কবিতা: ‘মহাপ্রস্থান’
লেখা: ইমদাদুল আদ্রিয়ান
মহাপ্রস্থান আমি তোমার অপেক্ষায়
মহাপ্রস্থান আমি তোমারি দুয়ারে
নিয়ে নাও, নিয়ে নাও বরণ করে আমারে।
তোমারি অপেক্ষায় হয়েছে রাতের অবসান
অজ্ঞাত কত পাখি দিয়েছে নির্বিঘ্নে তাদের জান,
অবশেষে হলো নারীর অপমান।
তাদের অপেক্ষায় তুমি, মহাপ্রস্থান।
প্রেমিকার রুপে যে পতিতা নিয়েছে গর্ভে সন্তান
তার জন্যই তুমি, মহাপ্রস্থান।
প্রেমিক বেশে ধর্ষক সেজে
যারা করল আমার বোনেদের অপমান।
তারা মানুষ নয়…
তাদের জন্যই তুমি, মহাপ্রস্থান।
বৃক্ষতলে স্বজন বেশে কথা বলল যে প্রথিক
তার মধুকালে আবদ্ধ কত যে বাসস্থান।
তবুও সে অপেক্ষায় আছে
তোমার জন্য, মহাপ্রস্থান।
আমি অশিক্ষিত, মূর্খ-নির্বোধ
সমাজের জন্য করতে পারবোনা কিছু মঙ্গলকর।
আলসে দেহে সামান্য কাজে
দেখি চোখে অতিশয় অন্ধকার।
অন্ধ ভিক্ষুকের থালা থেকে
টাকা চুরি করল যেই জারজ সন্তান।
তারা তো মানুষের বাচ্চা নয়,
তাদের জন্যই তুমি, মহাপ্রস্থান।
তোমার সন্ধানে ছেড়েছি নিজ সদন
তুমি দেখা দিয়ে করো আমায় তা সম্প্রদান।
নাকি ওপারে নিতে আছে কোন বিধান?
দেখা দেও, দেখা দেও… মহাপ্রস্থান।
সইতে পারিনা এই নির্যাতন, জুলুম, লাঞ্ছনা
এক অবেলায়, অবসরে এসো মেহমান বেশে।
তোমার নিকটে এই আরজি আমার
করো প্রতিজ্ঞা, আসবে আমার দেশে।
তোমার অপেক্ষায় সন্ধ্যা পেরিয়ে এলো রাত
তবুও তুমি অদৃশ্যই রয়ে গেলে বহমান।
অজ্ঞাত অশ্বের পিছে পাঠিয়ে দিও তিমির
তোমার অপেক্ষায়, মহাপ্রস্থান।
অসাধারণ লিখেছেন।মনোমুগ্ধকর লেখা।
কবিতায় বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
বানানেও ভুল নেই।
শুভ কামনা রইলো।
প্রথিক – পথিক
দেখা দেও – দাও
পারবোনা – পারব না। না আলাদা বসে। আরো কয়েক জায়গায় একসাথে লেখা হয়েছে।
আসসালামু আলাইকুম। ভালো ছিল। কিছু কিছু ভুল রয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম :
তোমারি – তোমারই
প্রথিক – পথিক
সদন – সনদ
দেও – দাও (কবিতার লাইন অনুযায়ী)
পারিনা – পারি না
পারবোনা – পারবো না
বলল – বললো (প্রমিত বাংলা নিয়মে)
করল – করলো
আগামীর জন্য শুভ কামনা।
তোমারি-তোমারই
প্রথিক-পথিক
পারবোনা-পারবো না
দেও-দাও
পারিনা-পারি না
বাহ্ কবিতার মাঝে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে, পড়ে অনেক ভালো লাগল। শুভ কামনা রইল।