কাছে থেকেও দূরে তুমি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,830 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

গল্পঃ “””কাছে থেকেও
দূরে তুমি””
Writer : Sohagur Rahman (Sohag)

কাছে আসার গল্পগুলো সবসময়ই সুন্দর হয়না।
কখনো কখনো কাদাঁয়ও! ভালবাসার
গল্পগুলো কখনো কখনো কাগজের পাতায়
উপন্যাস, নাটকের জন্ম দেয় আর বাস্তবের
সাথেও কখনো কখনো এতটাই মিশে যায় যখন তা
আর গল্প মনে হয়না।
বছর দুয়েক আগের কথা আমার বন্ধু আবীর মারা
গেছে! আর তার রেখে যাওয়া ডাইরীর পাতা
থেকেই নেয়া এই গল্পের কাহিনী: আমি তখন
দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি সামনেই আমার এইচএসসি
পরীক্ষা। পড়া শোনাই আমার ধ্যানজ্ঞান কিন্তু
বিকালে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যেতাম প্রায়
প্রতিদিন। একদিন বিকালে ঘুরতে গেলাম আমাদের
পাশের গ্রাম হৃদয়পুর! গ্রামটি ছিল পাহাড়ের
পাদদেশে তাই দূর থেকে অনেক সুন্দরই দেখাত
। আমি আর আকাশ সবচেয়ে ভালবন্ধু । সেই
ছেলেবেলা থেকেই আমরা একসাথে বেড়ে
উঠেছি। দুরন্তপণার অন্ত নেই আমাদের দুজনের।
অন্য সবার চেয়ে আকাশ আমার কাছে সবচেয়ে
সেরা কারণ সে অনেক কাজ পারে যা আমি পারিনা।
যেমন,গাছে উঠা,সাইকেল চালানো,নদীতে জাল
ফেলা ইত্যাদি। যাওয়ার সময় দেখলাম একটা গাছে পাকা
আম ঝুলছে থোকায় থোকায়। দেখে আর
লোভ সামলাতে পারলামনা । আকাশ বলল,আবীর আম
খাবি নাকি? আমি বললাম,হ চল অনেকদিন আম চুরি করে
খাইনা। আমি বললাম,উঠ আমি নিচে থেকে তোকে
ধাক্কা দিচ্ছি! আকাশ বলল,লাগবেনা আমি একাই পারবো
তুই একটু আড়ালে গিয়ে বস দেখিস কেউ আসে
নাকি এদিকে? আমি গিয়ে গাছের আড়ালে দাড়ালাম
আকাশ গাছে উঠতে না উঠতেই ডাল ভেঙ্গে
পড়লো । আমি দৌড়ে ছুটে গেলাম গিয়ে দেখি
পড়ে কাতরাচ্ছে। তারপর ওকে মাটি থেকে ওঠালাম
। হঠাৎ শুনতে পেলাম বিকট হাসি আমি তো ভয়
পেয়ে গেলাম আর বললাম চল আকাশ পালাই। ও
আমার হাত টেনে ধরল আমি আরো ভয় পেয়ে
গেলাম।ও বলল, আরে ওটা ভুত প্যাত কিছুই না একটা
মেয়ে। অদ্ভুদ সুন্দর তার হাসি দেখে আমি যেন
কোথায় হারিয়ে গেলাম! অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছি কখন যে পাশ কাটিয়ে চলে গেল টেরই
পেলাম না। আকাশ বলল,ওই চল কি হইল তোর? আমি
কোন কথা না বলেই হা করে দাড়িয়ে রইলাম আকাশ
হাত ধরে টান দিয়ে বলল,চল অনেক হইছে আর
দেখিস না নজর লেগে যাবে ! পরে বাড়ি ফিরে
এলাম তখনও যেন ঘোর কাটেনি চোখে ভাসছে
তার মায়াবী হাসি যা আমাকে প্রায় পাগল করে
দিয়েছে। সেদিন রাতে আর ঘুম এলোনা ।
আকাশকে বললাম,চিনস নাকি ওই মেয়েটাকে? আকাশ
বলল,কারে? আমি বললাম,আরে ওই যে কাল বিকালে
দেখা হল! আকাশ বলল, ও হ্যা ক্যান দোস? আমি
বললাম,প্রেম করবো! আকাশ বলল,কি তুই প্রেম
করবি? হাসবো না নাচবো হা হা হা ! আমি খুব লজ্জা
পেলাম ওর কথায়! পরে ও বলল,আরে চিন্তা করিস
না ! চল হৃদয়পুর কলেজের সামনে দেখা হবে ও
এবার একাদশ শ্রেণীতে পড়ে আমাদর সাথীর
বান্ধবী। ওকে বলে দেখি ও কিছু করতে পারে
কিনা? তবে তাই কর দোস আমারে সাথে নিয়ে চল।
চললাম দুুজন একসাথে সাথীকে খোজাঁর নাম
করে দুজন কলেজে প্রবেশ করলাম । সাথী ওর
বান্ধবীদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আকাশ
বলল,সাথী একটু এদিকে আয় তো ! সাথী
বলল,তোরা বস আমি আসছি। তারপর সাথীকে
বুঝিয়ে বললাম ও বলল, আচ্ছা দেখি ভাইয়া আমি কিছু
করতে পারি কিনা? আমাকে দেখার পর একটা মুচকি হাসি
দিয়ে দৌড়ে ক্লাসে চলে গেল আমি নির্বাক
তাকিয়ে দেখলাম ।আকাশ বলল,চল সাথীকো
বলেছি দেখা যাক কি হয় তুই চিন্তা করিসনা! তারপর
ফিরে এলাম বাড়িতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নেমে এল।
পড়ার টেবিলে আজ আর মন বসলনা। মা বলল,কিরে
এত তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাচ্ছিস যে! মা শরীরটা ভাল নেই
খুব খারাপ লাগছে যাও তুমি আমি ঘুমাচ্ছি আমাকে ডাক
দিওনা! পরের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে নামাজ
পড়তে গেলাম।নামাজ পড়ে দোয়া করলাম খোদার
কাছে। মনের লুকানো কথাগুলোর সমাধান তো
তারই হাতে। পরে সকালের নাস্তা করে কোচিংএ
চললাম আকাশের সাথে । পথে ওই মেয়েটির
সাথে দেখা হল। ও আমার দিকে তাকানোর সাথেই
হাসি এসে গেল ।আর ওর মুুখটা মলিন হয়ে গেল ।
পরের দিন বিকালে সাথীও আমাদের সাথে ঘুরতে
গেল ওদের গ্রামে । আমি হেসেই বললাম,
এখনো তো নামটাই জানা হলনা! সাথী বলল,ওর নাম
সাদিয়া রহমান।খুব মেধাবী আর চঞ্চল ভাল গান ও
গাইতে পারে। আমি বললাম,থাক আর প্রশংসা করতে
হবেনা! তারপর সাথী ওদের বাড়িতে গিয়ে ওকে
সাথে করে নিয়ে আসলো! আমরা নীল পাহাড়ের
উপর অপেক্ষা করলাম ।ওরা আসলো তারপর জমে
উঠল আমাদের আড্ডা। আকাশ সাথে গিটারটা সাথে
নিয়ে গেছিল। আমি বললাম,এখানে একজন খুব ভাল
গান গায় ! শুনে সাদিয়া বলল, থাক আর মজা করতে
হবেনা ! আমি বললাম, মজা না তুমি তো পারো ! এ
নিয়ে মজা করার কি আছে…. .. দ্বিতীয় অংশঃ আচ্ছা আমি বলছি! গিটার কে বাজাবে?
কেন আমি! আকাশ বলল পারবি তো? আরে পারবনা
কেন? তাহলে শুরু করো ওয়ান,টু,থ্রি স্টার্ট…..
” আমার হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে
দেখতে তুমি পাওনি….
তোমার আখিঁ পানে চেয়ে ছিলাম
বুঝতে তুমি চাওনি….আ আ আ
তোমার হিয়ার মাঝে….
গান শেষ হল! সাথে সাথেই সাথী আর আকাশ
করতালির মাধ্যমে আমাদের অভিনন্দন জানালো।
বিকালের সূর্যটাও হেলে পড়লো পশ্চিম আকাশে।
গোধূলির আলোতে সেই সুন্দর বিকেলটা আমার
জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে যতদিন বাচিঁ।
আমাকে কি যে বলবে বলে সাথীকে বলল,ওনার
সাথে একটু কথা বলা যাবে। ও বলল,আচ্ছা তাড়াতাড়ি বল
সন্ধ্যে নেমে এল যে! আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর
ও বলল, আপনার ফোন নাম্বারটা কি দেয়া যাবে নাকি?
আমি বললাম, কেন নয়? ও বলল,আমিতো ফোন
আনিনি আপনি আমার নাম্বারে একটা ফোন দিন! ওকে
