বাবার জন্য
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,462 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

লেখক: মিশু মনি

জমিরুদ্দীনের বড়মেয়ে জোনাই এর বিয়ে আজ। আয়োজনে কোনো ত্রুটি রাখেন নি তিনি। একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবার পক্ষে যতটুকু আয়োজন করা সম্ভব, সবটুকুই চেষ্টা করেছেন উনি। কিন্তু বিনিময়ে অনেক ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে। পাত্রপক্ষের আর্থিক অবস্থা এখন একটু খারাপ হলেও ছেলের পুলিশের চাকরী আছে, বাড়িভিটা জমিজিরাত ও আছে। জমিরুদ্দীন তাতেই অনেক খুশি। জামাই চাকরী করে, মেয়ের কোনো অভাব রাখবে না সে। তাই পাত্রপক্ষের দাবী মোতাবেক ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিতে রাজি হয়েছেন। নিজের জায়গাজমি বলতে যা কিছু ছিলো, সবই বিক্রি করে দিয়ে যৌতুকের টাকা জোগাড় করেছেন উনি। তবুও মেয়েটা যেন সুখী হয়।
বিয়ে বাড়িতে আনন্দ ও কম হচ্ছেনা। বাচ্চাকাচ্চা, মহিলা সকলেই অনেক হৈ হুল্লোর করছে। বড়রাও সবাই বেশ খুশি। যদিও যৌতুকের টাকার জন্য সবকিছু বিক্রি করতে হয়েছে এটা তেমন কেউ জানেনা। জমিরুদ্দীনের ইচ্ছে ছিলো বড়মেয়ের বিয়ে অনেক আয়োজন করে ভালো পাত্রের সাথে দিবেন, সেটা করতে পেরেই ওনার ও আনন্দের সীমা নেই।
জোনাই লাল বেনারসি গায়ে জড়িয়ে লাল টুকটুকে হয়ে বউ সেজে বসে আছে। ওকে ঘিরে মহিলারা বসে হাসাহাসি করছেন। বিয়ে বাড়িতে যেন খুশির বন্যা বইছে।
বিয়ে পড়ানোর পর বিদায় দেয়ার সময় খালার কাছে জোনাই জানতে পারলো যৌতুকের ব্যাপার টা। বাবা সব জমাজমি বিক্রি করে টাকাটা দিয়েছেন শুনে রাগে ক্ষোভে মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো ওর। কিন্তু বিয়ে যখন হয়েই গেছে, তখন আর কিছুই করার নেই। এখন যা করার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে করতে হবে। জোনাইয়ের ভিতরে কষ্টের উথাল পাথাল ঝড় বইতে লাগলো। বাবার আয়ের একমাত্র উৎস এই জমাজমি গুলো। চাষাবাদ করেই সংসার চালান উনি। জমাজমি গুলো সব চলে গেলো, এখন কিভাবে চলবে বাবার সংসার? ছোট দুটো বোন আছে, তাদের পড়াশোনা শেখাতে হবে। এদের দিনকাল কিভাবে যাবে, এসব ভাবতে ভাবতে নিজের উপর রাগ বেড়ে যাচ্ছে জোনাইয়ের। কেবলই মনে হচ্ছে, “কেন যে মেয়ে হয়ে জন্মালাম! আজীবন বাবার খেয়ে পড়ে বড় হয়ে এখন আবার তার আয়ের সমস্ত উৎস টুকুও গ্রাস করে পরের ঘরে চলে যাচ্ছি। ছেলে হয়ে জন্মালে কি এমন ক্ষতি হতো! নিজেকে বড্ড অপরাধী অপরাধী লাগছে!”
বিদায়ের সময় বাবার বুকে মাথা রেখে খুব কাঁদলো জোনাই। কাঁদতে কাঁদতে চোখের সব জল ফুরিয়ে গেলেও কি ওর কষ্ট এতটুকুও কমবে? বাবা ছোটবেলা থেকেই অনেক আগলে রেখে বড় করেছেন, এখন আবার সবকিছু বেচে দিয়ে বিয়ে দিলেন। নিজেদের কথা, পরিবারের কথা একবার ও ভাবলেন না। বাবা’রা কেন এত ভালো হয়! আল্লাহ কি শুধুমাত্র বাবাদের ই এই ক্ষমতা দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন? দুনিয়ার সব বাবাই এত ভালো কেন?
কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা হলো জোনাইয়ের। ওকে ধরাধরি করে গাড়িতে তুলে দেয়া হলো। পুরোটা রাস্তা চুপচাপ বসে বসে চিন্তা করলো ও। যেভাবেই হোক, বাবার একটা ব্যবস্থা করে দিতেই হবে। ছোট দুটো বোনকে মানুষ করতে হবে তো। বাবা যে কৃষিকাজ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না। এখন তাকে অন্যের জমিতে খাটতে হবে, তাতে কয়টা পয়সাই বা আসবে? ডুকরে কান্না আসছিলো জোনাইয়ের। কিন্তু বুকে পাথর চেপে শক্ত হয়ে বসে রইলো ও।
শ্বশুরবাড়িতে এসে ওকে বরণ করে নেয়া হলো। বাসর ঘরে যাওয়া অব্দি খুব লক্ষীমেয়ে হয়ে রইলো জোনাই। কিন্তু ওর স্বামী ঘরে আসার পরই ওর অগ্নিমূর্তি বেড়িয়ে এলো।
স্বামী’র চোখে চোখ রেখে বললো, “শরীরে কাজ করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করাটা মানুষের ধর্ম নয়।”
জোনাইয়ের স্বামী আবির অবাক হয়ে বললো, “বাসর ঘরে এ কি ধরণের কথা! কিসের ভিক্ষা?”
– “অন্যের কাছে হাত পেতে টাকা নেয়াটা ভিক্ষা নয়? বিনিময় ছাড়া টাকা নেয়াটা এক প্রকার দান। সে দান করেছে, আর আপনি গ্রহণ করেছেন।”
আবির একটু থতমত খেয়ে বললো, “কি বলতে চাইছো?”
জোনাই বললো, “টাকা নেয়ার দুটো কারণ থাকে। একটা হচ্ছে দায়িত্ববোধ, আরেকটা হচ্ছে পারিশ্রমিক। বাবা টাকা দেন তাদের দায়িত্ববোধ থেকে, আর কাজের বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই টাকা নেয়াটা নিতান্তই… থাক বলতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে। আমি কখনো অন্যায় সহ্য করিনি। অথচ আমার ই স্বামী কিনা এতগুলা টাকা নিয়েছে আমার বাবার কাছে।”
আবির একটু রেগে বললো, “এতই যখন ন্যায়নীতি বোধ, তবে বিয়ে করেছো কেন?”
– “জানলে কখনোই করতাম না। আমাকে জানানো হয়নি ব্যাপার টা।”
আবির কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো জোনাইয়ের মুখের দিকে। তারপর বললো, “কেন নিয়েছি সেটা না জেনেই বলছো? এইযে তোমার স্বামী এখন যে পুলিশের চাকরী টা করছে সেটার জন্য তাকে ৮ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। তিন লাখ টাকা বাবা দিতে পেরেছিলো আর বাকিটা ধার নিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ধারের টাকা শোধ করার জন্য যৌতুক নিতে হয়েছে।”
জোনাই চোখ বড়বড় করে বললো, “বাহ! নিজের কর্মসংস্থান এর জন্য আমার বাবার আয়ের সমস্ত উৎস ই কেড়ে নিলেন? বিবেক বোধ নাই?”
আবির রেগে বললো, “মুখ সামলে কথা বলো জোনাই। আমি কেন ওনার আয়ের উৎস কেড়ে নিবো?”
– “আমার বাবা জমিতে চাষাবাদ করেই সংসার চালান। কিন্তু যৌতুকের টাকা আর বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সব জমাজমি বেচে দিয়েছেন। এখন তার সংসার চলবে কি করে বলতে পারেন?”
– “সে চিন্তা তো আমার নয়।”
– “তাহলে আপনার ধারের টাকা শোধ করার চিন্তা আমার বাবার কেন থাকবে? কেন নিলেন তার কাছে টাকা?”
– “কারণ তার মেয়েকে সারাজীবন আমি ঘরে বসিয়ে খাওয়াবো।”
জোনাই উপহাসের হাসি হেসে বললো, “বাহ! কি দারুণ যুক্তি। এ জন্যই আমার নিজের জন্য রাগ হয়। আমি কেন যে মেয়ে হয়ে জন্মালাম। অন্যকেউ আমার ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেবে, তার জন্য বিয়েতে তাকে নগদ টাকা বুঝিয়ে দিতে হবে। হায়রে মেয়েদের ভাগ্য!”
আবির চুপ করে আছে। এ কথার জবাব ওর কাছে নেই। জোনাই কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো, “আমি বাকি জীবন যদি নিজে উপার্জন করে সংসার চালাই? সংসারে যত খরচ হবে, অর্ধেক আপনার আর অর্ধেক আমার। তাহলে কি আমার বাবার এই ৫ লাখ টাকা ফেরত দিবেন?”
আবির অবাক হয়ে স্ত্রী’র মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন মেয়ে জীবনে দেখেনি ও। বিস্ময়ে কথা বের হচ্ছেনা মুখ দিয়ে। শান্ত গলায় বললো, “যাদের কাছে টাকা নিয়েছিলাম তাদেরকে কালকেই দিয়ে দিতে হবে। ওনাদের টাকা নিতে ডাকা হয়েছে। দিতে না পারলে অসম্মান হবে।”
জোনাই একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চিন্তা করতে লাগলো কি করবে এখন? একটু ভেবে বললো, “আচ্ছা তাহলে একটা সিদ্ধান্তে আসুন।”
আবির জানতে চাইলো কিসের সিদ্ধান্ত। জোনাই বললো, “আপনার বাবাও আপনাকে কষ্টে মানুষ করেছেন। আমার বাবাও করেছেন। এখন আমার বাবার আয়ের উৎস নেই কোনো। হয়ত অন্যের জমিতে কামলা খেটে সে সংসার চালাবে। সে তো তার জমি বেচে আপনার চাকরী নিয়ে দিলো, এখন আপনি প্রতিমাসে বেতন তুলে তিনভাগের একভাগ আমাকে দিবেন। আমি বাবার কাছে পাঠাবো।”
আবির এবার এতবেশি অবাক হলো যে চোখের পলক ও পড়ছে না। এমন ব্যক্তিত্বের মেয়েও জগতে আছে সেটা ও বিশ্বাস করতেই পারছে না। বিস্ময়ের ঘোরে চেয়ে রইলো জোনাইয়ের দিকে।
জোনাই বললো, “আর নয়ত আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে আপনার ই লস হবে। বউও হারাবেন, সাথে আমার বাবার দেয়া ৫ লাখ আর দেনমোহরের টাকা সব ফেরত দিয়ে ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে হবে। এবার ভাবুন কি করবেন?”
আবির লজ্জায় মরে যাচ্ছে। এভাবে লজ্জায় পড়লে কি বলা উচিৎ ওর জানা নেই। তাও আবার সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী’র কাছে। কিভাবে যে এ লজ্জা থেকে পরিত্রাণ পাবে বুঝতে পারলো না। লজ্জায় ও অপমানবোধে চোখে পানি এসে যাচ্ছে ওর।
আবির এগিয়ে এসে হাতজোর করে বললো, “তোমার ব্যক্তিত্ব আর আত্মসম্মানবোধের কাছে আমার সবকিছু তুচ্ছ হয়ে গেছে জোনাই। মাফ করে দিও আমাকে। আমি এতকিছু আগে ভাবিনি। তোমার বাবার অবস্থা ভেবে আমার এটা করা উচিৎ ছিলো। কিন্তু কালকেই তো ধারের টাকাটা দিয়ে দিতে হবে। ছয় জনের কাছে মোট ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলাম, সুদ ও ধার্য হয়েছে অনেক। এখন কি করবো বলো? আমাদের জমাজমি তো তেমন নেই যে বিক্রি করে দিবো। আব্বু কষ্ট করে তিন লাখ দিয়েছিলো।”
জোনাই কিছুক্ষণ চেয়ে রইলো আবিরের দিকে। আবিরের চেহারায় অপমানবোধ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। লজ্জায় চোখ, কান, মুখ লাল হয়ে গেছে। নিজেকে ওর বড্ড অপরাধী লাগছে বোঝাই যাচ্ছে।
আবির বললো, “তুমি যে শর্ত দিলে তাতেই আমি রাজি। প্রতি মাসে আমার বেতনের অর্ধেক তোমার বাবাকে দিয়ে আসিও তুমি।”
আবিরের মুখ দেখে এবার হাসি পেলো জোনাইয়ের। ছেলেটার প্রতি এতক্ষণ যত ঘৃণা জমেছিলো সব দূর হয়ে গেলো। যতটা খারাপ ভেবেছিলো, ততটাও নয়। আর এখন তো খুব নিষ্পাপ মনে হচ্ছে। খারাপ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
জোনাই এগিয়ে এসে বললো, “ফ্রিতে টাকা নেয়ার অভ্যেস টা আমার নেই। আপনাকে দিতে হবেনা। আমি কাল থেকে চাকরী খুঁজবো, ইনশাআল্লাহ পেয়ে যাবো। না হলে দুটো মাস কষ্ট হবে। চাকরী করে বেতনের সবটা টাকা আমি আব্বুর হাতে দিয়ে আসবো। আমার দু বোনের পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়।”
আবির জোনাইয়ের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে আছে। জোনাই আরেকটু এগিয়ে এসে স্বামীর হাত ধরে বললো, “আপনার সাথে খারাপ আচরণ করার জন্য আমি সরি। আমাকে মাফ করে দেবেন। আসলে বাবা তো আর কোনো কাজই করেনা, শুধু কৃষিকাজ করেই আমাদের সংসার চলতো। আম্মু সেলাইয়ের কাজ করতো। কিন্তু এটুকু দিয়ে তো আর এখন সবকিছু চলবে না। আব্বু কামলা খাটছে দেখলে আমার খারাপ লাগবে। তারচেয়ে আমি যদি প্রতিমাসে অন্তত দশ হাজার ও দিতে পারি, ওদের দিন ভালোভাবেই চলে যাবে। আর বোনদের পড়াটাও চলবে। আমাকে প্লিজ বাধা দিয়েন না, দোহাই লাগে।”
আবির শক্ত করে জোনাইয়ের হাত ধরে বললো, “অনেক ভাগ্য করে এমন বউ পেয়েছি। ছেলে তো দূরের কথা, আজকাল কোনো মেয়েও বাবার কথা এভাবে ভাবে না। ঠিকাছে, তুমি চাকরী করে পুরো টাকাটাই বাসায় দিয়ে এসো। আর প্রতিমাসে আমি কিছু বাজার করে দিয়ে আসবো। খুশি?”
জোনাই এবার কেঁদে ফেললো। নিজেকে সামলাতে না পেরে আবিরের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে লাগলো। আবির ওর মাথায় হাত বুলাতে গিয়েও সাহস পেলোনা। শুধু মুখে বললো, “তুমি খুব ভালো একটা মেয়ে জোনাই।”

সম্পর্কিত পোস্ট

পূনর্জন্ম

জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...

অনুভূতি

অনুভূতি

লেখা: মুন্নি রহমান চারদিকে ফজরের আজানের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসছে। বাইরে এখনো আবছা অন্ধকার। তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়লো মালা। ঘরের কাজ সেরে বের হতে হবে ফুল কিনতে। তাড়াতাড়ি না গেলে ভালো ফুল পাওয়া যায় না আর ফুল তরতাজা না হলে কেউ কিনতে চায় না। মাথার ওপরে তপ্ত রোদ যেন...

অসাধারণ বাবা

অসাধারণ বাবা

লেখক:সাজেদ আল শাফি বাসায় আসলাম প্রায় চার মাস পর। বাবা অসুস্থ খুব।তা নাহলে হয়তো আরও পরে আসতে হতো।গাড়ি ভাড়া লাগে ছয়শো পঁচিশ টাকা।এই টাকাটা রুমমেটের কাছ থেকে ধার নিয়েছি।তার কাছে এই পর্যন্ত দশ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে।বলি চাকরি হলেই দিয়ে দিব। পড়াশোনা শেষ করে দুই বছর...

২ Comments

  1. আফরোজা আক্তার ইতি

    শুধু জোনাইই ভালো মেয়ে নয়, আবিরও খুব ভালো একটা ছেলে। সে যখন বুঝতে পেরেছে, সে নিজের স্বার্থের জন্য অন্যায় করেছে, তখন সে নিজের অপরাধবোধ এবং বিবেকের জন্যই নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং জোনাইয়ের শর্তে রাজি হয়েছে।
    অন্যদিকে জোনাইও খুব ভালো একটি মেয়ে,সে যৌতুকের বিরুদ্ধে যেভাবে প্রতিবাদ করেছে এবং সুন্দরভাবে বুদ্ধি দিয়ে একটি সমাধান বের করেছে এটি সকল মেয়ের জন্যই একটি দৃষ্টান্ত। এ থেকে শিক্ষা নিবে অনেক মেয়েই।
    খুব সুন্দর লিখেছেন। বানানে তেমন ককোন ভুল নেই।
    হাতজোর- হাতজোড়।
    দু বোনের- দু’বোনের।

    Reply
  2. মাহফুজা সালওয়া

    অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী।
    তবে,জোনাইয়ের বাবা খুব অদূরদর্শী একজন মানুষ।।কোনো সচেতন ব্যক্তি কখনো ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে আবেগের বশে সর্বস্ব খোয়াতে বসেনা ।। যেখানে তার আরো এক জোড়া মেয়ে আছে,একটা সংসার আছে! সে কীভাবে এতোটা সাহস করলো?
    দ্বিতীয়ত, গ্রামীণ কৃষকের মেয়ে,অতি সাধারণ একটা পরিবারের সন্তান হয়েও এতো তেজস্বী, সত্যিই অবাক করার মতো।
    তবে, বাসর ঘরে বরের সাথে কনভার্সেশন দেখে মনে হলো গল্পে কিছু অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
    বানানে তেমন ভূল নেই।
    লেখিকার প্রতি শুভকামনা।।

    Reply

Leave a Reply to আফরোজা আক্তার ইতি Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *