#গদ্যকবিতাঃবন্ধ্যা
#লিখাঃ
নওমিতা_সুপ্তি
একলা ঘরে,অন্ধকারে শুয়ে আছি আমি।
সাদা কাপড়ে জরিয়ে, নিজ হাতে “আমায়” সাজিয়েছ তুমি।
দেখিনি আমি কাঁদতে “তোমায়”
চুপসে ছিলে তুমি,
পারিনি বলতে তোমায় “কতটা ভালবাসি আমি।”
বসে থেকো না আমার পাশে,
ঘরে নতুন বউ আছে বসে।
তোমার অপেক্ষাই!
যাও শুরু কর নতুন জীবন!
আমি তো পারি নি সুখ দিতে তোমায়,
তাই তো করেছি নিজের জীবন হরণ।
খুশি হয়েছে তোমার “পরিবার”।
বিয়ে করতে বলেছিল তোমার মা বারবার।
তুমি ছিলেনা রাজি,
তাইতো দিলাম নিজের জীবনের বাজি।
ভালবেসে করেছিলে আমায় বিয়ে,
সুখেছিলাম দুজনে সংসার সাজিয়ে!
একদিন শুনতে পেলাম “মা হবো না আমি”।
কষ্ট পেয়েছিলাম আমি,ভেঙে পরেছিলে তুমি।
কত কথায় না শুনতে হয়েছিল আমার,
তুমি পাশে থেকে প্রতিবাদ করেছ বারবার।
কিন্তু আমি জানি,” মুখে যা বলো, বাবা হওয়ার স্বপ্ন তোমারও ছিল।”
তাইতো,
একলা ঘরে, অন্ধকারে শুয়ে আছি আমি।
তুমিও মেনে নেও,
সুখী হবে জীবনে সেটা আমি জানি!!
কবিতায় একটা বন্ধ্যা মেয়ের চিত্র ফুটে উঠেছে।
স্বামীর চাওয়া পূরণে ব্যর্থ। স্বামীর পরিবার অখুশী। সমাজের নাক সিটকানি। এহেন পরিস্থিতিতে বন্ধ্যা মেয়েটার সিদ্ধান্ত; তার স্বামী আবার বিয়ে করুক। কঠিন এক পরিস্থিতি।
যখন সত্যিই ঘরে নতুন বউয়ের আগমন, তখন পরিস্থিতি জটিল।
একটা মেয়ের পক্ষে কিভাবে সম্ভব এমন সিচ্যুয়েশানের সামনে যাওয়ার?
আমাদের সমাজটাই এমন, যেভাবেই হোক, বংশ বিস্তার করতেই হবে। ঘৃণ্য সমাজ।
বানান —
জরিয়ে~ জড়িয়ে
অপেক্ষাই ~ অপেক্ষায়
ভেঙে পরেছিলে~ পড়েছিলে।
শব্দ অনেক অগোছালো।
আমার রেটিং অনুযায়ী -৭
ভালোবাসার এক অসাধারণ উদাহরণ কবিতাটিতে পেয়েছি।ভালো লেগেছে অনেক।প্রকৃত ভালোবাসা তো এমনই।
শুভকামনা
অসাধারণ একটি কবিতা।
বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
বর্তমানে মা না হওয়ার কারণে কতো নারীকেই এভাবে
জীবন দিতে হচ্ছে।মা না হওয়া যে কতো কষ্ট তা একমাত্র বন্ধ্যা নারীই জানে।
কখনো মা ডাক শুনতে পারে না।
শুভ কামনা রইলো।
অপেক্ষাই – অপেক্ষায়
সুখেছিলাম দুজনে সংসার সাজিয়ে – সুখে ছিলাম। মাঝে স্পেস হবে।
কত কথায় না শুনতে হয়েছিল আমার – কথাই হবে। আপনার ‘য়’ আর ‘ই’ ব্যবহারে একটু সমস্যা রয়েছে।
তুমিও মেনে নেও – নাও
আসসালামু আলাইকুম। কবিতায় বাস্তবতার কিছু সচিত্র ফুটে উঠেছে। তবে শব্দ বন্ধনী আরো ভালো হওয়া উচিত। বেশ কিছু ভুলও রয়েছে। ফলে কবিতাটি তেমন একটা আকর্ষণ করেতে পারেনি। নিচে ভুলগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করলাম:
জরিয়ে – জড়িয়ে
অপেক্ষাই – অপেক্ষায়
কর – করো ( তুমি করে সম্বোধনে ো ব্যবহৃত হয়।)
পারি নি – পারিনি (নি যেহেতু কোনো অর্থবোধক শব্দ না তাই আলাদা ব্যবহার হবে না)
ছিলেনা – ছিলে না ( না যুক্ত হবে না)
তাইতো – তাই তো
নেও – নাও
সুখেছিলাম – সুখে ছিলাম
পরেছিলে – পড়েছিলে
তাইতো দিলাম নিজের জীবনের বাজি – তাই তো দিলাম নিজ জীবনের বাজি/ তাই তো দিলাম নিজের জীবন বাজি (এমন হলে বোধহয় বেশি ভালো লাগতো)
আগামীতে আশা করি বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রেখে লিখবেন। শুভ কামনা আগামীর জন্য।
জরিয়ে-জড়িয়ে
অপেক্ষাই-অপেক্ষায়
পারি নি-পারিনি
তাইতো-তাই তো (তো শুধু হয়তো, নয়তো শব্দের সাথে বসে)
ছিলনা-ছিল না (না সব সময় আলেদা বসে আর নি শব্দের একসাথে)
অসাধারণ ছিল কবিতাটা, বন্ধ্যা নারীকে নিয়ে ভালোই লিখেছেন।আসলে সমাজে বন্ধ্যা নারীদের দাম দেয় না মানুষ, সবাই তাদেরকে অবহেলা করে। সমাজে বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে আর নিয়মগুলো খেয়াল রাখবেন। শুভ কামনা রইল ।
বানান ভুলগুলো অন্যেরা ধরিয়ে দিয়েছে, তাই বললাম না আর। আপনি যে কন্টেন্টে লিখেছেন, সেটা দিয়ে গল্প পড়েছি আগে। কবিতায় ব্যাপারটা ফুটিয়ে তোলে প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন।