সাইয়িদ রফিকুল হক
বাইরে তোমার প্রদীপ জ্বলে ভিতরটাতে আঁধার,
বুকের ভিতর জমে আছে অনেক পাহাড় বাধার।
মিথ্যা-প্রেমের ছলনাতে তুমি সবার শীর্ষে!
বন্ধু তোমায় বলছি হেসে, মানুষ তুমি কীসে?
পরের ক্ষতি করছো তুমি জীবনভরে হেসে,
আবার তুমি দম্ভ কর কেমন বীরের বেশে!
মানুষ হওয়ার ইচ্ছা তোমার দেখছি নাতো বুকে,
লোকদেখানো নীতিকথা শুনছি শুধু মুখে।
মানুষ হলো সবচে দামি, মানুষ সবার সেরা,
মানবপ্রেমের কথা দিয়েই ধর্মপ্রাচীর ঘেরা।
তবুও তুমি হাঁটছো দেখি মানুষ-খুনের পথে!
কোন্ সাহসে উঠলে তুমি আজাজিলের রথে?
ভালোবাসার গোলাপ ফোটে সারা জাহান জুড়ে,
তবুও তুমি দেখলে না তা, এমন অলস-কুঁড়ে!
মনে তোমার বিরাট ব্যাধি তাইতে মানুষ-খুনী,
তোমার জ্বালায় তটস্থ আজ দেশজনতা-গুণী।
বুকের ভিতর হিংসা জমায় তুমি এখন ডাস্টবিন,
ময়লাখানার ময়লা খেয়ে মানুষ হয় কেউ কোনোদিন?
অহংকারের চাদর ছিঁড়ে মানুষ হতে হবে,
মরার পরও তখন তুমি কেমন বেঁচে রবে!
বাইরে তোমার আলোকরশ্মি ভিতরটাতে অন্ধকার,
লোকসমাজে সবাই জানে, তুমি মানুষ বদকার।
ভিতর-বাইরে আজকে থেকে হওরে সবাই মানুষ,
সত্যিকারের মানুষ হয়ে ছিন্ন কর ফানুস।
নকল মানুষ যাক না মিশে আবর্জনার ভাগাড়ে,
আসল মানুষ চাই যে এবার মানুষ-গুণের আকারে।
ভালোবাসার পৃথিবীতে মানুষ ভালোবাসি,
মানুষ হয়ে মানুষ-নামে সবাই একটু হাসি।
ভেজাল-ভিড়ে মধুর হাসি দেখছি নাতো তাই,
পৃথিবীটা স্বর্গ হবে আসল মানুষ চাই।
এসো সবাই, বিশ্ব গড়ি আসল মানুষ হয়ে,
একটু ভালো কেউ যদি হয় তাইতো গেলাম কয়ে।
(এখানে, কবি ইচ্ছাকৃতভাবে খুনী শব্দটিতে অধুনা প্রচলিত খুনি’র পরিবর্তে খুনী ব্যবহার করেছেন। এটিও শুদ্ধ।)
সাইয়িদ রফিকুল হক
০৪/০১/২০১৯
বর্তমানে আসল মানুষের বড়ই অভাব। চমৎকার কবিতা উপহার দিয়েছেন কবি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা। শুভকামনা।
মা শা আল্লাহ। মুগ্ধ হলাম কবিতাটি পড়ে। লেখনশৈলী, শব্দচয়ন, ছন্দমিল, উপস্থাপন সব মিলিয়ে চমৎকার ছিল কবিতাটি। আমি রীতিমতো আবৃত্তি করছিলাম।
প্রতিটি চরণ মনকে নাড়া দেওয়ার মতো ছিল। কবিতাটি পড়ে অনেকেরই বোধোদয় হবে। কবিকে ধন্যবাদ এতো চমৎকার একটি কবিতা উপহার দিয়ে পাঠককে তৃপ্ত করার জন্য।
বানানেও কোনো ভুল নেই।
অনেক শুভ কামনা।
আপনার ভালোলাগায় আনন্দিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা।
এমন ছান্দিক কবিতাই মনে মনে খুঁজছিলাম। আর এটি পড়তে যতটা না ভালো লেগেছে, এর কথাগুলোও বেশ গুরুত্ববহ ছিলো। এ সমাজে এখন মানুষ আছে, তবে সত্যিকারের মানুষের বড়ই অভাব। আর লেখক এ বিষয়টি অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
পৃথিবীটা তখনই স্বর্গ হতো যখন ভালো মানুষ থাকতো।
অসাধারণ লিখেছেন।
মনোমুগ্ধকর লেখা।
ছন্দেরও ধারাবাহিকতা রয়েছে।
খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি লাইনে তুলে ধরেছেন।
পাশে থাকায় কৃতজ্ঞ বোন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আর সঙ্গে রইলো শুভেচ্ছাসহ শুভকামনা।
বাধার-বাঁধার
কীসে-কিসে
কর-করো(যেহেতু তুমি বলেছে)
সবচে-সবচেয়ে
কোন্ -কোন
তাইতে-তাই তো (হয়তো আর নয়তো শব্দ বাদে তো আলাদা বসে)
কর-করো
তাইতো-তাই তো
বাহ্ বেশ লিখেছেন দেখছি। কবিতাটা মাঝে অন্ত্যমিল ঠিক রেখেছেন, যদিও ছন্দ তেমন নেই। তবে কবিতার একটা লাইনে ভুল আছে মনে হয়। নিচে দিচ্ছি
মানবপ্রেমের কথা দিয়েই ধর্মপ্রাচীর ঘেরা।
এই লাইনটা ভুল। কারণ মানবপ্রেমের কথা দিয়ে নয়, বরং মানব জাতির কল্যানের জন্য যা আছে তা দিয়েই ধর্মপ্রাচীর ঘেরা। বলতে গেলে কুরআন হলো সেই ধর্মপ্রাচীর গ্রন্থ। তবে ভালোই লিখেছেন আর বানানের দিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি। অনেক শুভ কামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সঙ্গে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
বাধার—শুদ্ধ বানান। এখানে, বাধার হবে। আপনার দেখানো “বাঁধার” ভুল।
কীসে—এখানে, কীসে হবে। শুদ্ধ।
কর—শুদ্ধ প্রয়োগ।
সবচে—কবিতায় “সবচে” একদম শুদ্ধ।
কোন্ —সাধারণ পাঠক ভুল করতে পারে তাই এখানে “হসন্ত” দেওয়া হয়েছে।
তাইতে—এখানে, তাইতে বলেছি। তাইতো নয়। আর তাইতে একদম শুদ্ধ।
কর—এটাও শুদ্ধ।
তাইতো—কবিতায় এভাবে লেখা একদম শুদ্ধ।
ধন্যবাদ।