আত্মপরিচয়ের খোঁজে
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
লেখকঃ augustmault0163

 1,044 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ augustmault0163

মৌ চক্রবর্তী

কাঁদতে হয় একা একা,
দেখাতে হয় নারে বোকা। হয়েছতো যথেষ্ট বড়,
এবার ধৈর্য্য ধারণ কর।
যেতে আর হবে না বাইরে,
এসবের দরকার নাইরে। রান্নাবাণ্ণা নিয়েই থাক পড়াশোনা? সে যায় যাক।
ও হ্যাঁ বুঝেছি! বুঝেছি তোর কাজ! ওসব রেখে তুই খই, মুড়ি ভাঁজ। রাত জাগার নেই কোনো কারণ, তোকে শুনতেই হবে সকল বারণ।
মোটা হচ্ছিস, ডায়েট কর পছন্দ তোকে করবে বর। লেখাপড়া অনেক হলো
ওসবকে এখন বিদায় বলো।
কনের সাজে শ্বশুর বাড়ি মাজতে হবে কড়াই হাড়ি। মেয়েটা তোমার হচ্ছে বড়
ওকেও একটু শাসন করো।
তুমি ছিলে বেয়াড়া যেমন মেয়েটাও তোমার হচ্ছে তেমন! এত পেয়েও তোমার সাধ মেটেনি! কার কপালে এত জোটে শুনি? মেয়েটাকে তুমি দেবে না বিয়ে? সুখী হবে না নাতিদের নিয়ে? বয়সতো আর কম হলো না
স্বামীর কথা কি শুনতে মানা? পিন্টুর মেয়ে থেকে রিমার মা
হয়েছ এখন রিণুর ঠাকুমা!
তিনকাল গিয়েতো এককালে ঠেকলো বুদ্ধির পরিবর্তনটা কি আদৌ হলো?

সম্পর্কিত পোস্ট

নির্বাক_পাখি

নির্বাক_পাখি

হে কবি,      শক্ত করে ধরো,       তোমার অস্ত্র। আবারো,      তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে,      রক্তে রঞ্জিত করে দাও,      এই শুভ্র ময়দান। হে কবি,     শক্ত করে ধরো,     তোমার অস্ত্র। যেভাবে,     কবি নজরুল ধরেছিল,      ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে,    কবি সুকান্ত চেয়েছিল,  ...

তুলসী বনের বাঘ

তুলসী বনের বাঘ --আল-মুনতাসির। চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! ছদ্মবেশে ছড়িয়ে দিলো বিষম বিষের নাগ। ইচ্ছে করে কামড় খেলে, ভরলে হৃদয় বিষের নীলে কী করে আর দেখবে প্রিয় কৃষ্ণচুড়ার বাগ ? চিনলে নাকো তাকে সে যে তুলসী বনের বাঘ ! চোখে তোমার বিষের তেজে পর্দা এলো নেমে, জগত...

ভালোবাসা রং বদলায়

: ভালোবাসা রং বদলায় লেখা: অদ্রিতা জান্নাত ছোট মেয়েটা খুব করে কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করেছিল আমি যেন একটি হলেও তার কাছ থেকে ফুল কিনে নেই, ঠিক যতবার আমি তাকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলাম সে যেন ঠিক ততটাই আমার পিছু ছুটতে লাগল। আচ্ছা, এই যে শিশুটা যে কিছু টাকার বিনিময়ে আমাকে...

৪ Comments

  1. আরাফাত তন্ময়

    ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি ঠিকমত। গদ্য কবিতা হিসেবে দারুণ হয়েছে। আর কবিতার ক্ষেত্রে লাইনের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার। শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  2. আফরোজা আক্তার ইতি

    খুবই সুন্দর লিখেছেন। একবারে বাস্তবতার চিত্র ফুটে উঠেছে। অনেকেই মেয়েদেরকে ছোট নজরে দেখে, এসব কথা বলে সকল সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করে। তাদের ধারণা শুধু মেয়েরা এসব করার জন্যই জন্মেছে।
    ছন্দমিল আর ধারাবাহিকতা ঠিকই ছিল। তবে আপনি স্পেসের ব্যবহার সঠিকভাবে করতে পারেন নি বলে, ধারাবাহিকতা এলোমেলো রয়েছে।
    রান্নাবান্না হবে।
    হাড়ি- হাঁড়ি।

    Reply
  3. Halima tus sadia

    অসাধারণ কবিতা মেয়েদের নিয়ে।
    পড়ে ভালো লাগলো।
    অনেক পরিবারেই বিয়ের পরে মেয়েদের স্বাধীনভাবে চলতে দেয় না,পড়তে দেয় না।তাদের কথামতো চলতে হয়।বাসায় রান্নাবান্না করতে হয়।এটা খারাপ না।তবে মেয়ে বলেই যে সবকিছু থেকে বঞ্চিত হবে এটা ঠিক না।
    বাচ্চা হলে মায়ের মতো একটু চললে তাও বলে ফেলে।
    শুভ কামনা রইলো।

    Reply
  4. মাহফুজা সালওয়া

    খুব সুন্দর একটি থিম নিয়ে লিখেছেন।
    এভাবেই সমাজ – সভ্যতার বাঁকা কথা, বিদ্রুপ মেশানো হাসির কারনে কতো অনাচার যে হচ্ছে, তা হয়তো লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
    তবে,কবি ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেননি।
    শব্দচয়ন, শব্দগাঁথুনি মনমতো হয়নি।
    পরেরবার বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন ।
    চর্চা চালিয়ে যান,শুভকামনা রইলো।

    Reply

Leave a Reply to আরাফাত তন্ময় Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *