গল্প: অভিমান
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 2,575 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

গল্প: অভিমান

লেখকঃ উবায়দুল্লাহ আল ফাহাদ

অবশেষ তাকে ব্লক করলাম।
আধা ঘন্টা ধরে সে মেসেজ সিন করে না,
এর মধ্যে আবার ওয়েটিং তাই
রাগ করে মোবাইলটাও অফ করে রাখলাম।
যেন কোন মাধ্যমেই আমাকে খুঁজে না পায়।
রাগ উঠলে আমি ওকে ব্লক
করি কিন্তু পরে আবার আনব্লক করি।
যাই হোক সারাদিনের ব্যস্ততায় আর ফোনটা খোলা
হয়নি আর কথা হয়নি। এখন নীলাকে খুব মনে পড়ছে।

ফোন খোলার পরেই টুং করে
একটা মেসেজ আসল,
ফাহাদ বিশ্বাস করো আমি
আপুর সাথে কথা বলছিলাম। আর আজ হঠাৎ করে বুকের ব্যাতাটা অনেক বেড়েছে। তাই আব্বু আমাকে নিয়ে চাঁদপুর হশরে ডাক্তারে কাছে যাচ্ছে ।
আপু হসপিটালে সবকিছু ব্যবস্তা করে রেখেছে। আপুর সাথে কথা বলার পর তোমাকে কতবার
কল দিলাম তুমি ফোন অফ রেখেছ, রাগ করে কেন..? তুমি বারবার রাগ কর?
আর আমাকে অযথা কষ্ট দাও।

মূহুর্তের মধ্যেই মুখে হাসি ফুটে উঠল।
যাক আমাকে মিস করেছে তাহলে!
কিন্তু একটু পর একটা মেসেজ আসল
যাতে লিখা ছিল…
ফাহাদ, জানো আমি হাজারবার তোমার
ফোনে ট্রাই করেছি। খুব মিস করতেছি তোমায় আমি। খুব ইচ্ছে হচ্ছে মৃত্যুর আগে তোমার সাথে একটু কথা বলার। বুকে ব্যাতা এত বেড়ে গেছে আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না। হাসপাতালে যাবার আগে, হয়তো লঞ্চে থাকার অবস্তায় মারা যাব। শেষ বারের মতো তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করতেছে।

বুকে বেশি ব্যাতা আর মৃত্যুর কথা শুনে কলিজাটা কেঁপে উঠল। সাথে সাথে ওর নাম্বারে কল
দিলাম নাম্বারটা সুইচ অফ। তারপর ওর
বান্ধবী ফারিহার কাছে ফোন দিলাম।
ও যা বললো আমি ঠিক
বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না।
কারন কাল রাতে চাঁদপুরের একটা লঞ্চ ডুবে যায়।
আর সেই লঞ্চে নাকি নীলা ছিল।
আর ফারিহাও নাকি এখনো সেখানে।
আর কয়েকজন ছাড়া বাকি
সবাই মারা গেছে আবার
কারো কারো লাশ নাকি
খুজেও পাওয়া যাচ্ছে না ।
আর নীলাকেও নাকি এখনো
খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ওর কথা শেষ না হতেই
মোবাইলটা হাত থেকে পড়ে
গেল।

গড়াগড়ি দিয়ে মাটিতে কাদতে লাগলাম
খুব কষ্ট হচ্ছে।
হৃদয়টা পুড়ে কয়লা হয়ে যাচ্ছে।
কেন আমি ফোনটা বন্ধ রেখেছিলাম?
না হয় ওর একটু কথা আমি শুনতে পেতাম।
খুব অভিমান করেছে ও আমার উপর।
যে অভিমান ভাঙ্গানোর
সুযোগটুকু আমাকে দিল না।
ও আমাকে এত ভালোবাসত
আমি আগে কেন বুঝলাম না,
না হয় মৃত্যুর মুখে থেকেও
কেউ কাউকে মিস করে?

আচ্ছা ওর কি পানির মধ্যে
শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয়েছিল..?
ওর তো লঞ্চে থাকা অবস্তায় বুকের ব্যাতার জন্য শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।
ওর মৃত্যুতে কি খুব কষ্ট হয়েছিল।
বুকের ব্যাতায় সাঁতার ও কাঠতে পারিনী।

কত স্বপ্ন ছিল ওকে নিয়ে।
এক সাথে দুজন মিলে ছোট
একটা সুখের সংসার পাতবো।
নীলার সেই মুখটা যেটা দেখে
আমি বুনতাম হাজারো স্বপ্ন।
আর আজ ওর লাশটা পর্যন্ত খুজে পাচ্ছি না,
কেবল এক নজর দেখব বলে।
চলে গেলাম সেখানে।
কয়েকজন জীবিত উদ্ধার হয়েছিল,
মনে অনেক আশা নিয়ে ওদের
দেখলাম আর আল্লাহকে
বললাম প্লিজ এদের মধ্যে
আমার নীলাকে তুমি মিলিয়ে দিও।
কিন্তু না নীলা  এদের মধ্যে ছিল না।
এমনকি আজ এতদিন হয়ে
গেল ওর লাশটা আর খুজে
পাওয়া গেল না।
খুব অভিমান করেছিল ও
আমার প্রতি তাই শেষ পরিচয়টুকুও রেখে গেল না।
যেখানে গিয়ে ওর জন্য আমি হৃদয় উজার করে কাঁদতে পারতাম।

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৫ Comments

  1. Md Rahim Miah

    মুহুর্তের-মুহূর্তের
    কারন-কারণ
    খুজেও-খুঁজেও
    খুজে-খুঁজে
    কাদতে-কাঁদতে
    ব্যাতার-ব্যথার
    পারিনী-পারেনি
    পাতবো -গড়বো(পাতবো শব্দটা আঞ্চলিক ভাষা মনে হয় যা মানায় না)
    বুনতাম-বুনেছি
    লেখক চলিত ভাষার সাথে আঞ্চলিক ভাষা মিশ্রণ ঘটিয়েছে যার কারণে গল্পের সুন্দর্য্য নষ্ট হয়ে গেছে। শুভ কামনা

    Reply
  2. Tanjina Tania

    ঘন্টা-ঘণ্টা,ব্যাতা-ব্যাথা, খুজে-খুঁজে,পারিণী-পারিনি, কারন-কারণ(র’র এর পর ণ দিবেন সবসময়) গল্প মোটামুটি ভালোই। শুভকামনা।

    Reply
  3. অচেনা আমি

    আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রসঙ্গে কিছু কথা :
    গল্পটা অনেক কাঁচা হাতের লেখা বলে আমার মনে হয়েছে। গল্পটা আর কিছুটা বড় হলে ভালো হতো। লেখনী আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন। কাহিনীও তেমন আকর্ষণ করতে পারেনি। গল্প তুলনায় ভুল অনেক। আগামীতে আশা করি ভালো করবেন। যাইহোক ভুলগুলো দেখে নেওয়া যাক:
    কোন – কোনো
    যাই হোক – যাইহোক
    আসল – আসলো (আসল দ্বারা আসল-নকল বোঝায়)
    ব্যাতাটা – ব্যথাটা
    হশরে – শহরে
    ব্যবস্তা – ব্যবস্থা
    কর – করো
    এত – এতো
    অবস্তার – অবস্থার
    কারন – কারণ
    খুজেও – খুঁজেও
    কাদবে – কাঁদবে
    না হয় – নাহয়
    কাঠাতে – কাঁটতে
    পারিনী – পারেনি
    ভালোবাসত – ভালোবাসতো

    আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

    Reply
  4. Halima tus sadia

    চমৎকার লিখেছেন।
    পড়ে ভালো লাগলো।
    প্রতিযোগিতার গল্পে এত বানান ভুল হলে কিভাবে হয়।
    বানানের প্রতি যত্ন নিবেন।
    আরও ভালো গল্প লিখবেন।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  5. Nafis Intehab Nazmul

    প্রকাশিত গল্প দেওয়া নিষেধ। এটা কি জানা ছিলো না লেখকের? গল্প ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে অনেক আগেই।

    Reply

Leave a Reply to Tanjina Tania Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *