গল্প লেখকঃ
অচেনা দ্বীপে একা আমি
(মার্চ – ২০১৮)
……………
খুকুর খুকুর করে বর শুকনো কাশি দিয়েই যাচ্ছে।
বউ একটু নড়েচড়ে বসল।
= শুনেছি বাসর ঘরে বউ সালাম করে।
= হুম জানি আমার আম্মুও করেছিল, তখন আব্বু আম্মুকে ৫০১ টাকা দিয়েছিল।
= হুম আমিও দিতাম।
= কিভাবে? আপনের ত শেরুয়ানীর পকেট নাই!
= তাতে কি পায়জামার ত পকেট ছিল।
(সালাম করে)
=আচ্ছা করলাম। এবার টাকা দেন।
= হা হা হা.. বেচে থাক বউ। কিন্তু আমার কাছে যে টাকা নাই।
= বেটা মিথ্যুক আমার সাথে এতবড় মিথ্যাচার?
= আচ্ছা চল ঘুমিয়ে পড়ি পরে টাকা দিয়ে দিব।
= আহারে তা হবে না। এখনি আমার জন্য চিপস্ নিয়ে আসেন। আমার চিপস খুব পছন্দ।
= ওমাগো এই শীতে। রাত বাজে ১:৩০ চিপস্ কোথায় পাব?
= যাবেন নাকি চিত্কার করব?
= আচ্ছা যাচ্ছি, তবে এসে কিন্তু ঘুমাব।
= বাপরে বের হইতে দেরী দরজা লাগতে দেরী না।
গেলাম চিপস্ আনতে ঐ মফিজ উঠ শালা ২টা চিপস্ দে।
দূর মিয়া এখন চিপস্ দিতে পারুম না। মফিজ তুই আমার বাপ লাগছ দে ভাই।
হুম দিব তবে ২টা চিপস্ ২০০ টাকা লাগব।
সালা কশাইয়ের বাচ্চা কাল থেকে ছাগল বিক্রি করিস। শালা হাসতে হাসতে ২০০ টাকা নিয়া ২টা চিপস্ দিয়া ভাগায় দিল।
এসে দেখি দরজা বন্ধ। ওগো দরজা খোল। আওয়াজ নাই। আরে ঠান্ডা লাগতেছে দরজা খোল বউ। তোমার জন্য ২বস্তা চিপস্ আনছি।
এখনো কথা নেই। মানুষ দেখলে কি কইব এত রাতে নতুন জামাই বাইরে। না জানি কি করছে, এটা ভেবে লজ্জায় গরম হয়ে যাইতেছি।
দিলাম ধাক্কা বাপরে দরজা কি দিয়া লাগাইছে।
শালীর বউ আজ তর ৬দিন কি আমার ১দিন। দিলাম লাথি, এই রে কাঠের দরজাতে কাচ ভাঙ্গার শব্দ কেন?
সারছে স্বপ্নে লাথি দিয়া আব্বার ল্যাপটপ ভেঙ্গে ফেলছি।
আব্বা জিগাইলে কি স্বপ্নের কথা কইয়া বুঝ দিমু?
০ Comments