তাসনিম আলম কাব্য
কবিতার ছুটি শেষ। ক্রুশবিদ্ধ কবির হৃদয়ে বিস্ফোরিত হোক সমস্ত ভালবাসা,
বুক সমান বিরহ পেরিয়ে বুভুক্ষের মতোন কবিতা লিখুক শব্দের জন্য!
তুমি দেখে নিও প্রিয়তমা,নগরীর বিপন্ন কবিদের কলমের কালিতে তোমায় নিয়ে আবারো কবিতার ঝড় উঠবে।
তেইশটা আন্তঃমানবিক এক্সপ্রেস ধসিয়ে দিয়ে বোকানগরীর জনৈক শব্দশ্রমিক অপেক্ষা করবে।
তার হাত থেকে চুঁইয়ে পড়বে সদ্য লেখা তিনশত আঠারোটা কবিতা,ক্যাম্প ফায়ারের আলোতে অপেক্ষা করবে তার প্রিয়ভাষিণীর জন্য ।
তুমি দেখে নিও প্রিয়তমা, সেদিন আকাশের চাঁদোয়ায় একুশটা দুর্লভ তারা শ্বেতপদ্মের মতেন জ্বলজ্বল করবে।
মেট্রোপলিটন সিটির সবচেয়ে নিঃসঙ্গ কবি তোমার স্পর্শ পাবার জন্য নগরীর বাতাসে কবিতার বিস্ফোরণ ঘটাবে।
প্রত্যেক পূর্ণিমা রাতে,শহরের বুক জুড়ে তেরোটা করে জলপাই গাছ লাগিয়ে অপেক্ষা করবে।
তোমার স্পর্শে তার দেহ থেকে খসে যাবে একাকিত্বের বিচূর্ণ ফসিল,ব্যাবিলনীয় নিগূঢ় নিঃসঙ্গতার চুম্বন রেখে সে নিখোঁজ হবে তোমার ঠোঁটে।
তুমি দেখে নিও প্রিয়তমা,অষ্টাদশী পূর্ণিমাতে তোমার পায়ে হাঁটা মখমল ভরে উঠবে জারেনিয়ামের পাপড়িতে।
ঘড়িতে অন্ধকার বাজলে যে কবির বুকের সমুদ্রে কাঁদতো ভালবাসার একাকী খনিজ,সে কবি তোমার জন্য বুক পকেটে জমা করবে শ্রাবণের প্রথম আর্দ্রতা,তেত্রি
শটা অমাবস্যার রাত ডিঙিয়ে ঘেমে ওঠা সমস্ত অক্ষরগুলো সে
জ্যোৎস্নাধোয়া জলে গলাবে তোমার জন্য, বিষাদের আর্তনাদ থেকে ভালবাসার চুম্বনে।
তুমি দেখে নিও প্রিয়তমা,পয়সার মতোন সাদা কোনো ভোরে জনৈক শব্দশ্রমিক, তার বায়ান্নটা বর্ণমালার মালিকানা তোমায় দিয়ে অপেক্ষা করবে নতজানু হয়ে।
শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ,
লেখনশৈলী মুগ্ধকরা।
শব্দের মালালা গেঁথে মনে ঝুলিয়েছেন
বাহ! কবিতাটা খুবই সুন্দর। শব্দচয়ন বেশ মনোমুগ্ধকর! প্রতিটি চরণই খুব সুন্দর। বানানে দু’টো ভুল আছে।
ধসে- ধ্বসে।
পাপড়ি- পাঁপড়ি।
শুভ কামনা রইল।
সুন্দর কবিতা।তবে চরণগুলোর ভাবার্থ বুঝতে আমার কষ্ট হইছে।প্রতিটি শব্দ যেনো অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন।শব্দ চয়ন ভালো হলেও
তেমন উপলদ্ধি করতে পারি নাই।
কারণ সব শব্দের অর্থ অতো বুঝি না।
বানানেও কোনো ভুল নেই।
পাপড়ি–পাঁপড়ি
শুভ কামনা লেখকের জন্য।
বেশ সুন্দর কবিতা লিখেছেন।
আবৃত্তি করে তৃপ্তি পেলাম।
চর্চা চালিয়ে যাবেন, বেশ?
শুভকামনা রইলো।