্ঞাত অশ্বের পিছে পাঠিয়ে দিও তিমির
তোমার অপেক্ষায়, মহাপ্রস্থান।

সম্পর্কিত পোস্ট

নির্বাক_পাখি

নির্বাক_পাখি

হে কবি,      শক্ত করে ধরো,       তোমার অস্ত্র। আবারো,      তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে,      রক্তে রঞ্জিত করে দাও,      এই শুভ্র ময়দান। হে কবি,     শক্ত করে ধরো,     তোমার অস্ত্র। যেভাবে,     কবি নজরুল ধরেছিল,      ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে,    কবি সুকান্ত চেয়েছিল,  ...

তুলসী বনের বাঘ

তুলসী বনের বাঘ --আল-মুনতাসির। চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! ছদ্মবেশে ছড়িয়ে দিলো বিষম বিষের নাগ। ইচ্ছে করে কামড় খেলে, ভরলে হৃদয় বিষের নীলে কী করে আর দেখবে প্রিয় কৃষ্ণচুড়ার বাগ ? চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! চোখে তোমার বিষের তেজে পর্দা এলো নেমে, জগত...

ভালোবাসা রং বদলায়

: ভালোবাসা রং বদলায় লেখা: অদ্রিতা জান্নাত ছোট মেয়েটা খুব করে কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করেছিল আমি যেন একটি হলেও তার কাছ থেকে ফুল কিনে নেই, ঠিক যতবার আমি তাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলাম সে যেন ঠিক ততটাই আমার পিছু ছুটতে লাগল। আচ্ছা, এই যে শিশুটা যে কিছু টাকার বিনিময়ে আমাকে...

৪ Comments

  1. Halima tus sadia

    অসাধারণ লিখেছেন।মনোমুগ্ধকর লেখা।
    কবিতায় বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
    বানানেও ভুল নেই।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  2. সুস্মিতা শশী

    প্রথিক – পথিক
    দেখা দেও – দাও
    পারবোনা – পারব না। না আলাদা বসে। আরো কয়েক জায়গায় একসাথে লেখা হয়েছে।

    Reply
  3. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম। ভালো ছিল। কিছু কিছু ভুল রয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম :
    তোমারি – তোমারই
    প্রথিক – পথিক
    সদন – সনদ
    দেও – দাও (কবিতার লাইন অনুযায়ী)
    পারিনা – পারি না
    পারবোনা – পারবো না
    বলল – বললো (প্রমিত বাংলা নিয়মে)
    করল – করলো

    আগামীর জন্য শুভ কামনা।

    Reply
  4. Md Rahim Miah

    তোমারি-তোমারই
    প্রথিক-পথিক
    পারবোনা-পারবো না
    দেও-দাও
    পারিনা-পারি না
    বাহ্ কবিতার মাঝে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে, পড়ে অনেক ভালো লাগল। শুভ কামনা রইল।

    Reply

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *