লেখক তুহিন আহমেদ
(মার্চ – ২০১৮)
……………
বড় লক্ষী মেয়ে মা — কেয়া ,
ধার্য হলো দিন সামনের শুক্রবার তার বিয়া ।।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে , দিতে হবে অনেক পণ ,
ঋণ করে হলেও দিব টাকা নিজেকে বুঝ দিল তার মন ।
করিল ঋণ দিল যৌতুক টাকা এক লাখ,
মেয়ের বাবা ফেলিলেন নিঃশ্বাস ——
মাথা থেকে নেমেছে বোঝা , টাকা গেছে যাক ।
কিছুদিন পর ….
ঋণের টাকা দিতে না পেয়ে হারালো এক বিঘা জমি ,
রইলো না আর কোনকিছু ছাড়া ভিটে ভূমি ।
বাবার চোখে অঝোরে ঝরছে জল,
কি করে চলবে বুড়ো বুড়ি নেই যে আর শরীরে বল।
বড় আশা করে বড় লোকের বাড়িতে —
মেয়েকে দিয়েছিলেন বিয়ে,
মেয়ের কপালে জুটলো না সুখ, ওদের অমানসিক অত্যাচারে।
সইতে না পেরে কন্যা আত্মহত্যা করিল,
এই জগত সংসার তাহা শুধুই চাহিয়া দেখিল।।
হে ধরণীর মানুষ —
কেয়ার মতো ঝরবে আর কত তাজা প্রাণ?
ঝরবে কত পরিবার?
কবে উঠিবে যৌতুক প্রথা?
গাইবে সবাই ইনসাফের গান।।
০ Comments