লিখা : সুস্মিতা শশী
জমির আলী পেশায় চাষী করে ফসলের চাষ
বসতবাড়ি নাই তার ভালো করে জীর্ণ কুটিরে বাস।
রোজ সকালে পান্তা খেয়ে যায় ফসলের ক্ষেতে
মাঠের ফসল নিয়ে সে স্বপ্ন আঁকে দু’চোখে।
ধান এবার হয়েছে ভাল, শোধ দিবে সব ঋণ
বউকে দিবে সোনার নোলক চেয়েছে অনেকদিন।
বড় মেয়ে জমিলারও এবার করবে একটা গতি
কাজে কর্মে ভাল বড়ই পাশের গাঁয়ের মতি।
আশা আছে জমির আলীর কিনবে দুধের গাই
খোদা যদি থাকে সহায় কোনো চিন্তা নাই।
কঠোর পরিশ্রম করে তাই সে তার ফসলের মাঠে
কষ্টের ফল পেতে হবে যে নতুন বাজারের হাটে।
টিপসই নিয়ে দিয়েছে টাকা, মহাজন বড় ভাল
তার জন্য জ্বলছে আমার আঁধার ঘরের আলো।
এসব ভেবে জমির আলী গায় মহাজনের গুণগান
লোকটি বড় মনের মানুষ বড়ই পুণ্যবান।
মূর্খ জমির বোঝেনা মহাজনের ছলা কৌশল
কি দিয়ে দিবে জমির তার ভুলের মাশুল।
দেখতে দেখতে ভাদ্র গেল এলো আশ্বিন মাস
জমিরের মনে কু ডাকে কিসের যেন ত্রাস।
সকল ভয় কেটে যায় লাগে ফসল কাটার ধুম
আনন্দে জমির আলীর দু’চোখে নাই ঘুম।
এমন সময় মহাজন এসে মুচকি হেসে বলে
কত ফসল হলো জমির? আমায় দাও সব তুলে।
অবুঝ জমির হেসে বলে, কইরেন না মশকারি
পাঁকা ধানে ভরে গেছে আমার ছোট্ট বাড়ি।
মহাজন বলে জমি আমার কর্মচারী ছিলে তুমি
টিপসই নিয়ে দলিলে কিনে নিয়েছি সব আমি।
কুটিল মহাজন শোনেনা তার করুণ আর্তনাদ
বাধা দিলে তোলে সে জমিরের গায়ে হাত।
এই কি ছিলো করার তোমার খোদা আমার সাথে
আকাশের দিকে তাকিয়ে জমির হাতদুটি সে পাতে।
রক্ষা কর হে দয়াময় গরীবের ডাক শোনো
ভেঙে দিয়ো না স্বপ্ন আমার কেড়ো না মুখের অন্ন।
তার ডাক পৌঁছায় না হয়তো খোদার আরশ পর্যন্ত
সব হারিয়ে জমির আলী নীরব সর্বস্বান্ত ।
তার সকল স্বপ্নগুলো চোখের জলে ভাসে
সাত আসমানে বসে একজন মিটিমিটি হাসে।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
অনেক সুন্দরভাবে কবি তার কবিতায় একজন দুঃখী চাষীর ভাগ্য ও দুর্দশার ইতিহাস তুকে ধরেছেন। তারা যে কতো কষ্ট করে ধান ফলায় তার ইতিহাস অনেকের জানা থাকলেও তার কষ্ট উপলব্ধি করার ক্ষমতা ও মানবিকতা কারোই জাগ্রত হয় নি। তাদের হাজারো আকুতি মিনতি, চোখের কান্না, কষ্টকে উপেক্ষা করে কিছু ধনীশ্রেণী তাদের মুখের এই অন্ন শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিতেও পিছপা হয় না।
বানানে তেমন কোনো ভুল নেই। তবে কবিতায় চরণের মাঝে কমা ব্যবহার করলে আরো শ্রুতিমধুর হতো।
হাতদুটি- হাতদু’টি।
শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
কৃষকের জীবন খুবই কষ্টের হয়। তার ওপর প্রভাবশালীদের অত্যাচারের ঘটনা অনেক মর্মান্তিক।
বাস্তবতার ছোঁয়া খুঁজে পেলাম কবিতাটিতে।
শুভ কামনা।
হাজারো কষ্টকে উপেক্ষা করে একজন কৃষক আমাদের জন্য কাজ করে যান।বিনিময় পান সামান্য।কখনো কখনো প্রভাবশালীদের সীমাহীন অত্যাচারও সহ্য করতে হয়।লেখাটিতে তা তুলে ধরা হয়েছে।অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটি।শুভকামনা