———(এস.এম.আরিফ)
.
একটি গল্প বলতে ইচ্ছে করে,
এই ধরো –
টক ঝাল মিষ্টি টাইপের গল্প।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে যদি তুমি না আসতে এ জীবনে;
তন্দ্রায় কাঁথা মুড়ি দিয়ে অন্তত
হাড়-কাপানো শীতে ছোটখাটো গল্পের আসর জমাতে পারতাম।
নাতিপুতিকে জীবনের গল্প শোনানোটাও আজ
কেন যেন সৌভাগ্যবান-হলেই জোটে বলে মনে হয়!
কত কী’ই তো মনে হয়েছে তুমি আসার পর,
এসব শুনে কেউ কবি,কেউ দার্শনিক বলছে!
অথচ এসব শুনলে; তুমি খুব বিরক্ত হতে
মনে আছে তোমার?
ধ্যাত্..কিসব বলছি!
থাকুক এসব।
.
জানো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে লিখতে-
যখন আমি অভ্যস্ত হয়ে পড়ছিলাম,
শুষ্ক-অশ্রুতে লিখা চিঠি কবিতার মত লাগতো;
না,না! একথা আমার না! অনেকে বলতো আর কি,
তোমাকে বলা হয়নি তো; তাই বললাম।
.
যাক-গে সেসব কথা,
কবিতা,
জানো ইদানীংকালে আমার বুকের ব্যথা একটু বেড়েছে!
জানি আমার প্রতি ভালোবাসা না থাকলেও
অগাধ করুণা ছিলো তোমার।
এ চিঠি যদি তোমার ঠিকানায় পৌঁছতো;
হয়তো করুণা করে মুখে দু ‘একবার চু চু শব্দ করে বলতে;
আহা..বেচারা!
.
মনে আছে তোমার?
দেড় কুড়ি বছর আগে লাল শাড়িতে;
লাল নীল কাগজের ছোপছোপে আঠামারা পালকিতে
যখন উঠছিলে আর অঝরে কাঁদছিলে;
তখন আমার খুব কান্না পাচ্ছিলো এই ভেবে যে
আহা,তোমার বুকেও ভালোবাসা আছে।
যার জন্যই হোক মা-বাবা,আত্মীয়-স্বজন কিংবা আমি !
আরও কান্না পাচ্ছিলো এই ভেবে যে –
তোমার ভালোবাসার সমুদ্রে ডুবে মরা তো দূরের কথা
তার অস্তিত্বের অন্বেষণ করতেও পারলাম না;
সত্যিই আট-কপালে মানুষ আমি!
.
থাককু পুরোনো কথা!
নতুন একটা গল্প শুনবে?
রাজার গল্প!
একরাজ্যের রাজা না গো, এ রাজা বড় অদ্ভুত রাজা!
কিন্তু জানো?
আফসোস হচ্ছে এ অতীতের গল্প নয়!
অতীতের গল্পের স্মৃতিতে বিচরণ করা যায়
কিন্তু ভবিষ্যতের গল্পে বোধহয় তা যায় না;
আর করা গেলেও ভাবনা যার-সেই পারে ,
আরেকজন পারে অবশ্য সে হলো রানী!
কিন্তু তুমি তো আর সেটা হতে রাজী নও।
থাক বরং বাদ দাও,
রাজা-রানীর গপ্পো কি সবার জন্য?
এই বুড়ো বয়সে আর মিথ্যে গল্প জোড়া দিতে চাই না।
সত্যি মিথ্যেরও তো হিসেব রাখা চাই !
কি বল?
এখনো মনে পরে,
কত মিথ্যে বানাতাম
শুধু তোমাকে খুশি করার জন্য।
নিজেকে তখন বড়সড় একজন
অভিনেতা মনে হতো।
.
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখে এক ধরনের প্রশান্তি পাওয়া যায়।
যেমন ধরো রাতে লিখে- উষায় যদি রক্তিম আভা দেখি,
মনে হয় বেচারা আকাশ কত কষ্ট করে
ঘুম ভেঙে লাল চোখে উঠলো আমার চিঠি পেয়ে।
আর যদি বৃষ্টি দেখি! মনে হয়
ইসস্.. একটু বেশি আবেগী হয়েছিলাম বোধয় রাতে।
যাই হোক উত্তর মেলে!
আর তোমার জন্য নিবন্ধিত চিঠি ফিরে আসে;
আর অনিবন্ধিত চিঠি কত যে বেওয়ারিশ হয়েছে
ইয়েত্তা রাখে নি কোন ডাকপিয়োনও!
.
এসব গল্প কি শোনানো যায় কাউকে?
তবুও শোনাতাম যদি
শ্রোতা থাকতো।
এখন দূর আকাশে কিছু তারা আর
আর চাঁদের সম্ভ্রম রক্ষায় যে কয়েকখন্ড মেঘ উঠে-পরে লেগেছে
তারাই শ্রোতা!
আর সেই পুরোনো দিনের বিরক্তিকর বক্তা ,
খোলা আকাশের নিচে একা একা বকে যাচ্ছে।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
আগেও পড়েছিলাম আবার পড়লাম। ভালো ছিল।
চমৎকার লেখনী! এ যেন শুধু কবিতাই নয়, নিঃসঙ্গ এক প্রেমিকের হাজারো আহাজারি, বেদনা ও অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা। বেশ ভালো লাগল কবিতাটা পড়ে। বিশেষ করে শেষের চরণগুলো মনকে নাড়া দেয়ার মত। কবিতাটা পড়তেই যেন এক অন্য ঘোরে চলে গেলাম। এমন চমৎকার লেখনীর জন্য কবিকে ধন্যবাদ।
ভুল-ত্রুটি নিয়েই মানুষ। লেখাটিতে বেশ কিছু ভুল আমার নজরে পড়ল। সেগুলো সংশোধন করে দেই।
কাঁথা মুড়ি- কাঁথামুড়ি।
হাড়-কাপানো- হাড়-কাঁপানো।
সৌভাগ্যবান-হলেই- সৌভাগ্যবান হলেই।
না,না!- না, না! (স্পেস হবে।)
অঝরে- অঝোরে।
উষার- ঊষার।
বোধয়- বোধহয়।
মেলে- মিলে।
অনেক শুভ কামনা রইল প্রিয় কবি।
কয়েকটি বানানে সমস্যা আছে। যার ফলে কবিতাটির সৌন্দর্য্য সামান্য কমে গেছে। তারপরও বেশ ভালো লিখেছেন।
কাঁথা মুড়ি – কাঁথামুড়ি
কাপানো-কাঁপানো
মনে আছে তোমার? -মনে আছে কি তোমার? (যেহেতু প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেওয়া হয়েছে কি দেওয়ার উচিত ছিল)
মত-মতো
মনে আছে তোমার? -মনে আছে কি তোমার?
নতুন একটা গল্প শুনবে? -নতুন একটা কি গল্প শুনবে?
রানী-রাণী
রানীর-রাণীর
গপ্পো-গল্পে
বল-বলো
মনে পরে-মনে পড়ে
উষার-ঊষার
বোধয়-বোধহয়
মেলে-মিলে
রাখে নি-রাখেনি (নি শব্দের সাথে বসে)
বাহ্ বেশ চমৎকার কবিতা ছিল। পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। প্রিয়জনকে নিয়ে লেখা আর তাকে নিয়ে ভাবা পুরানো স্মৃতি। তবে ভুলের মান বেশি বলা যায়। আগামীতে এইসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন আশা করি, অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
খুব সুন্দর একটি কবিতা।
মনোমুগ্ধকর লেখা।
প্রতিটি লাইন হ্নদয় ছুঁয়ে গেল।
প্রিয়জনের জন্য আহাজারি,ভালোবাসা,ব্যক্ত প্রকাশ পেয়েছে।
শুভ কামনা রইলো।
বানানের কথা অনেকেই বলেছে,তাই আর আমি বলতে চাই না।