——————-ইয়াসরিব খান
আর কতদিন চলবি রে তুই ?
সম্পদের ঐ বড়াই করে ,
সব গরিমা সাঙ্গ হবে
শেষ বিদায়ের কাফন পরে ৷
ফুটপাতে দুই চোখ মেলে দেখ –
গরিব কাঙ্গাল হাজার হাজার ৷
ক্ষুধায় ওদের রাত কেটে যায়
একটু মুখে যায় না আহার ৷
বস্ত্র বিনা নিদ্রা টুটে
পৌষ-মাঘের ঐ শীতের লাগি ৷
মনের কথা বলবে কাকে ?
করবে কাকে দুখের ভাগী ?
এতিম শিশুর ভাত জোটে না –
খাবার পানে তাকিয়ে থাকে ৷
পকেট খালি নেই দু টাকা ,
কে বা আহার করাবে তাকে ৷
মানবতা যাচ্ছে মরে
খাচ্ছে ধোঁকা টাকার জালে ৷
হারাম টাকায় উদয় ভরিস
মাংস পোলাও সাঁটার তালে ৷
তাদের কে তুই ভাই মনে কর
তাই খাওয়াবি নিজে যা খাস ,
তাদেরকে তুই আপন ভেবে
একটু মাথায় হাত বুলে যাস ৷
মানবতা আন ফিরে আন
হাতটি বাড়া তাদের পানে ,
বন্ধু ভেবে তাদেরকে তুই
ঊর্ধ্বে বসা নিজ আসনে ৷
গরীব দুঃখী থাকবে না কেউ
গাছ তলাতে থাকবে সুখে ,
মানবতা ফিরবে তবে
ফুটবে হাসি সবার মুখে ৷
—————————————
————–তারিখ : ৩০/৯/১৮
স্থান : আরবী বিশ্ববিদ্যালয় , চট্টগ্রাম
দারুণ লেখা।যদিও লেখাটাকে আমার কাছে ছড়া মনে হচ্ছে।আর ‘সাঁটার তালে’ শব্দদ্বয়ের অর্থ বুঝি নি।আর পঁচিশ নাম্বার লাইনে মানবতা আন ফিরে আন না দিয়ে মানবতা ফিরিয়ে আন- হলে ভালো হবে বলে মনে করি।ভালোবাসা নিবেন এত্তো সুন্দর লেখার জন্য♥
যে ব্যক্তি সাধারন একটা শব্দের অর্থই জানে না সে আবার কোনটা কবিতা এবং কোনটা ছড়া দুইটার মধ্যে পার্থক্য কি ভাবে করবে ৷
রাগ করবেন না ভাইয়া।আসলেই আমি জানিনা।এবং আমার জ্ঞানও অনেক কম।
বাস্তবতা তুলে ধরেছেন প্রিয়। অসাধারণ শব্দচয়নে মুগ্ধ হলাম।
‘ঐ’ শব্দটি এখন এককভাবে ব্যবহৃত হয় না, সেক্ষেত্রে ‘ওই’ হবে
শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ হে প্রিয়
অসাধারণ একটা লেখা পড়লাম। এই লেখা নিয়ে যতই বলব কম মনে হবে। ধনী ব্যক্তিরা শুধু নিজের স্বার্থটাই বুঝে, দরিদ্রদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। কবিতার প্রতিটা চরণই অনন্য। পথশিশুদের করুণ দশা ফুটে উঠেছে। ছন্দমিলগুলো বেশ মনোমুগ্ধকর।
বানানে দু’টো ভুল আছে।
দু টাকা- দু’টাকা।
উদয়- উদর।
আন্তরিক শুভ কামনা রইল।
ওটা মিস্টেক হয়েছে
সুন্দর গল্প!
সুন্দর গল্প!
চমৎকার একটি কবিতা।
মনোমুগ্ধকর লেখা।শব্দচয়নও খুব ভালো।
সমাজে ধনী ব্যক্তিরা সবসময়ই সম্পদের বড়াই করে।
এতে কোনো কাজে আসবে না।
একদিন সব ছেড়ে পরপারে যেতে হবে।সেখানে সম্পদের বড়াই করা যাবে না।শুধু আমলটাই দেখবে।
শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ হে প্রিয়
অনেক সুন্দর লাগলো। আজকাল রাস্তায় কোনো ভিক্ষারী টাকা চাইলে সবাই এমন ভাব করে যেন কথা শুনতেই পাচ্ছেনা। তবে মানুষের ও দোষ নেই কারণ এমন অনেকেই রোজগার করার শক্তি থাকতেই ভিক্ষা করে।আজ যদি বড় বড় লোক গুলো একটু সাহায্য করতো তাহলে আর এমন হতো না।
ঠিক বলেছেন প্রিয়
আমরা সবাই এব্যাপারে সচেতন,অথচ পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমাদের মতই সচেতন মানুষ গুলো কোন না কোন কারনে অগ্রাহ্য করে চলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে
আফসোস!এই শুভ আকাঙ্খাটা কল্পনাতেই পরিপূর্ণতা পায়।
আশা রাখি বাস্তবেও হোক।
আমরা নিজেরা রুখে দাঁড়ালে রুখে দাঁড়াবে বাংলাদেশে
মানবতা আজ আর নেই।
মানুষ আজ নিজের স্বার্থ নিয়ে খুব ব্যস্ত।
তারা তাদের পাশেই অভাবী মানুষদের দিকে আর তাকায় না।
সুন্দর মুলভাব।
এক কথায় অনবদ্য। সুরে সুরে পড়ছি কবিতাটি। আসলেই পৃথিবীতে মানবতার ডাক খুবই প্রয়োজন। মানবতা নেই বলে প্রতিনিয়ত ভিক্ষুক ধুঁকে ধুঁকে মরছে। কেউ পেটপুরে আহার পাচ্ছে আর কেউ পাচ্ছে তার উচ্ছিষ্ট।
ধন্যবাদ ভাই