বল তাহলে! তারপর বাড়ি ফিরে এলাম! চোখে ঘুম
নেই শুধু ওকে মনে পড়ছে। ফোন দিলাম
গভীর রাতে। একপর্যায়ে আমি বললাম,চোখ বন্ধ
করতো ! ও বলল,কেন? আরে আগে করোই
না ! আচ্ছা ঠিক আছে । আমি বললাম,দেখতো
আমাকে দেখতে পারো কিনা? ও বলল,হ্যা
দেখতে পাচ্ছি! আপনি কি পাচ্ছেন? পরে অনেক
কথা হল । আর এভাবে রাত,দিন,সপ্তাহ, মাস পেরিয়ে
গেল যে কিভাবে বুঝতেই পারিনি। এভাবে
আমাদের প্রণয়ের শুরু আর শেষটা এত মর্মান্তিক
হবে কখনো ভাবতে পারিনি! যাক সে কথায় পরে
আসছি! দেখতে দেখতে আমার পরীক্ষার দিন
ঘনীয়ে এল। ও বুুঝতে পারল এখন আমাকে আর
বেশি ডিস্টার্ব করা যাবেনা। তাই বলল, তোমার
পরীক্ষা শেষ হলে আমরা আবার পূর্বের অবস্থায়
ফিরে আসবো। পরীক্ষা শেষ এবার ফলাফলের
পালা ও আমাকে বলল, চিন্তা করোনা তুমি অনেক
ভালো রেজাল্ট করবা দেখ! ওর কথায় সত্যি হল
আমি মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেলাম ! এবার
চিন্তা ভালো কোন ভার্সিটি তে ভর্তি হবো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডমিশন দিলাম চান্স হলো
রাষ্ট্রবিজ্ঞান এ । দূরত্ব এবার বাড়া শুরু হল!
হোস্টেলে উঠলাম কিছুদিনের মধ্যে বন্ধু্ বান্ধব
হল একগাদা।ওদের সবাই আমাদের প্রেম সম্পর্কে
জানত।কয়েক মাস পর খবর দিল আকাশ। সাদিয়ার
শরীরটা অনেক খারাপ! প্রচন্ড জ্বরে
ভুগতেছে। আমি রাতেই বাড়ি পৌঁছে গেলাম ওকে
দেখতে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি
চোখ দিয়ে কেবল নামতে লাগলো অশ্রুরধারা।
একটু হেসে ও বলল,কাদঁছ কেন? আমি ভাল হয়ে
যাবোতো! প্লিজ কেঁদনা! চোখের জল মুছে
ওর কপালে হাাত দিতেই আমার হাত যেন গরমে
পুড়ে গেল। এত জ্বর গায়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে
হবে ! কাল সকালে তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে
যাবো । গভীর রাতে আকাশ ছুটে এল! আমি
তাড়াতাড়ি উঠেই বললাম কিরে আকাশ এতরাতে তুই?
আমি বললাম, কি হইছে।ও বল শেষ অংশঃ দূর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনে বুকের
ভেতরে একটা মোচড়দিয়ে উঠল! আর অজানা এক
ভয়ে হাত পা কাপঁতে লাগল। গিয়ে দেখি মরণ
যন্ত্রণায় ছটফট করছে সাদিয়া! আমি বললাম, আকাশ
ঠেলাগাড়িটা আন তাড়াতাড়ি ওকে হাসপাতালে নিতে
হবে! পথিমধ্যে আমার হাত চেপে ধরে বলল, আমি
হয়তো আর বাচবনা আবীর। আমাকো ক্ষমা করে
দিও আমি যে তোমার হতে পারলামনা! বড় ভালবাসি
বলেই থেমে গেল ওর কন্ঠস্বর! ও তখনো
আমার হাত ধরে রেখেছে শক্ত করে। আমি
কান্নার ভাষাও হারিয়ে ফেললাম! মুখ থেকে কিছু
বের হলনা কেবল চোখ দিয়ে নামলো বিরামহীন
অশ্রুরধারা। পরেরদিন বাদ যোহর ওকে দাফন করে
বাড়ি ফিরে এলাম। সপ্তাহ খানেক পর কলেজে
ফিরে এলাম। ওকে ভুলতে তো পারলাম না আর
আমিও দিনে দিনে শেষের পথে যাত্রা করলাম।
কয়েকদিন পর আমিও অসুস্থ হয়ে পড়লাম হাসপাতালে
ভর্তি হলাম! ভাবলাম আমার বেচেঁ থেকে কি লাভ?
ওর সাথে যদি মরতে পারতাম তবে তাই ভাল হোত ।
আল্লাহ আমার কথা রাখলেন আমিও চলে গেলাম!
আকাশকে বলেছিলাম যে আমি যদি মরে যায় ওর
কবরের পাশেই যেন আমাকে কবর দিস! ও
বলল,চুপকর আর একবারও বলিসনা কিন্তু এই কথা! আমি
মরার সময় আকাশকে একটা চিঠি দিয়ে গেলাম আর
আমার ডাইরীটাও! জানি ও সেদিন খুব কেদেছিল!
আমার শেষ কথা ছিল,”কাছে থেকেও দূরে তুমি”!
এটা পড়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি আমি
আশা করি ওরা পরের জীবনে যেন দূরে নয় খুব
কাছে থাকে। ওদের কবরের পাশে গোলাপ আর
বেলী ফুলের সুবাস আমাকে মুগ্ধ করল। দোয়া
করলাম ওদের জন্য! আকাশ আমাকে অনেক
সহযোগিতা করেছিল এ গল্প লেখার ব্যাপরে……
“ভালবাসা কখনো মরেনা
বেচেঁ থাকে ততদিন,
মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা
বেচেঁ আছে যতদিন।
গল্পের কাহিনী কাল্পনিক বাস্তবে যদিও এর সাথে
কিছু কথা মিলেও যেতে পারে……
অনেকদিন পর খুব কষ্ট করে লিখলাম আমার লেখা
শ্রেষ্ঠ এই গল্পটি! পড়বেন কিন্তু??? ল,আয় গেলেই
দেখতে পাবি বলে হাত ধরে অন্ধকারেই পৌছে
গেলাম ! ওদের বাড়ি….. শেষ অংশঃ দূর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনে বুকের
ভেতরে একটা মোচড়দিয়ে উঠল! আর অজানা এক
ভয়ে হাত পা কাপঁতে লাগল। গিয়ে দেখি মরণ
যন্ত্রণায় ছটফট করছে সাদিয়া! আমি বললাম, আকাশ
ঠেলাগাড়িটা আন তাড়াতাড়ি ওকে হাসপাতালে নিতে
হবে! পথিমধ্যে আমার হাত চেপে ধরে বলল, আমি
হয়তো আর বাচবনা আবীর। আমাকো ক্ষমা করে
দিও আমি যে তোমার হতে পারলামনা! বড় ভালবাসি
বলেই থেমে গেল ওর কন্ঠস্বর! ও তখনো
আমার হাত ধরে রেখেছে শক্ত করে। আমি
কান্নার ভাষাও হারিয়ে ফেললাম! মুখ থেকে কিছু
বের হলনা কেবল চোখ দিয়ে নামলো বিরামহীন
অশ্রুরধারা। পরেরদিন বাদ যোহর ওকে দাফন করে
বাড়ি ফিরে এলাম। সপ্তাহ খানেক পর কলেজে
ফিরে এলাম। ওকে ভুলতে তো পারলাম না আর
আমিও দিনে দিনে শেষের পথে যাত্রা করলাম।
কয়েকদিন পর আমিও অসুস্থ হয়ে পড়লাম হাসপাতালে
ভর্তি হলাম! ভাবলাম আমার বেচেঁ থেকে কি লাভ?
ওর সাথে যদি মরতে পারতাম তবে তাই ভাল হোত ।
আল্লাহ আমার কথা রাখলেন আমিও চলে গেলাম!
আকাশকে বলেছিলাম যে আমি যদি মরে যায় ওর
কবরের পাশেই যেন আমাকে কবর দিস! ও
বলল,চুপকর আর একবারও বলিসনা কিন্তু এই কথা! আমি
মরার সময় আকাশকে একটা চিঠি দিয়ে গেলাম আর
আমার ডাইরীটাও! জানি ও সেদিন খুব কেদেছিল!
আমার শেষ কথা ছিল,”কাছে থেকেও দূরে তুমি”!
এটা পড়ে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি আমি
আশা করি ওরা পরের জীবনে যেন দূরে নয় খুব
কাছে থাকে। ওদের কবরের পাশে গোলাপ আর
বেলী ফুলের সুবাস আমাকে মুগ্ধ করল। দোয়া
করলাম ওদের জন্য! আকাশ আমাকে অনেক
সহযোগিতা করেছিল এ গল্প লেখার ব্যাপরে……
“ভালবাসা কখনো মরেনা
বেচেঁ থাকে ততদিন,
মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা
বেচেঁ আছে যতদিন।
গল্পের কাহিনী কাল্পনিক বাস্তবে যদিও এর সাথে
কিছু কথা মিলেও যেতে পারে……

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৪ Comments

  1. আখলাকুর রহমান

    গল্পঃ – গল্প: (বিসর্গের অপব্যবহার হয়েছে)

    লেখকের নাম – যেহেতু এটা একটা প্রতিযোগিতা, তাই বাংলাতে নাম লেখা উচিৎ ছিলো

    ডাইরীর – ডায়েরির

    পড়া শোনাই – শোনায়

    দুজনের – দু’জনের

    অদ্ভুদ – অদ্ভুত

    খোজাঁর – খোঁজার

    সাথীকো – সাথীকে

    বাচিঁ – বাঁচি

    ঘনীয়ে – ঘনিয়ে

    প্রচন্ড – প্রচণ্ড

    মোচড়দিয়ে – মোচড় দিয়ে

    বাচবনা – বাঁচবো না

    আমাকো – আমাকে

    হোত – হতো

    ব্যাপরে – ব্যাপারে

    এক অংশ দুইবার এসেছে। বিরামচিহ্নের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিৎ ছিলো।
    শুভ কামনা।

    Reply
  2. মাহফুজা সালওয়া

    গল্পের কাহিনী ভালো ছিলো,কিন্তু উপস্থাপন ভঙ্গিটা ভালো লাগেনি।বেশকিছু ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হয়েছে।যেমন: এলোমেলো কথন,বানান ভূল,বিরামচিহ্নের অনুপস্থিতি ইত্যাদি ।
    অনুরোধ রইল নেক্সট টাইম আরো গুছিয়ে লিখবেন।
    আরো যত্ন করে লিখবেন।
    ভূল-ত্রুটি সবারই হয়।
    তবে, সেই ভূল থেকে যারা শিক্ষা নিতে পারে, তারাই প্রকৃতঅর্থে সফল।
    শুভকামনা রইল আপনার জন্য ????????

    Reply
  3. আফরোজা আক্তার ইতি

    গল্পের থিম বেশ ভালো ছিল। তবে আরো যত্ন ও আরো সময় নিয়ে লিখলে আরো ভালো লেখা হত। গল্পের কথোপকথন গুলো “_” চিহ্নের মধ্যে না রাখায় এলোমেলো লাগছে। বানানে প্রচুর ভুল। লেখার হাত ভালো। আরো চর্চা করলে আরো সুন্দর লেখা পাবো আমরা। বানানের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হবেন।
    কাদাঁয়ও- কাঁদায়ও।
    ডাইরী- ডায়েরী।
    পড়াশোনাই- পড়াশোনায়।
    দুজনের- দু’জনের।
    দাড়ালাম- দাঁড়ালাম।
    ভুত-প্যাত- ভুত-প্রেত।
    অদ্ভুদ- অদ্ভুত।
    আমাদর – আমাদের।
    সাথীকো- সাথীকে।

    Reply
  4. আফরোজা আক্তার ইতি

    খুব সুন্দর লিখেছেন। গল্প সুন্দর। গল্পের থিমও সুন্দর। তবে গল্পের উপস্থাপনা ও বর্ণনাভঙ্গি ভালো লাগে নি। এর জন্য গল্প মার খেয়ে গেছে।
    বানানে বেশ কিছু ভুল আছে।
    ডাইরীর- ডায়েরীর।
    পড়াশোনাই- পড়াশোনায়।
    অদ্ভুদ- অদ্ভুত।
    দুজনের- দু’জনের।
    সাথীকো- সাথীকে।
    প্রচুর অনুশীলন ও চর্চা করলে লেখার হাত আরো ভালো হবে। ই এবং য় এর গড়মিল করেছেন বেশ কিছু শব্দে।সচেতন থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

    Reply

Leave a Reply to আফরোজা আক্তার ইতি Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *