জীবনকে উপলব্ধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০১৮
লেখকঃ vickycherry05

 2,053 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05

লেখক : ইমরান হোসাইন
(এপ্রিল – ২০১৮)
………………

কনকনে শীতের মাঝে শরীর থেকে কম্বলটা সরাতেই কেঁপে উঠে ফারজানা।
এ বছর শীতটা একটু বেশিই পড়েছে। আর তাই তো শহুরে ইট -পাথরের মাঝেও শীতের তীব্রতা প্রকট।
ফারজানা অতি সন্তর্পনে কম্বলটা গা থেকে সরিয়ে রুম থেকে রেরিয়ে আসে। ধীর পদে সে এগিয়ে যায় বাথরুমের দিকে। টেপ ছেড়ে পানিতে হাত দিতেই পুনর্বার কেঁপে উঠে ফারজানা। ভয়ঙ্কর শীতল পানি। তবুও কষ্ট করে অজু করে নেয় সে। অতঃপর নামাজ সেরে পুনরায় বিছানায় চলে যায়।
এটা ফারজানার প্রতিদিনকার রুটিন। যদিও এটা একজন সাধারণ মুসলিম মেয়ের স্বাভাবিক কাজ, তবে বর্তমান এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলে এই দৃশ্য বড্ড বিরল। শুধু বিরল নয় বরং দুঃসাহসিকও বটে।
বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন ধর্মীয় আচার – আচারণ পালন শুধু অস্বাভাবিক নয়, কঠিন হয়ে পড়েছে । সত্যিই বিস্ময়কর! নব্বই শতাংশ মুসলমানের –
এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আজ ইসলাম ধর্ম হুমকির সম্মুখীন। এখানে পর্দা করা, নামজ পড়া, ইসলামের পথে
আহ্বান করা – এসব কাজকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়।
তবে শত বাধার মাঝেও ফারজানার মতো কিছু মেয়ে কিংবা ছেলে রয়েছে- যাদেরকে সৃষ্টিকর্তা অসীম সাহস আর প্রজ্ঞা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যারা শত বাঁধা উপেক্ষা করেও সৃষ্টিকর্তার হুকুমকে বাস্তবে রূপান্তর করে থাকে।

ফারজানার পুরো নাম ফারজানা ইসলাম নাইমা। মফস্বল শহরে উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে।
তার পবিত্র চেহারা -যে কাউকে বিমোহিত করে দেয়। নারী রূপের সমুজ্জ্বল ঝলকানি তার চেহারায় ভরপুর। ফারজানা জানে, তার রূপের এই আকর্ষণ যে কোনো পুরুষের মনকেই ফুসলাতে পারে। আর তা থেকেই সৃষ্টি হতে পারে মানসিক দুর্বলতা, পাপবোধ কিংবা আরও জঘন্য কিছু।
সৃষ্টিকর্তা নারী-পুরুষের মাঝে যে আকর্ষণ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তা উপেক্ষা করার মতো নয়। আর তাই তো তিনি তৈরি করে দিয়েছেন কিছু সীমারেখা। সেই সীমারেখা কিছুটা নারীর জন্য, কিছুটা পুরুষের জন্য।
ফারজানা কখনো তার সীমরেখা অতিক্রম করার বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেনি বরং সে এই সীমারেখার মাঝেই নিজের শান্তি খুঁজে পেয়েছে।

বেলা তখন আটটার মতো বাজে, সবাই ধীরে-ধীরে ঘুম থেকে উঠতে শুরু করেছে। ফারজানাও উঠেছে। ঘুম থেকে
উঠেই হাত-মুখ ধৌত করে ক্লাসের জন্য প্রস্তুত হয়। প্রতিদিনকার মতোই বোরকা আর মাথায় হিজাব পরে বের হওয়ার কারণে বান্ধবীদের তিরস্কার মাথা পেতে নিয়ে হলে ফিরে । সবার কথায় মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে ফারজানা তার লক্ষ্যে এগিয়ে
চলে। ফারজানার রুমম্যাট ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় আপু মিতু প্রায়শই ফারজানাকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করে।
মিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা পরিচিত বাম দলের সাথে জড়িত। জন্মসূত্রে মুসলিম হলেও মিতুর মতো হাজারো মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এসে গোমরাহ হয়ে যায়। বেছে নেয় ভিন্ন এক পথ।
যে পথে শান্তি নয় অশান্তির দাবানলে ঘিরে ধরে তাদের। ফারজানা বরাবরই তাদের থেকে সাবধান থাকতে চেষ্টা করে থাকে।
তবে মিতু মেয়েটা কোনো ভাবেই তার পিছু ছাড়ছে না। মনে হয় ফারজানকেই মিতু তার পরবর্তী লক্ষ্য বানিয়ে নিয়েছে। কথাগুলো মনে হতেই আঁৎকে উঠে ফারজানা। সে ভাবে, তাকে আরও সচেতন থাকতে হবে।

ব্যাবসায় শিক্ষা ভবনের পাশেই সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন একটা বাগান। পুরোটা বাগান জুড়ে হরেক রকম বাহারি ফুল। নিচটা ঘন সবুজ ঘাসে পূর্ণ। তাতেই বসে অনেকে আড্ডা দিচ্ছে। ফারজানাও বসে আছে, তবে সে একা।
তার দৃষ্টি পাশের একটা গোলাপ গাছের দিকে। গাছটায় রক্ত লাল গোলাপ ফুটে মনোরম সুবাস ছড়াচ্ছে। মৃদু বাতাসে দোলছে গোলাপটি। মাঝে মাঝে একটা প্রজাপতি উড়ে উড়ে বসছে তাতে। খুব মনযোগ নিয়েই দৃশ্যটি দেখছিল ফারজানা।
মুখে তার মৃদু হাসির রেখা।
– কেমন আছ ফারজানা ?
অকস্মাৎ পাশ থেকে প্রশ্নটি করে মিতু।
মিতুকে দেখেই ফারজানা দাঁড়িয়ে যায়। মুখের হাসির রেখাটি আরও স্পষ্ট করে বলে,
– আরে আপু, কখন আসলেন?
– আমি ভালো, আপনি?
– হুম ভালো, বস।
কথাটা বলে মিতু নিজেও বসে।
ফারজানাও বসে পড়ে।
– আপু, আপনার ক্লাস শেষ ?
– না, আছে। তুমি এখানে একা একা বসে আছ কেন?
– এমনি আপু। একটু পর ক্লাস আছে তো, তাই।
– ও আচ্ছা, কিন্তু তোমার বন্ধুরা কোথায়?
– ওরা নাকি আজ আর ক্লাস করবে না, মুভি দেখবে। তাই চলে গেছে।
– তুমি গেলে না কেন ?
ফারজানার বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না মিতু আলোচনাটা কোথায় নিতে চাচ্ছে। বামপন্থী এই দলগুলো ধর্ম না মানলেও ধর্ম নিয়ে তারা আলোচনা করতে বেশ পছন্দ করে। কারণ তাদের লক্ষ্যই থাকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ ছেলে-মেয়েদের বিভ্রান্ত করে তাদের মন থেকে ধর্মের প্রভাব চিরতরে মুছে ফেলা। তাই ফারজানা মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করে নিচ্ছিল।
আজ আর সে মিতুর কোনো কথাকেই সে এড়িয়ে যাবে না।
– কী হলো ফারজানা, কিছু বলছো না যে?
– এমনিতেই আপু, ভালো লাগছিল না। আসলে আপু আমি ছেলে-মেয়েদের একসাথে অবাধ চলাফেরাকে পছন্দ
করি না।
ফারজানার কথায় অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে মিতু। খানিকক্ষণ হেসে, মৃদু হাসির রেশ নিয়েই মিতু বলে,
– ফারজানা, তুমি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‍এর ছাত্রী। তোমার মুখে এসব কথা মানায়?
মিতুর কথা শুনে ফারজানাও মৃদু হেসে বলে,
– আপু, আমরা এখানে পড়ি বলে কি আমাদের গ্রাম, আমাদের মূর্খ বাবা-মা, আমাদের পরিবারকে ভুলে যেতে
পারবো? পারবো না। আমরা যদি সত্যিই মানুষ হয়ে থাকি তবে সেটা কখনোই সম্ভব নয়। তেমনিভাবে যারা মুসলমান
তাদেরও যে কোনো পরিস্থিতিতেই তাদের নিজেদের শিকড়কে ভুলে যাওয়া চলে না আপু। আমি যেখানেই থাকি না কেন, যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, আমার প্রথম পরিচয় আমি একজন মুসলমান। আর আমার ধর্ম আমাদের জীবন-যাপনের সীমারেখা টেনে দিয়েছে। সেই সীমা অতিক্রম করাটা আমাদের জন্যই অকল্যাণকর।
নিশ্চুপভাবেই মিতু ফারজানার কথাগুলো শুনে যাচ্ছিল ।
তার চেহারা একদম শান্ত। যে কোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখার ব্যপারটা বামপন্থীরা নিজেদের একটা কর্মকৌশল হিসেবে নিয়েছে।
মিতু শান্ত কণ্ঠেই বলে,
– তোমার ধর্ম তো নারীদের তার যথাযথ অধিকার দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই যে তুমি কী সব আল্লাখোলা পরেছো, মাথায় পট্টি বেধে রেখেছো- এসব কী তোমার নিজেকে বাধার সৃষ্টি করছে না? তুমি তোমার নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারছো না, সমাজ থেকে তুমি নিজেকে আড়াল করে রেখেছো। তোমার বন্ধুরা যখন সবাই মিলে আনন্দ করে – তখন তুমি একা একা গুমরো মুখে বসে থাকছো। যে ধর্ম তোমাকে তোমার নিজেকে উপভোগে বাধার সৃষ্টি করছে, কেন তুমি সেই ধর্ম নিয়ে পড়ে থাকবে? বল।
কথাগুলো বলে খানিকটা সময় বিরতি দিয়ে পুনরায় বলতে থাকে মিতু,
– ফারজানা! তুমি বুদ্ধিমতি, শিক্ষিত, অপরূপা সুন্দরী। কেন তুমি ধর্মের দোহাই দিয়ে জীবনটাকে এমন নিরানন্দভাবে কাটিয়ে দিচ্ছ? কেন নিজেকে উপভোগ করছো না? এই সময়টা আর ফিরে পাবে না।
কথাগুলো শুনে ফারজানার বুকটা কেঁপে উঠে। কেমন লোভ দেখিয়ে ওরা ছেলে-মেয়েদের মুসলমানদের প্রকৃত পরিচয়টা মুছে দিচ্ছে! ভাবতেই আঁৎকে উঠে সে। নিজেকে উপভোগের এই লালসা উপেক্ষা করা সহজ নয়।
নিজেকে শান্ত করে বলে ফারজানা,
– আপনি শিরিন এবাদির নাম শুনেছেন? ইরানী মুসলিম । শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল।
তাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিল,
: আপনি কেন হিজাব পরেন? এটাতো মধ্যযুগের প্রথা।
জবাবে শিরিন এবাদি বলেছিল, ‘বর্বর যুগে মানুষ উলঙ্গ থাকতো অথবা অর্ধ উলঙ্গ থাকতো। আমি তো নিজেকে সভ্য যুগের মানুষ হিসেবে নিজেকে আবৃত করে চলতেই পছন্দ করি। আসলেই কি আমরা আধুনিকতার নামে বর্বর সেই যুগে ফিরে যাচ্ছি
না?
তখন নারী-পুরুষের ভেদাভেদ ছিল না, ছিল অবাদ যৌনাচার। পোশাকের ব্যবহার ছিল না।
আমরা কি এখন সেই সময়টাতেই ফিরে যেতে চাই?
জীবনকে উপভোগের নামে কি আমরা তাই করছি না?
অবাধ যৌনাচার, পর্দা-হিজাবের পরিবর্তে নিজেকে কতটা উলঙ্গ করে চলা- এসবই বুঝি আপু নিজেকে উপভোগ করা?
কথাগুলো বলে থামে ফারজানা। মিতু নিস্তব্ধ হয়ে আছে।
চেহারাটা তার শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। তার মনে যেন ভয়ঙ্কর এক অগ্নিদাহের সৃষ্টি হচ্ছে।
কিছু সময় পর ফারজানাই আবার কথা বলে,
– আপু, কখনো কি পৃথিবীটাকে একটু চোখ-কান, আর মন খুলে দেখেছো?
প্রতিদিন শত শত ধর্ষণ, অবৈধ যৌন সম্পর্ক, প্রেমে প্রতারণা- এসব কেন আর কিভাবে ঘটছে?
আমরা যাদেরকে সভ্যতার কর্ণধার হিসেবে মানি, সেই ইউরোপ- আমেরিকাতেই সর্বাধিক ধর্ষণ হয়। সেখানের বড় একটা
সংখ্যক সন্তানরা জানে না তাদের বাবা কে?
সেই সভ্য দেশগুলোতে কেন এমন হয় আপু? নাকি এটাই সভ্যতা?
তাদের সেই সভ্যতা আমাদের দেশে আসতেই আমাদের দেশটাও তাদের মতোই সভ্য হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন
পত্রিকা খুললেই ধর্ষণ এর নিউজ দেখে চোখে জোড়া অশ্রুশিক্ত হয়ে আসে। ভাবি কারা দায়ী এর জন্য?”
ফারজানা চুপ করতেই মিতু বলে উঠে,
– এর জন্য অবশ্যই পুরুষের মানসিকতা দায়ী।”
– হ্যাঁ, পুরুষের মানসিকতা অবশ্যই দায়ী। তবে সেই মানসিকতটা কিন্তু কেউ তৈরি করছে। একটা ছেলে ধর্ষক হয়ে জন্মায় না। তাকে ধর্ষক বানানো হয়। আপু, আপনি বিদুৎ এর তার দেখেছেন নিশ্চয়ই। একটা পজেটিভ আরেকটা একটা নেগেটিভ। যদি কোনো অবস্থাতেই এই দুইটাই একত্রে হয়ে যায় তবে দুর্ঘটনা নিশ্চিত। সেই দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে কিন্তু আমরা দুইটা
তারকেই আবৃত করে রাখি।
নারী-পুরুষের আকর্ষণ একটা প্রকৃতিক বিষয়। বিশেষ করে পুরুষরা যৌনাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকে। আর সেই অবস্থায়
যাদি নারীরাও নিজেদের আরও আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করে, তখনি দুর্ঘটনা ঘটে।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রান এর জন্য কোনো আইন নয়, স্রেফ নারী-পুরুষের সচেতনতা, তাদের নৈতিকতার উন্নতির মাধ্যমেই সম্ভব।
মিতু মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে।
মৃদু হেসে ফারজানা আবার কথা বলে,
– আপু, একটা দিন আমার মতো আল্লাখেলা আর মাথায় হিজাব বেধে আস। দেখবে ছেলেরা তোমার যৌনাঙ্গ কিংবা দেহের দিকে কামুক দৃষ্টিতে নয় বরং পবিত্র এক দৃষ্টিতে তোমার চেহারার দিকে তাকাবে। নিজের অজান্তেই তোমার প্রতি তাদের মনে জেগে উঠবে শ্রদ্ধাবোধ। আর পবিত্রতার মাঝে যৌনতা নয় ভালোবাসা থাকে। ‍একটা দিন মাথায় আমার মতো হিজাব বেধে নিজেকে একটাবার আয়নায় দেখই না, দেখবে এক নিবিড় পবিত্রতা ছেয়ে আছে তোমার চেহারায়।
আপু, শুধু ধর্মীয় অনভূতির জন্য নয় – আমাদের নিজের ব্যক্তিত্ববোধ, সম্মান রক্ষার্তেই আমাদের হিজাব পরিধান করা উচিত।
কথা শেষ করে ফারজানা মিতুর দিকে দৃষ্টি দিয়ে লক্ষ্য করে তার চেহারায় বিন্দু বিন্দু জল খেলা করছে।
ফারজানা মৃদু হেসে বলে,
– কী হলো আপু?
– আমাকে আর লজ্জা দিস না বোন।
কথাটা বলেই মিতু উঠে যায়। যেতে যেতে চোখ জোড়া মুছে নেয় সে। ফারজানার চোখেও আনন্দের জল খেলা করছে। চোখের জলের সাথে সাথে বিজয়ের হাসি হাসে ফারজানা।
সে ঘড়ির দিকে তাকিয়েই চোখ জোড়া মুছে উঠে দাঁড়ায় এবং ক্লাসে চলে যায়। মিতু সোজা চলে যায় হলের দিকে। হয়তো সে পেরেছে জীবনকে উপলব্ধি করতে! শুধু জীবন নয় প্রকৃত জীবন।

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *