নওমিতা সুপ্তি
একলা আমি পৃথিবীতে,
নেইতো আমার কেউ।
এ পৃথিবীর সবাই,
স্বার্থপর যেন!
জন্ম হয় যখন আমার,
জায়গা হয় ঝুড়িতে ময়লার।
যখন আমি কাঁদি ভয়ে,
কেউ এসে কোলে তোলে না মোরে!
কুকুরগুলো ছুটে এসে,
আমার কাপড় কাঁমড়িয়ে বসে।
দেখায় পৃথিবীটা আমায় শেষে,
কাঁদেনা কেউ আমায় দেখে!
ছিলাম অবহেলায়,
মানুষ থেকে কুকুরগুলো।
বড্ড বেশি ছিল ভালো,
আগলিয়ে আমায় রেখেছিল!
হঠাৎ একদিন কে যে এলো,
মন বলে তাহার কিছু ছিল।
কোলে তোলে বুকে নিলো,
আর বলল,”আজ থেকে সে নাকি মা আমার”!
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
তো আর না শব্দ আলাদা বসে। অনেক সুন্দর, সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন।
শুভ কামনা রইলো।
ছোট্ট একটা কবিতা হলেও বাস্তবতার বিশাল একটা দিক তুলে ধরেছেন। সব নবজাতকের ভাগ্য হয় না সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানোর। কারো তো এমনই নির্মম ভাগ্য হয় যে পৃথিবীতে এসেই স্থান হয় ময়লার ডাস্টবিনে। তবুও বাচ্চাটি ভাগ্যবান কারণ সে একজন অভিভাবক পেয়েছে।
সুন্দর লিখেছেন।
তোলে- তুলে।
সুন্দর কবিতা। কবিতাটা ছোট হলেও এর ভাবার্থ গভীর।
সন্তান জন্ম দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দেয় এর জন্য সমাজের কিছু নষ্ট ছেলে,মেয়েরা দায়ী।তাদের কু-কর্মের জন্য এভাবে সন্তানকে ফেলে দেয়।অনেক সময় কুকুর ছিড়ে খায়,মানুষ শুধু তাকিয়ে থাকে।
তবে শিশুটির ভাগ্য ভালো।
শুভ কামনা রইলো।
মাঝেমাঝে কবিতার মিল হারিয়ে যাচ্ছিলো। তবে এটাই বাস্তবতা।
বাস্তবতা বড়ই কঠিন। সমাজের কিছু কিছু মানুষ এখন পশুর থেকেও অধম হয়ে গেছে। তারা তাদের নিজ সন্তানকেও ফেলে দিতে দ্বিধাবোধ করে না।
কবিতায় ছন্দের সূর না থাকলেও কবিতাটি কখনো যেনো বাস্তব প্রতিচ্ছবি। এমন হজারো শিশু অপদস্থ হয়ে জন্ম নিচ্ছে রাস্তায়। তাদের আপন বলে কেউ থাকেনা। তারা কখনো মায়ের আদর পায়না। মায়ের আদর যেন তাদের কাছের পৃথিবীর সবছেয়ে দুর্লভ বস্তু।
এটা কবিতাও হয়নি, ছড়াও হয়নি।
বিভিন্ন জায়গায় ছড়ার ছন্দ চলে এসেছে। আবার অনেক জায়গায় ছন্দ নাই। বাক্যের মিলও নাই।
অনেক সুন্দর কবিতা।আপনি অনেক অনেক এগিয়ে যান।শুভকামনা♥
বরমান সময়ের একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে লেখা এই কবিতাটি খুব ভালো লেগেছে, খুব গভীর এর বিশয়বস্তু যা মনে দাগ কেটে যায়