কবিতা : বাবা
বলতে শেখা, চলতে শেখা
সবই শেখা তোমার কাছে।
তুমি আমার শিক্ষাগুরু
তোমার মতো কেউ কি আছে?
হাতের সাথে হাত মেলাতে
পায়ের সাথে পা।
আমার ধুলোয় যেত ভরে
তোমার সারা গা।
হাসিমুখে বলতে তবু
এবার খোকা চল।
নীল আকাশের চাঁদটা কেন
লাল দেখা যায় বল।
পারতাম না বলতে কিছুই
ফেলফেলিয়ে থাকতাম চেয়ে।
হেসে সেরে বলতে তুমি
শিখবি সবই বড় হলে।
মস্ত বড় মানুষ হবি
চড়বি বড় গাড়ি করে।
আমি হয়তো থাকবো না রে
চলে যাব ওপারেতে।
বুঝতাম না মানে কিছুই
হাসতাম শুধু খিলখিলিয়ে।
করতে না তো বারন তবু
বকতে না তো শাসন করে।
আজকে আমি যশ করেছি
করেছি যে নাম।
হয় না পাওয়া তবু তো আর
তোমার গায়ের সুঘ্রাণ।
কোন অজানায় গেলে চলে
পাই না কেন তোমার দেখা?
তোমার জন্য মনের মাঝে
জমছে যে আজ শুধুই ব্যথা।
বলতে চাই তোমায় যে
ভালোবাসি ভীষণ।
তোমার মতো কেন বাবা
হয় না কেউ আপন?
ভীষণ ভালো লাগল ।বাবা ছেলের গভীর বন্ধুত্বতা ফুটে ওঠেছে কবিতায় ।সত্যিই পিতা পুত্রের সম্পর্কের কোন তুলনাই হয়না ।বারন =বারণ শব্দটা এভাবে হবে ।শুভ কামনা
চমৎকার একটি কবিতা। ভালো লাগলো।
মনোমুগ্ধকর লেখা বাবাকে নিয়ে।
বাবার মতো হয় না কেউ আপন।
ছোট থেকে প্রথম পথ চলা বাবার সাথে।
বারন-বারণ
শুব কামনা রইলো।
বাবা আমাদের হাত ধরে চলতে শিখায়, ভালো মন্দের তফাৎ বুঝায়। নিজে কষ্ট করে যায় শুধু আমাদের ভালো রাখার জন্য। অনেক ভালো লেগেছে কবিতা টি।
এক কথায় অপূর্ব লেখেছে। খুবই সুন্দর। আশা করি এমনভাবেই সুন্দর সুন্দর লেখনীর মাধ্যমেই আমাদের আগামীতেও মুগ্ধ করবেন। সত্যি ‘বাবা’ এমন একজন ব্যক্তি যার কোনো তুলনা হয় না। ছাতার মতো তিনি মাথার উপর থাকেন জন্যই বোধহয় রোদ-বৃষ্টি কোনো কিছুই আমাদের স্পর্শ করতে পারে না। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা। লেখক /লেখিকার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
শিক্ষাগুরু-শিক্ষা গুরু
মতো- মত
বারন-বারণ
বাহ্ শেষ লাইনটা দারুণ ছিল।
তোমার মত কেন বাবা
হয় না কেউ আপন?
কবিতাটা মাঝে শুরুতে ছন্দের অনেক মিল ছিল, তবে মাঝখানে তেমন মিল ছিল না। কিন্তু শেষের দিকে আবার ছন্দ মিল রেখেছে কবি। সত্যিই বাবা এমন একজন মহৎ ব্যক্তি, যিনি সন্তানের জন্য নিজের চাওয়া ত্যাগ করেন। অনেক ভালো লেগেছে পড়ে, শুভ কামনা রইল।
মত মানে মতামত বোঝায়। আর মতো মানে সরূপ বোঝায়। এখানে তাহলে মত হবে না মতো হবে ভেবে দেখবেন। আর ছন্দ মিল তো পুরো কবিতা জুড়েই ছিল। কারোই মনে হলো না ছন্দে অমিল। বাট আপনার কেন মনে হলো বুঝতে পারলাম না। আর শিক্ষাগুরু শুব্দের মধ্যে স্পেস হয় না বোধহয়। সরি ফর রিপ্লে। আসলে ভুল সবারই থাকতে পারে। তবে আসলটা জেনে তবেই ভুল ধরা উচিত মনে হয়।
বাবাকে নিয়ে লেখা কখনও খারাপ হতে পারে না। এটি যে একটি স্পর্মকাতর বিষয়। শুভকামনা।