এক গাঁয়ের এক চাষা
প্রকাশিত: অগাস্ট ৭, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,950 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লিখা -তামান্না

এক গাঁয়ের এক চাষা ছিলো,
বুক ভরা তার আশা ছিলো,
স্ত্রী পুএ কন্যা ছিলো,,
টানাটানির সংসার ছিলো,
তবু ও সে লাঙল কোদাল চালিয়ে একটু একটু আশা পুরন করলো।
কন্যা পুএ বড় হলো,
তাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলো,
চাষার আশা পুরণের পথে,,
কিন্তু চাষার ছেলে গেলো এ কোন পথে?
কিংবা চাষার কন্যার’ই বা কি হলো?
কন্যা ও যে তার বড় হলো,
তাকে নিয়ে আবার চিন্তায় পড়লো!
ভালো ঘর ও বর দেখে বিয়ে দিলো।
চাষা খানিক বুকে স্বস্তি পেলো।
স্বস্তির মাঝে চাষা এক সুসংবাদ পেলো।
তার পুএ যে একখান চাকরি পেলো।
বৃদ্ধ চাষা খুশি হলো,
তার পরিশ্রম যে সার্থক হলো।
প্রথম প্রথম ভালই চলছিলো
পুএ ও বৃদ্ধ মা বাবার দিনগুলো,
কিন্তু হঠাৎ যে পুএের কি হলো!
তার মাঝে এক বিরাট পরিবর্তন এলো।
থাকতে চায় না,রাখতে চায় না বৃদ্ধ মা-বাবাকে,
তার তরে তাদের থাকাকে ভারী মনে করে যে,,

সিদ্ধান্ত নিলো রাখবে না আর তাদের ঘরে,
রেখে আসবে বৃদ্ধাশ্রম!
বৃদ্ধচাষা ভাবলো মনে তাহলে
বৃথাই গেলো কি তার এত দিনের শ্রম?

সম্পর্কিত পোস্ট

নির্বাক_পাখি

নির্বাক_পাখি

হে কবি,      শক্ত করে ধরো,       তোমার অস্ত্র। আবারো,      তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে,      রক্তে রঞ্জিত করে দাও,      এই শুভ্র ময়দান। হে কবি,     শক্ত করে ধরো,     তোমার অস্ত্র। যেভাবে,     কবি নজরুল ধরেছিল,      ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে,    কবি সুকান্ত চেয়েছিল,  ...

তুলসী বনের বাঘ

তুলসী বনের বাঘ --আল-মুনতাসির। চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! ছদ্মবেশে ছড়িয়ে দিলো বিষম বিষের নাগ। ইচ্ছে করে কামড় খেলে, ভরলে হৃদয় বিষের নীলে কী করে আর দেখবে প্রিয় কৃষ্ণচুড়ার বাগ ? চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! চোখে তোমার বিষের তেজে পর্দা এলো নেমে, জগত...

ভালোবাসা রং বদলায়

: ভালোবাসা রং বদলায় লেখা: অদ্রিতা জান্নাত ছোট মেয়েটা খুব করে কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করেছিল আমি যেন একটি হলেও তার কাছ থেকে ফুল কিনে নেই, ঠিক যতবার আমি তাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলাম সে যেন ঠিক ততটাই আমার পিছু ছুটতে লাগল। আচ্ছা, এই যে শিশুটা যে কিছু টাকার বিনিময়ে আমাকে...

৮ Comments

  1. Rabbi Hasan

    মনে করে দিলেন, সেই নির্মম বৃদ্ধাশ্রমের কথা, কিন্তু প্রায়ই চরণের শেষে ‘লো’। কেমন জানি লাগতেছে,

    Reply
  2. Anamika Rimjhim

    পুএ -পুত্র
    কন্যা- কণ্যা
    কোন জায়গায় দুইবার কমা দিয়েছেন যা ভুল।
    একটা লাইনে “কিংবা” লিখেছেন আবার “কণ্যাই বা ” লিখেছেন। যেকোন একটা লিখলেই হতো।
    কণ্যা ও -কণ্যাও
    লেখার উন্নতি কামনা করছি 🙂

    Reply
  3. Halima tus sadia

    ভালো লাগলো কবিতাটি।
    বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
    আমাদের গ্রামিণ সমাজের অনেক বাবা মা আছে কতো কষ্ট করে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করে।
    কিন্তু সেই ছেলেরাই একদিন বড় হয়ে বাবা মার কষ্টের কথা ভুলে যায়।বাবা মাকে বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে নিজের সুখের জন্য।
    তখনই খুব খারাপ লাগে।
    এতদিনের কষ্টের ফল বুঝি এই…
    পুরন–পূরণ
    পুএ–পুত্র
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  4. আফরোজা আক্তার ইতি

    কবিতার ছন্দ অন্যরকম তবে ভালো লেগেছে। বৃদ্ধাশ্রম কোন মাতা-পিতারই কাম্য নয়। কিন্তু তারপরও কিছু বাবা মায়ের যখন পুত্রের কাঁধে হাত রেখে হাঁটার কথা, তখন তার শেষ সম্বল আর আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রম। এই দুঃখের চেয়ে বড় কোন দুঃখ হতে পারে না। কবিতাটি সুন্দর হয়েছে।
    পুএ- পুত্র।
    পুরন- পূরণ।
    শুভ কামনা রইল।

    Reply
  5. Zinifa Efat

    ভালো লাগলো

    Reply
  6. Rahim Miah

    পুএ -পুত্র
    পূরন-পূরণ
    ভালোই ছিল, তবে গল্পের মতো লাগলো কিছুটা। আসলে এই থিম নিয়ে গল্প লিখলে অনেক ভালো হবে মনে হয়।

    Reply
  7. Mahbub Alom

    দারুণ হয়েছে।
    এক কৃষকের গল্প।একজন নিঃস্বার্থ বাবার গল্প।
    অনেক আশা,কতো বাসনা নিয়ে যখন ছেলেকে বড়ো করলো,সেই সন্তান বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে।এতো বড় পাপ করার আগে একবার বুক কাঁপলো না তার?
    তবে কি তার পরিশ্রম বৃথা গেলো?
    এই প্রশ্ন থেকেও কখনো একজন বাবা প্রশ্নটা করতে পারে না।কারণ তিনি একজন বাবা।তিনি তার প্রাণের জন্য করেছেন।সন্তান ভালোভাবে সুখে কাটালে পিতা তার জীবনের একটি সুখের নিঃশ্বাস ছাড়ে।

    অনেক ভালো লেগেছে।শুভকামনা রইলো।

    Reply
  8. Sajjad alam

    কিছু ভুল,
    পুএ__পুত্র
    তবু ও___ তবুও
    পুরন___ পূরণ
    গেলো___ গেল
    কন্যা ও___ কন্যাও
    কি___ কী
    এত দিন___ এতদিন
    .
    নামকরণটা যথার্থ।
    কনসেপ্টটা ভালো ছিলো।
    বাট সাজাতে পারেননি। কেমন যেন লাগল।।
    কবিতায় রসকস কম ছিলো।
    শুভ কামনা।

    Reply

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *