হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা চলে যাবার পথ
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,751 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

#নূরানা হক
.
.
হ্যামেলিনের বাশিঁওয়ালা সেই শিশুদেরকে নিয়ে চলে গেল। এদিকে সূর্য ডুবতে শুরু করল। মেয়রের বাড়ির সামনে সারা শহরের মানুষ। মেয়র প্রাণভয়ে পেছন দরজা দিয়ে পালাল। লোকজন তার নির্দোষ চাকরকে মেরে ফেলল। পুরো কাঠের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল। অনেকেই ঘরের অনেক দামী জিনিস পকেটে পুরে নিল। পাড়ার সবচেয়ে মাস্তান ছেলে সালমান কিছুই পেলনা তেমন। তার চেলাপেলারা তাকে মেরে মেয়রের পুরো টাকার ভারী লোহার সিন্দুক কাধেঁ বয়ে নিয়ে গেল কামারের বাড়িতে। সিন্দুকটি দেখে কামারের দু’চোখ লোভে চকচক করতে থাকল। সে বলল, “দাদা, আমি একদম সুন্দর করে খুলে দিব, সিন্দুকটা নষ্ট হবেনা পর্যন্ত।কিন্তু আমাকে দশ হাজার দিতে হবে।”
“আরে বাপ দশ হাজার দুইশো টাকা পাবেন, তাড়াতাড়ি খুলেন তো।” একটা ছোকরা ধমকে ওঠে বলল কথাটা।
কামার খুশিতে আাটখানা। তাড়াতাড়ি সব যন্তপাতি বের করতে লাগল।
.
সেদিন নীল আকাশে চাদঁ ছিলনা মোটেও। ঘন অন্ধকারে শহরের উত্তরের জঙ্গলল দিয়ে দৌড়াচ্ছিল মেয়র। বার বার পেছন ফিরে তাকাচ্ছিল। তার দু’চোখ লাল হয়ে আসছে। কান্না আসছে তার। মনে মনে ভাবছে, “এতক্ষণে নিশ্চয়ই হাড়হাভাতের বাচ্চারা তার বাড়ি মহানন্দে লুটপাট সেরেছে।”
কাগজে তার কোন ভরসা ছিল না। সব সোনা করে ভরেছিল সিন্দুকের মধ্যে। ফ্রান্সের এক ভোজ সভায় গিয়ে রাণীর একটা আংটি চুরি করেছিল সে। গাঢ় সবুজ মুক্তার আংটি। বার বার ওটার কথা মনে হচ্ছে। তবে কয়লার ব্যবসায়ী একজনের জন্য খারাপ লাগছে। তারও মুক্তো জমানোর শখ। লোকটার নাম ব্রুনো। স্তীর নাম সোরাস। মেয়র ক্লান্ত হয়ে বসল একটা বিশাল ঝোপের উল্টোদিকে। তখনি অন্ধকারে একটা স্প্র্শ পেয়ে আঁৎকে উঠল। পকেটে একটা পেট্রল এ চলা লাইটার ছিল। তার আলোয় দেখতে পেল ডোডো, তার কুকুরটা। হঠাৎ চমকে উঠা লোভী মেয়র তেমনি আশ্বস্ত হল। ডোডোকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল, “ডোডোরে আমার সব শেষ। ফকিন্নির বাচ্চারা আমার সব লুটপাট করেছে।”
.
সন্ধ্যা কবেই গড়িয়ে গেছে। বাশিঁওয়ালা একটু পরপর বাঁশি বদলাচ্ছে। একেকটা বাঁশিতে নতুন নতুন একেকটা সুর। শিশুদের দল মন্ত্রমূগ্ধের মতো ঘন অন্ধকারে হাঁটছে। তারা কোথায় যাচ্ছে জানে না। জানে কেবল এই শব্দ যেখানে যায় সেখানেই যাবার কথা। এই তাদের প্রিয়জন, একমাত্র আপন। শহরের পথ ছেড়ে কবেই ঘন অরণ্যে এসে পৌঁচেছে শিশুদের মিছিল। আর পথ চলা যাচ্ছিল না। তখনি কোথায় থেকে বর্ষার ঝুম ঝুম ব্ষ্টির মতো অগণনিত জোনাকি এসে পৌঁছাল। পুরোটা পথ জুড়ে আলো জ্বেলে দিল। আর তখনি বাঁশি থেমে গেল। স্তব্ধ গয়ে দাড়িয়ে থাকল সবাই। বাঁশিওয়ালা সারির একেবারে পেছনে গেল। সবচেয়ে ছোট্ট পরীর মতো ফুটফুটে বাচ্চাটিকে কোলে নিল। আবার বাঁশি শুরু হল, আবার বাঁশিওয়ালা আগে, বাচ্চারা পেছন পেছন। বনের ভেতর থেকে একটা ঝর্ণার শব্দ আসছিল। সবাই সেদিকে চলল। ঝর্ণার পেছনে একটা ঝলমলে আলোর রাস্তা। দু’পাশে পাহাড়। সকলেই ক্লান্তি ভুলে সে অদ্ভুত আলো দেখতে থাকল। কেবল সবচেয়ে ছোট মেয়েটি ছাড়া।পিচ্চিটা এতক্ষণ ঘুমাচ্ছিল। বাঁশিওয়ালার বাম কাঁধে মাথা রেখে। বা হাতের উপর একটা কাঠবিড়ালি সেই কখন থেকেই অপেক্ষা করছিল। পিচ্চি মেয়েটার ঘুম ভাঙতেই কাঠবিড়ালিটা নড়েচড়ে উঠল। পরীর চোখ পড়ল পেছনে আলোর পথে। সে দেখল একদল শিশু, ওই যে পম্পা দিদি, ব্রন্টো দাদা কী সুন্দর লাগছে সবাইকে! আচ্ছা জোনাকিগুলো কোথায়? তখনি মনে হলো সে এতক্ষণ বাঁশিওয়ালার গলা জড়িয়ে ছিল। একটু লজ্জা পেয়ে গলাটা ছেড়ে দিতেই বাঁশিওয়ালা সুর বন্ধ করল। পরীর কপালে কুটুস করে একটা চুমু খেয়ে বলল, “লজ্জা পাবেন না। আপনি আমাদের পরীমা।” কাঠবিড়ালিটা ততক্ষণে হাতের বাজু থেকে কাঁধে উঠে এসে চেচাতে লাগল পরীমার দিকে তাকিয়ে, “এই যে, এই নিন আপনার খাবার। আমাকে মুক্তি দিন। আর ভাল লাগে না।কালই বলব আমাকে যোগাযোগ বিভাগে বদলি করে দিতে। নাহলে চাকরি ছেড়ে দেব।”
পরীমা অবাক হয়ে ফলটি হাতে নিল। কাঠবিড়ালিটি দ্রুত নেমে চলে গেল পাহাড়ি পথের দেয়াল বেয়ে। বাঁশিওয়ালা এবার পরীমাকে নামিয়ে দিয়ে বলল, “পরীমা, আমরা এসে গেছি। ওই যে একটা বাড়ি দেখা যাচ্ছে ওখানেই। এটুকু আমরা হেঁটে যাব।”
পরীমা দেখল একটা রাজ প্রাসাদ, আলোয়, ফুলে ঝলমল। কতকগুলো ছোট ছোট নদী। আরও কত কী!
.
কামার ঘন্টাখানেকের মধ্যে সিন্ধুকটা ভেঙে ফেলল। রাজ্যের মণিমুক্তা, চেনা অচেনা জহরতে লোহার বাক্সটা ভর্তি। চোখ ছানাবাড়া করে কামার আর দুই লুটেরা তাকিয়ে থাকল। সম্বিৎ ফিরে পেলে কামারের মাথায় একটা গাট্টা মেরে এক লুটেরা হু হু করে হেঁসে উঠল। আরেকজন আরেকটা গাট্টা মেরে বলল, “শালা লোভীর বাচ্চা, হ্যামেলিয়নের লোক পয়সা দিয়ে কাজ করায় না।”
কামার টু শব্দ করল না। কেবল রাগে গড় গড় করতে থাকল। চোর দু’টো কামারশালায় একটা চামড়ার ব্যাগে যাবতীয় রত্ন জহরত পুরে নিল। একজনের ভাতিজা আরেক জনের ভাগ্নি হারিয়েছে। চলে গেছে বাঁশিওয়ালার সাথে। ঘরে ফিরে আসলে সব দু’ভাগ হলো। তার আনন্দ বিশেষ হল নয়, দিদি মেয়ের শোকে কাতর। আরেকজনের দাদা বৌদি দু’জনেই অর্ধমৃতের মতো পড়ে আছে। চারিদিকে যার যার মতো করে জঙলে, নদীর ধারে, আশপাশের শহরে সেই ইদুরের পালের মতে লোকজন, অজস্র নাম উচ্চারণ করছে। কারো সন্তানের নাম, কারো ভাই, কারো বোন বা আত্মীয়ের। কিছুই হলো না লাভ। কেবল একটা ঘন অন্ধকারের রাত কেটে গেল আর ঝকঝকে আলোয় বিষণন হ্যামেলিয়ন শহর ঝলমল করে উঠল। মেয়রের কাঠের বাড়িটি তখনো জ্বলছে। কান্না আর চিৎকারের শব্দে ঢাকা পড়ে গেছে হ্যামেলিন শহর।
.
যে ছেলেটিকে কাঠবিড়ালিরা ফল দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল। সেই রাতে সে উঠতে পারেনি। বিশাল স্তুপের নিচে পড়ে সে বারবার চিৎকার করে ডেকেছে। লোভী ছেলেটির নাম মেলরি। ভোরের আলো চোখে পড়তেই মেলরি জেগে ওঠল। তাকাতেই দেখতে পেল অজস্র মানুষ ভীড় করে আছে। কয়েকটা পু্লিশও আছে। ওই মানুষগু্োই পুলিশ নিয়ে এসেছে মনে হয়। সবকিছু কেমন যেন অস্পষ্ট ঠেকছে। মেলরি সোজা হয়ে দাঁড়াতে অন্যদিনের চেয়ে বেশি সনয় নিল। একটু পরেই তার বাবা দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন।একমূর্তে যেন আকাশভর্তি বেলুন ফাটল। সবাইকে শান্ত করতে পুলিশ গুলি চালালো কয়েক দফা। বড় পুলিশটা একটা মড়া গাছের কাছে এসে দাঁড়াল।
“আপনারা সবাই শান্ত হোন, আগে ওকে বাড়ি নিয়ে যান। আমরা আশা করি বাকিদেরকেি পাব।…..” ভাষণ শেষ হলেই একটা ঘেড়ার গাড়িতে মেলোরি, তার বাবা আর বড়পুলিশ বসল। গ্রামের অগণিত মানুষ মেলোরির পেছন পেছন গেল। এবার একটু আশা নিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে।
.
লোভী মেয়র মিউনিখে যাবে ভাবছিল। ভোর হলে সেই কুকুর আর মেয়র খুব সাবধানে জঙল পেরিয়ে নদীর দিকের রাস্তা ধরে হাঁটতে লাগল। সামান্য পথ হাঁটার পর একদল চুড়ুই আর কয়েকটা সাদা কুকুর এসে পথ আঘলে দাড়াল। সাদা কুকুর দেখে ডোডো তেড়ে গেল; কিন্তু সেই কুকুরগুলো নড়ল না একচুলও।ডোডো কাছে আসলে তাকে কিছু বলল। ব্যাস বিপরিত দিকে হাঁটতে লাগল কুকুর আর চুড়ুইয়ের দল। মেয়র বার কয়েক ডোডোকে ডাকল। সে কেবল একবার পেছন ফিরে দু’তিনবার ঘেউ ঘেউ করল অতি তাচ্ছিল্য ভরে। বাকি পথটুকু মেয়র একা হাঁটতে লাগল।ওদিকে সিন্দুক চোর দুটো বুঝতে পেরেছিল পুলিশ আসলেই মেয়র সব বলে দেবে তাই গ্রামের লোকজন জড়ো করে তারা মেয়রকে খুজতে লাগল। তখনো মেয়র জঙল থেকে বের হতে পারেনি। পনেরো বিশজন মিলে মেয়রকে ধরে ফেলল। কিছু বুঝার আগেই তারা মেয়রের মাথায় আঘাত করে বসল। এরপর গ্রামবাসীর মার খেয়ে মেয়ে অল্প সময়েই রক্তবমি করে মারা গেল। তার ঘন্টা তিনেক আগেই কামার বড় পুলিশকে বলেছিল সিন্দুকের কথা। বড়পুলিশ ততক্ষণে চোরের বাড়ি হানা দিয়ে সিন্দুক উদ্ধার করে ফেলেছিল। ভাগ্যিস চোরের দাদা আর বৌদি বেশ কিছু সরিয়ে রেখেছিল, আরেক চোরের দিদি ও জিজুও তাই করেছিল। তবে পুলিশের হাতে যা ধরা পড়ল তাও মন্দ নয়। কথা স্তির হল বড় পুলিশ, ছোট পুলিশ আর দুই কন্সটেবল ভাগ করে নেবে। মেলরি কোনো কথা না বলে এতক্ষণ চুপ করে ছিল। পুলিশ সিন্দুক নিয়ে থানায় রওয়ানা হতেই সে সব বলতে থাকল মা’কে, “মা, বাঁশিওয়ালা খুব ভাল, খুব ভাল। বাঁশিওয়ালা জঙলে থাকে। সবাই তার সাথে চলে গেছে…” বলেই কেঁদে ফেলল। মেলরির মা বাবা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন।
.
মেয়র খুন হল। সিন্দুক চোর দুটিকে পুলিশ ধরল। টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েই তারা কামারের দোকানপাট ভেঙে চুরমার করে দিল। মেয়রের ঘর ঠিক করার জন্য মিস্ত্রি আসল। ওটা এখন সরকারি অফিস হতে যাচ্ছে। মেলোরি সকলের ঘরে ঘরে ঘুরে সব সত্যি বলে দিল। বাচ্চাদের মা বাবারা প্রাণপনে তাই বিশ্বাস করল। কেউ খুঁজতে গেল। কিন্তু কিছুই পেল না। কোন আলোর পথ নেই। কোন সাদা কাঠবিড়ালি নেই। তবু তারা খুশি, নিশ্চয়ই তাদের সন্তান ভালো আছে। বছর গড়ালেই অনেকের কোলজুড়ে ফুটফুটে শিশু আসল। ভুলে না গেলেও অতো কষ্ট আর তাদের হল না। আবার হ্যামিলন শহরে কোত্তেকে রাজ্যের ইঁদুর এসে উৎপাত শুরু করল।
.
মেলরোরি সেদিন থেকে রোজ ঝর্ণার পাশে বসে থাকত। একদিন একদিন করে এভাবে কেটে গেল বহু বছর। মেলোরি বুড়ো হয়ে গেছে। রোজ ভোরে খাবার খেয়ে দেয়ে, আরেকটা পুটলিতে খাবার বেধে মেলোরি ঝর্ণার পাশে অপেক্ষা করত। একটু পর পর ডাকত; “ব্রন্টো অ অ অ……বাঁশিওয়ালা….আ..আ….আ…..।

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৫ Comments

  1. Md Rahim Miah

    পৌঁচেছে-পৌঁছেছে
    দাড়িয়ে-দাঁড়িয়ে
    কী-কি
    ঠেকছে-দেখছে

    একমূর্তে-এক মুহূর্তে
    ঘেড়ার-ঘোড়ার
    বড়পুলিশ-বড় পুলিশ
    মড়া-মরা

    দাড়াল-দাঁড়াল
    খুজতে-খুঁজতে

    এটা কি কোনো গল্প ছিল নাকি বইয়ের রূপকথার গল্প ঠিক বুঝতে পারলাম না। তবে অনেক ভালো ছিল। কিন্তু বানানে ভুলের মাত্রা বেশি বলা যায় লেখকের। যাইহোক শুভ কামনা

    Reply
  2. Tanjina Tania

    প্রতিযোগিতায় বাস্তবধর্মী লেখা দেওয়াই ভালো। আপনার গল্প আমার খারাপ লাগেনি। কিন্তু বানান ভুল ছিল অনেক। বানানের অনেকগুলো ভুল প্রথম কমেন্টদাতা বলে দিয়েছে। ঘন্টা বানান ঘণ্টা হবে। শুভকামনা

    Reply
  3. Halima tus sadia

    ভালোই লিখেছেন।
    সুন্দরভাবেই বর্ণনা করছেন।
    তবে গল্প থেকে মানুষ কি শিখবে সেটা খেয়াল করবেন।
    প্রতিযোগিতার গল্প আরও ধারালো হওয়া উচিৎ।
    বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  4. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রসঙ্গে কিছু কথা :
    প্রতিযোগিতার গল্প যেহেতু সেহেতু আরও আকর্ষণীয় হওয়া উচিত ছিল। বাস্তব ভিত্তিক গল্প পড়তে সবাই একটু বেশি পছন্দ করে। এটা পড়ে রূপকথার গল্প বলে মনে হচ্ছে। বানানেও অনেক ভুল। তাছাড়া গল্পের উপস্থাপনা আরও সুন্দর হওয়া দরকার। একবার পড়ে বোঝার উপায় নেই কার মধ্যে কী হচ্ছে। যাইহোক আগামীতে চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই ভালো হবে। নিচে ভুলগুলো লক্ষণীয় :
    প্রাণভয়ে – প্রাণ ভয়ে
    পেলনা – পেল না
    হবেনা – হবে না
    ওঠে – উঠে
    আাটখানা – আটখানা
    জঙ্গলল – জঙ্গল
    উল্টোদিক – উল্টো দিক
    স্প্রশ – স্পর্শ
    মন্ত্রমূগ্ধের – মন্ত্রমুগ্ধের
    অগণনিত – অগণিত
    গয়ে – গায়ে
    বা হাতের – বাঁ হাতের
    তখনি – তখনই
    পরীমা – পরী মা
    ততক্ষণে – ততোক্ষণে
    চেচাতে – চেঁচাতে
    ইদুরের – ইঁদুরের
    মতে – মতো
    বিষণন – বিষন্ন
    সনয় – সময়
    একমূর্তে – এক মুহূর্তে
    আকাশভর্তি – আকাশ ভর্তি
    ফাটল – ফাটলো
    ঘেড়ার – ঘোড়ার
    আঘলে – আগলে
    দাড়াল – দাঁড়ালো
    বিপরিত – বিপরীত
    খুজতে – খুঁজতে
    পনেরো বিশজন – পনেরো-বিশ জন
    বুঝার – বোঝার
    কোন – কোনো
    কোত্তেকে – কোথায় থেকে

    আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

    Reply
  5. Nafis Intehab Nazmul

    গল্প তো পুরাই রূপকথার হয়ে গেছে ভাই। বাস্তবের সাথে কোন মিল নাই। বাস্তবতার সাথে মিল না থাকলে তো গল্প চলবে না।
    এখানে প্রতিযোগিতা চলছে, এগুলা গল্প দিয়ে লাভ করতে পারবেন না। আশা করব, নেক্সট টাইম ভালো কিছু লিখা পাবো আপনার থেকে। আর এতো বানান ভুল কেন?

    Reply

Leave a Reply to অচেনা আমি Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *