হাফেজ আহমেদ রাশেদ
একদা বালক পাড়ি দিচ্ছিল বাগদাদের পথে,
ইলমে ওহীর অন্বেষণে কিতাব লয়ে হাতে।
মাঝপথে তারে বাঁধে আনি দূর্বিত্তের দল,
কহিল বালক তব সঙ্গে কি রয়েছে বল।
দূর্বিত্তের শিকারি বালক মুক্ত মনা জানায়,
স্বর্ণ মুদ্রা কয়েক রয়েছে মোর পরনের জামায়।
বালকের কথা শুনি হতবাক কহে দস্যু নেতা,
বালক তুমি না হয়ে কাতর, কেন বলো সত্য কথা।
লুটেরা মোরা সর্বজনের সদা করি ক্ষতি,
সত্য গোপন রেখে সকলি করে মিথ্যে মিনতি।
কেমন তুমি কি তোমার অন্তরে করো লালন,
আমাদের কাছে মিথ্যে বলিতে কি ছিলো তোমার বাধন।
দস্যুদের পানে চাহিয়া বালক কহে নির্ভীক চিত্তে,
জননী আমার করেছে উপদেশ, যেন নাহি বলি মিথ্যে।
দস্যুদল ক্রন্দন করিয়া বলকের চরণে লুটিয়া পরে
কহে এমন শিক্ষা লভ্য তুমি করিলা কেমন করে।
মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে তবু ক্ষুন্ন করনি মা’য়ের আদেশ,
মহান প্রভুর বিধান না মেনে মোরা নিজেদের করেছি শেষ।
নেই আমাদের পুণ্যের পুঁজি কঠিন হবে শেষ বিচার,
কালিমা পড়াইয়ে বলে দাও তুমি কেমনে পাব পার।
বালক কহে প্রভূ দয়াময় সকলের জন্য সমান,
তাওবা করো তাহার কাছে,ক্ষমা করবেন রহমান।
সেই বালকের কথা শুনি তাওবা করল সকলে মিলি
দস্যু আর থাকেনি কেহ, পরোক্ষণে হলো প্রভূর ওলী।
সত্য,নিষ্ঠ, সেই বালকের নাম রেখো শুনি
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অলী আব্দুল কাদির জিলানী।।
ভালো লাগলো। সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এখানেই লেখকের স্বার্থকতা।
শুভ কামনা রইলো।
অনেক অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে। আমি অভিভূত হয়ে গেছি কবিতাটি পড়ে। ছন্দমিল আর শব্দচয়ন দু’টোই অনেক সুন্দর। আর ধারাবাহিকতা,বর্ণনাভঙ্গি ও সুন্দর।
সত্যের জয় সবসময়ই হয়। সত্য মানুষকে অন্যায় থেকে দূরে রাখে, আলোর পথে আনে।
তবে বাধন শব্দটা সম্ভবত বাঁধন হবে।
ভালো লাগলো কবিতাটি। বালকের হবে।
অসাধারণ কবিতা।পড়ে খুব ভালো লাগলো।চমৎকারভাবে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন বালকের সততা।
শব্দচয়নও ভালো ছির।ছন্দে ছন্দে লিখেছেন।
কবিতায় আব্দুল কাদির জিলানীর চরিত্র ফুটে উঠেছে।মায়ের আদেশে সদা -সর্বদা সত্য কথা বলতেন।
সত্যের জয় সবসময় হয়।
শুভ কামনা রইলো।
খুব সুন্দর ছন্দে ছন্দে আমাদের স্বর্ণগাঁথা ইতিহাস আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন।
আব্দুল ক্বাদির জিলানী।
মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়েও মায়ের আদেশ ক্ষুণ্ণ করেননি।
বলে গেছেন সত্য কথা।
সত্যিই আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত এই ঘটনা থেকে ।
আপনার লিখা এই হেদায়াতি কবিতা, আল্লাহ সাদকায়ে জারিয়াহ হিসেবে কবুল করুন – আমিন।
শুভকামনা রইলো।