কাটিয়ে রাত, শূণ্য হাত
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,150 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখকঃহাবিব মোহাম্মদ

বড় আপা এসে বললেন,’আনু,অরু এসেছে।’
আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম।অরু মানে?কোন অরু?
‘আরেহ!আমাদের অরু।’
বুঝলাম কোন অরু।একটা উদাস নিঃশ্বাস ফেলে প্রায় নিঃশব্দে বললাম,’আমাদের অরু আপা?’
আপা বোধহয় শুনতে পেলেন না।হড়বড় করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।আমার এ বোনটা একটু হড়বড়ে।ছোট শিলাটা আবার শান্ত কেমন যেন লাজুক আর ধীরস্থির স্বভাবের।জাহাঙ্গীরনগরে কেমিস্ট্রিতে ভর্তি হয়েছে এবার।
শিলার বিয়ের কথাবার্তা চলছে।মা উঠেপড়ে লেগেছেন।বললাম অন্তত আরো দু বছর অপেক্ষা করি?মা রাজি হয়নি।আমার বাবা নেই তাই মা এ ব্যাপারটাতে মা যথেষ্ট আগ্রহী।আমিও এখনো বিয়ে করিনি।মায়ের ধারনা শিলার বিয়ের জন্য আমি বিয়ে করিনি এখনো।তাছাড়া ছেলেপক্ষ যথেষ্ট সমীহ করার মতো।তড়িৎ প্রকৌশল পাশ করে বিদেশে যাবে স্কলারশিপ নিয়ে।শুনেছি বিয়ে করে শিলাকেও নিয়ে যাবে বিদেশে।বিয়ের ব্যাপারে শিলাও অমত করেনি খুব একটা।
আমার বড় আপা ঢাকা থাকেন।অবশ্য আমার চাকরিও ঢাকায়।তবে দুজন দু মাথায়।আপা থাকেন মিরপুর আর আমি মতিঝিলে।আমার দুলাভাই মুন্সিগঞ্জ সরকারি হড়গঙ্গা কলেজের ইংরেজির সহকারী অধ্যাপক।ঢাকার বাইরে থাকেন।সপ্তাহান্তে একবার ঢাকায় আসেন।সম্পৃতি তাকে বদলি করে ঢাকার বাইরে মুন্সিগঞ্জে পোস্টিং দেয়া হয়েছে।এতে তিনি মহাবিরক্ত।ঢাকায় আসার জন্য চেষ্টা তদবির চলছে অবশ্য।হয়তো শীঘ্রই চলেও আসবেন!এসব আপার মুখ থেকেই শোনা।আমার হড়বড়ে আপা ভীষণ ব্যস্ত মানুষ।বাসায় তার শ্বাশুড়ি থাকেন।দু মেয়ের দুটাই ভীষণ পাঁজি।বড়টা আবার এবার থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে।আপা নিজে আনা নেয়া করেন।সব মিলিয়ে আপা দারুন ব্যস্ত।শিলার বিয়ের কথাবার্তা,ছেলেপক্ষের আগমন উপলক্ষ্যে আপারও আগমন ঘটেছে অনেকদিন বাদে।
মাটিতে পা দিয়ে খাটের উপর বসে ছিলাম।উঠে দাঁড়ালাম।আমার ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে।রুমে পানির জগ আর মগ আছে।ঢেলে পানি খেলাম পুরো মগ ভর্তি করে।তারপর ধীরে ধীরে হেঁটে শিলার রুমের দরজার সামনে গিয়ে টোকা দিলাম।
“কে?”
-আমি।দরজা খোল।
“ও ভাইয়া তুই?দাঁড়া আসছি।”
দরজা খুলে ভেতরে ঢুকলাম।আমার বোনটাকে আজ ভালোই সুন্দরী লাগছে।সাজুগুজু করাতে বোধহয়।খয়েরি পাড়ের একটা শাড়ি পড়েছে।
‘কি?খুব সাজুগুজু করা হচ্ছে না?তা কদ্দূর এগুলো?
ও কিছু বললো না।লজ্জা পেলো বোধহয়!
মুখের হাসি ধরেই রেখেই বললাম,’ছেলেটাকে বিয়ে করতে চাস তুই?তুই কি ওকে দেখেছিস?’
দেখেছি কেবল এট্টুক বলেই আর কিছু না বলে লজ্জা পেয়ে মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নিচু করে ফেললো।
আমি হাসলাম।’মাগো!এর মধ্যেই এতো ভালোবাসা পুষিয়ে ফেলেছিস যে একেবারে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছিস.’
“উফ ভাইয়া,তুমি আর একটা কথাও বলবা না।যাও এখন।আমার এখনো কাজ বাকি পড়ে আছে।দরজা বন্ধ করবো।”
‘কাজ কি আর?আরো রূপবতী বানানো নিজেকে।তোকে ওরা এমনিই পছন্দ করবে।ভাবিস না।’
“ভাইয়া!তুমি এখনি যাও।আর একটাও কথা বলবে না।”
বেচারী লজ্জা পেয়েছে।
ওর রুম থেকে বেরিয়ে এসে আমার রুমে ঢুকলাম।ধপাস করে আবার বসে পড়লাম খাটের উপর।আবার তৃষ্ণা পেয়েছে আমার।বুঝতে পারছি না ক্যানো এতো তেষ্টা পাচ্ছে আজকে আমার?জগ থেকে পানি ঢাললাম মগে।তারপর ঢকঢক করে এক নিঃশ্বাসে পানি সাবাড় মগের।
এতো বছর বাদে অরু কেনো আসবে আমাদের বাড়িতে তাই ভাবতে পারছি না!উঁকি মেরে সামনের রুমে দেখলাম একটু।ছেলের বাড়ি থেকে আসা মেহমানদের সাথে বসে আছে অরু।বুকের ভেতরটা হঠাৎ ধক করে উঠলো।কতদিন বাদে!বছর দশেকের মতো হবে মনে হয়,দেখলাম ওকে।
আমার বয়স তখন কত?আঠারো ছুঁই ছুঁই।কলেজে পড়ি তখন।এক ষোড়শী তরুণীর প্রেমে পড়লাম।অরুর প্রেমে।আমরা প্রতিবেশী আমরা সেই জন্ম থেকেই।ভালোই চলছিলো।কলেজ শেষ করে ভার্সিটি পা দিয়েছি সবে।এর মধ্য একদিন হুট করে বাবাটা মরে গেলো!বড় আপার তখনো বিয়ে হয়নি।অনার্স শেষ হবার দিকে আপা তখন।
শিলার বয়স বোধহয় আট/নয়।বাবা বেসরাকারি চাকুরী করতেন।পেনশানের কোনো ব্যাবস্থা নেই।যাকে বলে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়া তাই হলো।টিউশানি নিলাম কয়েকটা।বড় আপাও শুরু করলেন।মামাবাড়ি থেকে সাহায্য পেলাম না।অথৈ সাগরে পড়ে গেলাম।আমি আর আপা,আমাদের স্ট্রাগলে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নিলাম।তারপর আমার জন্য আরেকটা মন খারাপ করা খবর এলো।অরুর বিয়ে ঠিক হয়েছে।ছেলে সরকারী চাকুরীজীবী।বড় আপা আমাদের বিষয়টা জানতেন।আজকের মতো সেদিনো আপা এসে খবরটা দিয়েছিলেন।আজকের মতোই খাটের উপর বসা ছিলাম তখন।’ও,আচ্ছা।’ এইটুক বলেই চুপ ছিলাম আমি।আপা সেদিন কিছু বললেন না।কেবল আমার পাশে বসলেন।পিঠে আলতো করে হাত বুলালেন।তারপর উঠে চলে গেলেন।বজ্র কঠিন জীবনের সাথে লড়তে গিয়ে এদ্দিনে আমি শক্ত হয়ে গিয়েছি ভীষণ,প্রেমিকা,প্রেম বিষয়ে ভাবাটা যে কেউ আমাদের তখনকার অবস্থার প্রেক্ষিতে বিলাসিতা বলতো।তবুও মন খারাপ হলো আমার।একটু না অনেকখানি।তারপর কিভাবে যেন বিয়েও হয়ে গেলো অরুর।শেষবারের মতো কথা বলারও সুযোগ হয়নি অরুর সাথে।বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে সবাই চোখে চোখে রাখা শুরু করলো ওকে।বের হতে পারেনি বোধহয় এজন্য আর!বিয়ের দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না।আপা এসে বললেন,’আনু,তুই কোথাও চলে যা দুদিনের জন্য।থাকিস না এখানে।খামোখা কষ্ট পাবি,নিজেকে সামলে রাখা কষ্ট হবে।শান্ত হলে দুদিন পর আসিস।’আমার এ বোনটা কিভাবে যেন আমায় এতো ভালো বুঝতো।পাঁচদিন বাদেই সেবার ফিরে এসেছিলাম।বধূর সাজে দেখা হয়নি আমার অরুকে।সেই অরুকে বছর দশেক বাদে দেখলাম আজ।খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বরং চেহারায় ঔজ্জ্বল্য এসেছে।বালিকা আভা মুছে গিয়ে রমণী হয়েছে,সুন্দরও হয়েছে।দশ বছর কমতো নয়!
‘এইইই আনু,তুই এখনো এখানেই বসে!রেডি হবি না।ওনারা এলো একটু কথাবার্তা বলবি,সময় দিবি না?কি মহাচিন্তায় পড়েছিস?’
আমার সম্বিৎ ফিরে এলো।কিসব অমূলক ভাবনা।ঝেড়ে উঠে রেডি হয়ে সবার সাথে গেলাম।কথাবার্তা পাকা হলো,বিয়ের তারিখ সহ যাবতীয় সব ঠিকঠাক।খাওয়া দাওয়া কেবল শেষ হয়েছে তাদের।গল্প গুজব করছে মুরুব্বিরা।অরুকে দেখলাম শিলার রুমে গেলো।ওর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়নি আজও।ভাবলাম হবেনা হয়তো!ঘর থেকে বেরিয়ে ছোট্টো উঠোনে দাঁড়ালাম।আকাশ পরিষ্কারই বিকেল নেমে আসছে।কি ভেবে ঘরের দিকে গেলাম।আমার রুমে ঢুকবো গিয়ে দেখি শিলা আর অরু গল্প করছে।অরুকে বোধহয় রুম দেখাচ্ছে শিলা।শিলা খুব খুশি।ছোটোবেলার তার অরু আপা কতবছর বাদে তাদের বাড়ি এসেছে!তাও তার বিয়ের কথা নিয়ে!আমি আর অরু মুখোমুখি হয়ে গেলাম।অপ্রস্তুত হয়ে হাসি দিলাম একটা।কি করবো বুঝতে পারছিলাম না!ওর অবস্থাও বোধহয় তাই!সম্বোধন করা নিয়ে বিপদে পড়েছি।ছোটোবেলা থেকে তুই করে বলেছি অবশ্য প্রেমে পড়ার পর থেকে তুমি বলতাম।ও আপনি বলতো সাথে আনু ভাই।প্রেম হবার পর সেও তুমিই বলতো।আমাদের প্রেমের অঘোষিত সমাধি হয়েছিলো সেই দশ বছর আগেই।জড়তা ভেঙ্গে আমিই হঠাৎ বলে উঠলাম,’অরু,তুই ছেলেপক্ষের সাথে!আমাদের বাড়ি!”নিজের কন্ঠস্বর নিজেই চমকে উঠলাম।কথা বলতে গিয়ে ধরে আসছিলো কন্ঠস্বর।তবুও স্পষ্ট স্বরেই জিজ্ঞেস করলাম।
‘ছেলে সামান্তার বাবার চাচাতো ভাই,আমার একপ্রকার দেবর।তো এজন্য উনারা আমাকে নিয়ে আসলেন এখানে।’
বললাম,’সামান্তা তোর মেয়ে,না?কতটুক হয়েছে?’
‘নয় বছর।এবার ক্লাস থ্রিতে।পড়াশোনা মাশাল্লাহ ভালোই।দোয়া করিয়েন আনু ভাই।’
বাহ।ভালো খুব।অবশ্যই দোয়া করি।তোর মেয়েকে আনিসনি?
-নাহ।ওর স্কুল আছে।বিকেলে চারটার পর ছুটি হবে।ওর দাদীর কাছে আজকে থাকতে বলেছি।আমি দেখি আজ না হলে কালই ফিরে যাবো।
ও,আচ্ছা।হেসে বললাম,তা সংসার ধর্ম কেমন চলছে?
-চলছে ভালোই।ব্যাস্ততা আছে প্রচুর।ও অফিস করে সন্ধ্যার দিক আসে।মেয়েকে স্কুলে আনা নেয়া করি আমি নিজেই।ইনকাম ওর মোটামুটি।মিরপুরের দিক জায়গা কিনেছি কয় কাঠা!লোন উঠিয়ে বাড়ির কাজ ধরবে ভাবছে ও!
আমি কিঞ্চিৎ হাসলাম।’বাহ তুই তো ভালোই সংসারী হয়ে উঠেছিস রে!’
এবার ও একটু হাসলো।লজ্জামিশ্রিত হাসি।
-হয়তো।আনু ভাই বিয়ে করেন না কেনো এখনো।বয়স কত আপনার?
হৃদপিন্ডে একটা ধাক্কা লাগলো বোধহয়!সামলে বললাম,’করবো তো!শিলার বিয়ের জন্যেই অপেক্ষা করছিলাম।বয়স বেশি নয় সাড়ে আটাশ বোধহয়।কমবেশি কিছু হবে।ত্রিশ এখনো হয়নি।মেয়ে দেবে আশা করি।’বলেই ছেড়ে হাসলাম কিছুটা।
-আপনার সেই আগের মতো কথা!বিয়ে করেন দ্রুত।
শিলা এসে তার অরু আপাকে ডাক দিলো।ছেলেপক্ষ চলে যাবে এখন।অরুকে ডাকছে।
আমাদের কথার মাঝখানে শিলা কখন রুম থেকে বেরুলো,কখন ফিরে এলো টের পাইনি কিছুই!
-আনু ভাই আসি এখন।বলে চলে গেলো অরু।ছেলে পক্ষকে বিদায় দিতে হবে ভেবে বেরিয়ে এলাম রুম থেকে।এগিয়ে দিলাম অনেকটুক তাদের।বড় রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানো আছে।চলে যাচ্ছে তারা।সাথে চলে যাচ্ছে অরু।ওর গায়ে লাল বেনারসি না হলেও নীল শাড়ি।গয়নাগাটিও পড়েছে যথেষ্ট।অরু আজকে থাকবে না।বাড়ি গিয়ে সবার সাথে দেখা করে এসেছে নাকি কোন ফাঁকে।আমার রুমে চলে এলাম।দক্ষিণ দিকের জানলাটা দিয়ে বড় রাস্তাটা অবধি দেখা যায়।স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না তবুও আমি ধরতে পারছি অরুর নীল শাড়ি।অরু গাড়িতে উঠার জন্য তোড়জোড় করছে।কিছুক্ষণ বাদে ছেড়ে দিলো গাড়ি।অরু চলে গেলো।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।শীত আসতে শুরু করেছে কেবল।হালকা মতো কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে দূরে।আমার ভালোই লাগছে জানালা দিয়ে ক্ষুদ্র এই চিলেকোঠা থেকে।
তড়িঘড়ি করে বড় আপা এলেন।
‘আনু আমি আজই চলে যাবো।আমাকে যেতে হবে।কাল অফ ডে তোর দুলাভাই ঢাকায় আসবে কাল।নাইট কোচে বাসে উঠায় দিস আমাকে।’
আপা রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।আমার মনে হচ্ছে চারপাশে সব শূণ্য।এ হিউজ জিরো।অনেক বড় শূণ্য,কেবল আমিই বিদ্যমান এতো বড় শূণ্যতায়,অনলি মি।আমার কবিতার দুটা লাইন মনে পড়ছে-
‘শূণ্যতার মাঝে ভেবে দেখো কত বড় তোমার রাজত্ব,
জেনে রেখো কেউ কারো নয়,কেহ বুঝবে না তোমার ক্ষত।’
কার লিখা কে জানে?নাকি নিজেই কল্পনায় বানালাম।হয়তো নিজেই!আমি ভাবি নাগরিক জীবনে সবাই ব্যস্ত?কত বেশি ব্যস্ত!পুরোপুরি সন্ধ্যা নেমে এলো,আজান পড়েছে দূরে কোথাও।গালের মধ্যে গরম পানির ফোঁটার উষ্ণতা পেয়ে টের পেলাম চোখ গড়িয়ে জল পড়ছে।অথচ আমি তো কাঁদছি না!মুছে ফেলে বের হয়ে গেলাম রুম থেকে।এইরূপ সন্ধ্যায় কাঁদা নাকি শুভলক্ষণ না শুনেছি ছোটোবেলায়।আমি আবার ভাবি,কি ভাবি বুঝিনা।শুভ অশুভের হিসাব মেলাই সাড়ে আটাশ বছরের এ জীবনের।

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৩ Comments

  1. আখলাকুর রহমান

    লেখকঃ – লেখক: (বিসর্গের অপব্যবহার হয়েছে। বিসর্গ হলো একটি অক্ষর)

    দু বছর – দু’বছর

    সম্পৃতি – সম্প্রতি

    দারুন – দারুণ

    শাড়ি পড়েছে – পরেছে

    এট্টুক – এইটুকু/এতটুকু

    ক্যানো – কেন?

    বেসরাকারি – বেসরকারী

    ব্যাবস্থা – ব্যবস্থা

    টিউশানি – টিউশনি

    এদ্দিনে – এতদিনে

    রেডি হবি না। – হবি না? (জিজ্ঞাসা চিহ্ন হবে)

    কিসব – কী সব

    ব্যাস্ততা – ব্যবস্থা

    কেনো – কেন

    করেন না কেনো এখনো। – এখনো? (“?” হবে শেষে)

    অনেকটুক – অনেকটুকু (লেখক অধিকাংশ স্থানে “টুক” শব্দ ব্যবহার করেছে। এক্ষেত্রে “টুকু” গ্রহণযোগ্য)

    গয়নাগাটিও পড়েছে – পরেছে

    কি ভাবি – কী

    ভালো লিখেছেন। উপস্থাপন ভঙ্গি বেশ।
    চেষ্টা করলে আরো ভালো হবে ইনশাল্লাহ্।
    একটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করুন।
    শুভ কামনা রইল।

    Reply
  2. আফরোজা আক্তার ইতি

    মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি গল্প পড়লাম। বেশ সুন্দরভাবেই সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। আনু আর অরুর মত অনেকের পবিত্র ভালোবাসাই অসমাপ্ত থেকে যায়, পূরণ হয় না তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। কিন্তু সবকিছুই রয়ে যায় স্মৃতির পাতায়। কিছু স্মৃতি মানুষকে হাসায়, কিছু কাঁদায়।
    সুন্দর লিখেছেন। তবে কথোপকথন গুলো আরেকটু পরিষ্কারভাবে লিখলে ভালো হত। বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন। কিছু বানান ভুল আছে, শুধরে দিচ্ছি।
    দু বছর- দু’বছর।
    ধারনা- ধারণা।
    উপলক্ষ্যে- উপলক্ষে।
    সম্পৃতি- সম্প্রতি।
    দারুন- দারুণ।
    ক্যানো- কেন।
    বেসরাকারি- বেসরকারি।

    Reply
  3. মাহফুজা সালওয়া

    অনেক ভালো লেগেছে।
    বেশ ইউনিক থিম + সুন্দর উপস্থাপন ভঙ্গি।
    তবে কিছু জিনিস পাঠকের কাছে আরো স্পষ্ট রাখা উচিত ছিলো।
    মাঝখানে আনু আর অরুর কনভার্সেশন বেশ খাপছাড়া লেগেছে।
    আরেকটু গুছিয়ে লেখা উচিত ছিলো।
    আরেকটা বিষয়, গল্পের নাম নির্বাচনে আরো দক্ষ হওয়া উচিত,কারন এটাই কিন্তু গল্পের প্রধান আকর্ষণ।
    শুভকামনা রইল ????

    Reply

Leave a Reply to আখলাকুর রহমান Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *