একটি পথশিশুদের গল্প
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,821 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখক:এস এম শাহাদত হোসেন।
.
.
কাঁধে একটা থলে নিয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছে মিন্টু। থলের ভেতর আছে বিভিন্ন ধরনের জিনিস। মিন্টু এগুলো রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়েছে। সে এগুলো এখন নিয়ে যাচ্ছে বাবুলের দোকানে। মিন্টু এই অবর্জনাগুলো বাবুলের দোকানে বিক্রি করে প্রতিদিন। সেখান থেকে যা পায় তা দিয়ে সে খাবার খায়। মিন্টু রাস্তার শিশুদের মধ্যে একজন, কয়েক বছর আগে সে রাস্তার শিশু ছিল না। কয়েক বছর আগে একটা মর্মান্তিক ঘটনায় সে তার সব কিছু হারিয়ে ফেলেছিল। মিন্টুর বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক ছিলেন। মিন্টুর একটা ছোট বোন ছিল নাম শিলা। শিলা ছিল মিন্টুর খুব আদরের বোন, যখনই মিন্টু বাইরে থেকে ঘরে যেত তখন শিলা দৌড়ে এসে মিন্টুর কোলে উঠে যেত। আর মিন্টু হাসি মুখে শিলাকে কোলে করে নিয়ে সারা বাড়ি ঘুরত আর আদর করত। শিলা মিন্টুকে ছাড়া কিছু বুঝত না, আর মিন্টুও শিলাকে প্রচন্ড ভালোবাসত।
.
মিন্টুর পরিবার থাকত পাশের একটা বস্তিতে। খুব সুন্দর এবং হাসি খুশি দিয়ে যাচ্ছিল মিন্টুর জীবন। তার জীবনে শুধু ছিল তার বাবা মা এবং ছোট্ট শিলা। তাদের এই চারজনের পরিবার খুব সুখে যাচ্ছিল। একদিন কষ্ট এসে তাদের পরিবারে হানা দেয়। কষ্টের কারণে সুখটা হারিয়ে যায়। একদিন মিন্টু বাইরে থেকে ঘরে আসল। ঘরের ভেতর ঢুকেই সে চমকে উঠল। মিন্টু যতবার বাইরে থেকে আসত ততবার শিলা দৌড়ে মিন্টুর কাছে আসত। কিন্তু আজ মিন্টু ঘরের ভেতর ঢুকে বসে আছে কিন্তু শিলা আসল না। সাথে সাথে মিন্টু চিন্তিত হয়ে গেল। সে দৌড়ে গেল শিলাকে খুঁজতে। কিন্তু কোথাও পেল না, মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করল, তার মাও কিছু জানে না বলে সেও শিলাকে খুঁজতে লাগল। সারাদিন খুঁজল শিলাকে কিন্তু কোথাও পেল না। সন্ধার কিছু আগে খবর পেল শিলাকে পাশের একটা পুকুরে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। কথাটা শুনেই মিন্টু দৌড়ে গেল সেখানে, পুকুরের পাশে গিয়ে দেখল সত্যি সত্যিই শিলা পুকুরের পানিতে ভেসে আছে। মিন্টু ছোট বিধায় সে পানিতে নামতে পারল না, তাদের বস্তির বড়রা মিলে শিলাকে পানি থেকে তোলে আনল। পানি থেকে তোলে আনতেই মিন্টু শিলার নিথর হয়ে যাওয়া দেহ জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল। তার মা বাবাও কাঁদতে লাগল। মিন্টু কখনও ভাবেনি এভাবে তার ছোট বোনটি সবাইকে ছেড়ে চলে যাবে।
শিলাকে সেই পুকুর পাড়ে দাফন করা হয়। মিন্টু সেখানে প্রতিদিন বসে থাকে সন্ধার আগ পর্যন্ত। সন্ধা হলে মিন্টুর বাবা এসে তাকে নিয়ে যায়। মিন্টু যেতে চায় না, তবুও তাকে নিয়ে যায়। দিনের আলো দেখা মাত্রই মিন্টু ছুটে যায় তার বোনের কবরের পাশে। সেখানে বসে বসে সে নীরবে চোখের জল ফেলতে থাকে। অপলক দৃষ্টিতে কবরের দিকে তাকিয়ে থাকে আর মনে মনে বলে ‘বোন কেমন আছিস তুই? সেখানে ভালো আছিস তো? সেখানে সবাই তোকে আদর করে তো? ঠিক মতো খাবার খাস? মা বলছে তুই যেখানে গেছিস সেখানে না কী তুই অনেক ভালো আছিস। মায়ের কথা আমার বিশ্বাস হয় নি, তুই আমাকে ছাড়া ভালো থাকতে পারিস না। বোন তুই কোথায় আছিস আমাকে একটু বল, আমিও আসি তোর কাছে। তোকে ছাড়া আমি থাকতে পারছি না রে’
.
মিন্টুর পরিবার শিলার এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি। শিলার মৃত্যুর কিছুদিন পর মিন্টুর বাবাও এক্সিডেন্টে মারা যায়। মিন্টুর বাবা শিলার কথা ভেবে অন্যমনস্ক হয়ে রিকশা চালাচ্ছিলেন। ঠিক তখনি এক ট্রাক মিন্টুর বাবাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। রিশায় মিন্টুর বাবা ছাড়া আরও কেউ ছিল না। ঘটনাস্থলে মিন্টুর বাবা সেখানেই মারা যান। মিন্টুর বাবা মারা যাওয়ার কিছু দিন পর পর মিন্টুর মাও আত্নহত্যা করে। তিনি স্বার্থপরের মতো মিন্টুর কথা না ভেবে আত্নহত্যা করেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি না থাকলে মিন্টুর কী হবে?
.
একে একে পরিবারের সবাইকে হারিয়ে মিন্টু একদম ভেঙে পড়ে। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে তার জীবনে। মিন্টুর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে না আর, কিন্তু মায়ের মতো আত্নহত্যা করার মতো সাহস তার নেয়। তাই সে কোন রকম বেঁচে আছে। কীভাবে তার জীবন কাটবে সেটা নিয়ে মিন্টু চিন্তা করছে না। সে ভাবে সৃষ্টিকর্তা যখন তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে নিশ্চয় না খাইয়ে তিনি রাখবেন না। মিন্টু ভেবেছিল তার জীবনে শেষ খারাপ ঘটনা এটাই। কিন্তু মিন্টুর ভাবনা সঠিক হল না। মিন্টুর বাবা মা মারা যাওয়ার পর সে এক মাস কাটিয়ে দিল কোন রকম ভাবে। এই এক মাস কীভাবে কেটেছে সেটা শুধু মিন্টু জানে। ছোট বলে থাকে কেউ কাজ দেয়নি। কোন রকম কষ্ট করে এক মাস কাটিয়েছে। রাস্তায় পথশিশুদের সাথে তার আগে থেকেয় পরিচয় ছিল। তাদের সাথে কথা বলে মিন্টু তাদের দলে যোগ দেয়। সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা কুড়িয়ে নেই। সন্ধার আগে সেটা বাবুলের দোকানে গিয়ে বিক্রি করে আসে। বিক্রি করে টাকা নিয়ে, হোটেল থেকে খাবার কিনে মিন্টু চলে যায় পুকুর পাড়ে। যেখানে কবর দেওয়া হয়েছিল শিলাকে। শিলার কবরের পাশে মিন্টুর বাবা এবং মাকে দাফন করা হয়েছে। মিন্টু সেখানে বসে বসে খাবার খায় প্রতিদিন। আর তার বাবা মা এবং বোনের সাথে মনে মনে কথা বলে।
.
তার বাবা মা মারা যাওয়ার এক মাস পর বাড়ি ভাড়া দিতে না পারাতে মিন্টুকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বাড়ির মালিক। ছোট একটা ছেলের প্রতি তার একটুও দয়া হল না। মিন্টুকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় লোকটি। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর কয়েক রাত সে তার মা বাবা এবং বোনের কবরের পাশে বসে কাটিয়ে দিয়েছে। মিন্টু কবরের দিকে তাকিয়ে নীরবে অশ্রু ফেলতে থাকে আর মনে মনে কথা বলতে থাকে সবার সাথে। কবরের পাশে কয়েক রাত কাটিয়ে সে তার এক বন্ধুর সাথে রাস্তার পাশে ফুটপাতে রাত কাটাতে শুরু করে। অবশ্য সে চায়নি থাকতে, তার বন্ধু তাকে অনেক বুঝিয়ে রাস্ততার পাশে থাকার জন্য রাজি করিয়েছে। এভাবে রাস্তার পাশে শুয়ে শুয়ে কেটে গেল প্রায় কয়েক বছর। এই কয়েক বছরে মিন্টু আর একটু বড় হয়েছে।
.
.
দিনের সব কাজ শেষ করে সে গেল বাবুলের দোকানে। মিন্টু যেগুলো কুড়িয়ে নিয়েছিল সেগুলো বিক্রি করে, হোটেল থেকে খাবার নিয়ে চলে গেল তার বাবা, মা, এবং বোনের কবরের পাশে। সেখানে বসে খাবার খেতে থাকে। মিন্টু তার বাবা মা এবং বোনের কবরগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করে রাখে যাতে তার বাবা মা এবং বোনের থাকতে কোন কষ্ট না হয়। মিন্টু খাবার খাওয়া শেষ করে আরও কিছুক্ষণ বসল সেখানে। মিন্টু একবার কবরের দিকে তাকায় আর একবার আকাশের দিকে তাকায়। মিন্টুর এখনও স্পষ্ট মনে আছে তার মা বলেছিল মানুষ মারা গেলে আকাশের তারা হয়ে পৃথিবীর সব মানুষদের দেখতে থাকে। কিন্তু আজকের আকাশে কোন তারা নেই, আকাশটা গাঢ় অন্ধকার হয়ে আছে। অতীতের কথা মনে পড়তেই তার চোখ থেকে দু’ফুঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। কিছুক্ষণ পর মিন্টু উঠে দাঁড়াল, এবং হাঁটা দিল, উদ্দেশ্য রাস্তার পাশ। সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরার কারণে তার শরীর ক্লান্ত। রাস্তার পাশে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বে ভাবছে সে।
.
মিন্টুর মতো আরও অনেকে থাকে এই রাস্তার পাশে। মিন্টু শুয়ার জন্য বিছানা রেডি করে শুয়ে পড়ল। বিছানা বলতে নিচে একটা ছেড়া কাথা। এটা সে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার সময় নিয়ে এসেছে। কারণ এটা তার মায়ের হাতের বুনা একটা কাথা। এই কয়েক বছর সে এটার অনেক যত্ন নিয়েছে, তবুও কিছু অংশে ছিড়ে গেছে। তার পাশে শুয়ে আছে তার বন্ধু রফিক। তারা দুইজন এক সাথে ঘুমাই। মধ্য রাতে তার ঘুমটা ভেঙ্গে গেল বৃষ্টির কারণে। সবাই ছুটে চলছে বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য। মিন্টুও তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে সব কিছু নিয়ে ছুটে চলল সবার সাথে। পাশের একটা দোকানের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মিন্টু বৃষ্টির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই বৃষ্টির কারণে মিন্টু অনেক রাত ঘুমাতে পারিনি। সারা রাত ধরে বৃষ্টি পড়ছে, আর মিন্টু দোকানের বারান্দায় বসে ঘুমিয়েছে এই রকম অনেক রাত আছে। আজও মনে হয় দোকানের বারান্দায় ঘুমাতে হবে মিন্টুকে। মিন্টু বসে পড়ল দোকানের বারান্দায়। চোখ দুটি বন্ধ করতেই সে ঘুমিয়ে গেল।
.
সকালের সূর্যের আলো চোখে এসে পড়তেই মিন্টুর ঘুম ভেঙ্গে গেল। মিন্টু পাশের কল থেকে হাত মুখ দিয়ে সকালের নাস্তা করতে চলে গেল। নাস্তা বলতে একটা রুটি আর এক কাপ চা। নাস্তা করে ব্যাগ নিয়ে সে আবার নেমে পড়ল রাস্তায়। দিন শেষে সে আবার গেল বাবুলের দোকানে। মিন্টুকে দেখে বাবুল হাসি মুখে বলল,
– মিন্টু তোর খবর কী?
– ভালো।
– তোর জন্য একটা খুশির খবর আছে।
– কী?
অবাক হয়ে প্রশ্ন করল মিন্টু।
– তুই তো অনেক দিন হল আমার এখানে বিভিন্ন ধরনের পুরানো জিনিস বিক্রি করিস। তোকে আমার দোকানে কাজ করার জন্য একটা চাকরি দিব তুই করবি?
বাবুলের কথা শুনে মিন্টু খুশি হয়ে গেল। মিন্টু এতদিন কষ্টে ছিল বিধায় খুশি কী রকম সেটা ভুলে গেছে। কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে সে অনেক খুশি। মিন্টু বাবুলের কথায় রাজি হয়ে যায়। বাবুল মিন্টুকে তার দোকানে রাত কাটাতে বলে। সেটাতেও মিন্টু রাজি হয়ে যায়। মিন্টু ছাড়াও এখানে অনেকে কাজ করে। তাদের সবার সাথে মিন্টুর আগে থেকে অল্প কিছু পরিচয় ছিল।
.
দোকান বন্ধ করে মিন্টু ঘুমিয়ে পড়ল দোকানের ভিতর। কিছুক্ষণ পর কিছু একটার শব্দে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। দোকানের ভিতর হালকা আলোতে মিন্টু দেখতে ফেল কেউ একজন দোকানের ক্যাশ বাক্সের পাশে দাঁড়িয়ে তার ভিতর থেকে কিছু একটা নিচ্ছে। মিন্টু তা দেখে চিৎকার করে উঠল। মিন্টুর চিৎকার শুনে ছেলেটি ক্যাশ বাক্স হতে টাকা নিয়ে দৌড় দিল। মিন্টুও তাড়াতাড়ি উঠে তার পিছন পিছন দৌড় দিল। রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্টের নিচ দিয়ে দৌড়াচ্ছে মিন্টু। তার সামনে ছেলেটি। ল্যাম্পপোস্টের আলোতে মিন্টু ছেলেটিকে দেখে চমকে উঠল কারণ ছেলেটি ছিল রিফাত। রিফাত বাবুলের দোকানে কাজ করে। মিন্টু চোর চোর বলে চিৎকার করছে আর দৌড়াচ্ছে। একটা গলির মাঝখানে এসে রিফাত টাকাটা রেখে লুকিয়ে গেল। মিন্টু সেখানে গিয়ে দেখে টাকার প্যাকেট পড়ে আছে রাস্তায় কিন্তু রিফাতকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মিন্টু টাকাগুলো হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ আশে পাশে খুঁজল রিফাতকে। শেষে না পেয়ে টাকা নিয়ে দোকানের দিকে হাঁটা দিল। রাস্তার মাঝখানে আসতেই কিছু লোক মিন্টুর সামনে এসে দাঁড়াল। লোকগুলোর মধ্যে রিফাতও আছে। রিফাতকে দেখে মিন্টু কিছু একটা বলার আগেই রিফাত বলে উঠল,
– ভাই এই সেই চোর যে দোকান থেকে টাকা নিয়ে পালাচ্ছিল।
রিফাতের কথা শুনে মিন্টু অবাক হয়ে গেল। অবাক হয়ে চিৎকার করে সে বলল,
– না এ মিত্যা বলছে আসল চোর সে। সেই টাকা নিয়ে পালাচ্ছিল, আমাকে দৌড়াতে দেখে রাস্তার মাঝখানে টাকা রেখে পালিয়েছে।
মিন্টুর কথা শুনে রিফাত বলল,
– আমার কথা বিশ্বাস না হলে দেখেন তার হাতে টাকা আছে কী না? আর আমি যদি টাকা চুরি করতাম তাহলে টাকা রেখে পালব কেন?
রিফাতের কথা লোকগুলো বিশ্বাস করল। সবাই মিন্টুর কাছ থেকে টাকাগুলো নিয়ে মিন্টুকে মারতে লাগল। মিন্টু বার বার বলছে সে চোরি করেনি, কিন্তু কেউ তার কথা বিশ্বাস করল না। সবাই এমন ভাবে মারতে লাগল যাতে মিন্টু না বাঁচে। রিফাতও সবার সাথে সাথে মারতে লাগল। সে জোরে জোরে পা দিয়ে লাথি দিচ্ছে মিন্টুকে। মিন্টু কান্না করছে আর বলছে সে চোরি করেনি। কিন্তু তার এই কান্না, এই চিৎকার লোকগুলো শোনেনি। সবার মার সহ্য করতে না পেরে মিন্টু সেখানেই মারা গেল। মিন্টুকে যেভাবে মেরেছে একটা বড় চোরকেও সেভাবে মারে না। মনে হচ্ছে লোকগুলো চোর ধরতে আসেনি, মিন্টুকে হত্যা করতে এসেছে। রিফাত হাত দিয়ে দেখল মিন্টু বেঁচে আছে কী না। হাত দিয়ে বুঝতে পারল সে বেঁচে নেই। তা দেখে সে সবাইকে থামতে বলল। তার কথায় সবাই থেমে গেল, রিফাত সবাইকে চলে যেতে বললে সবাই চলে গেল। রিফাত মিন্টুর নিথর দেহের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে টাকাগুলো নিয়ে সেও হাঁটা দিল।
.
.
>>>>সমাপ্ত<<<<

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

৩ Comments

  1. আখলাকুর রহমান

    নিচের ভুলগুলো শুধরে নেবেন।

    অবর্জনা – আবর্জনা

    বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক ছিলেন – “ছিলেন” শব্দ একবার ব্যবহার করা উচিৎ ছিলো

    প্রচন্ড – প্রচণ্ড

    সন্ধার – সন্ধ্যার

    তোলে আনল – তুলে

    হয় নি – হয়নি

    রিশায় – রিক্সা

    ছোট বলে থাকে – তাকে

    থেকেয় – থেকেই

    বাড়ি ভাড়া দিতে না পারাতে মিন্টুকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় – প্রথমে উল্লেখ আছে মিন্টুর পরিবার বস্তীতে থাকতো। বস্তীতে বাড়ি ভাড়া দিতে হয় না।

    রাস্ততার – রাস্তার

    দু’ফুঁটা – ফোটা

    কাথা – কাঁথা

    দুইজন এক সাথে ঘুমাই – ঘুমায়

    মিত্যা – মিথ্যা

    চোরি – চুরি

    শেষাংসে কষ্টময় ছিল। তবে সহজ বানান ভুল হয়েছে।
    সেগুলো শুধরে নিন। আর কাহিনী সিনেমাটিক।
    শুভ কামনা রইল।

    Reply
  2. মাহফুজা সালওয়া

    ভালো লাগলো।
    তবে,কিছু অতিরঞ্জন করা হয়েছে বোধহয়।
    যাইহোক,দোয়া থাকলো, সামনে আরো ভালো করবেন।
    বানানের দিকে খেয়াল রাখবেন।

    Reply
  3. আফরোজা আক্তার ইতি

    ভালো লেগেছে। মিন্টুর চরম দুর্ভাগ্য। যে বয়সে তার পড়াশোনা করার কথা, বাবার কাছে আবদার, মায়ের কোলে ঘুম আর বোনের সাথে খুনসুটি করার কথা সেই বয়সে তাকে জীবনের চরম বাস্তবতার স্বীকার হতে হচ্ছে।শুধু তাই নয়,মিথ্যা অপবাদে, বিনা অপরাধে তাকে হারাতে হলো প্রাণ।
    লেখার হাত খুবই সুন্দর। তবে সহিজ কিছু বানানে প্রচুর ভুল করেছেন। য় আর ই এর মধ্যে অনেক গড়মিল করেছেন।
    অবর্জনাগুলো- আবর্জনাগুলো।
    সন্ধার- সন্ধ্যার।
    তোলে- তুলে।
    না কী- না কি।
    সাহস তার নেয়- সাহস তার নেই*।
    আগে থেকেয়- থেকেই*।
    মিত্যা- মিথ্যা।
    ছেড়া কাথা- ছেঁড়া কাঁথা।
    কুড়িয়ে নেই- নেয়*।

    Reply

Leave a Reply to মাহফুজা সালওয়া Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *