আমি একা নই
প্রকাশিত: জানুয়ারী ১৪, ২০১৮
লেখকঃ vickycherry05

 2,977 বার দেখা হয়েছে

এই লেখক এর আরও লেখা পড়ুনঃ vickycherry05

লেখকঃ আব্দুল্লাহ আল ওয়াসিব
হারাগাছ,রংপুর
………………………

মাঝে মাঝে এই বটতলায় একা বসে থাকি। খুব ভালো লাগে আমাকে এখানে একা বসে সময় কাটাতে। তবে মাঝে বেশ কিছু দিন আসা হয় নি। আমার চলার পথে হোঁচট খায় মন। একবার,বারবার। মুখ থুবরে পড়ে। বহু কষ্টে নিজ চেষ্টায় উঠেও দাঁড়ায়। তারপরই কেন জানি মন ভাবে সে বড়ই একা। আজ পাশে কেউ থাকলে হয়ত উঠে দাঁড়াতে এত কষ্ট হত না। হঠাৎ করেই মন আবিষ্কার করে, সে প্রেমে পড়তে চায়। যে একটু হাসি মুখে কথা বলে তার হাসির প্রেমে পড়ে যায়। যে একটু সময় নিয়ে কথা শুনে তাকে মনে হয় কতই না আপন। নিজ অজান্তেই বলে ওঠে মন “ভালোবাসি”। ভালোবাসাও এগোয় হাতে হাত ধরে, একই সুরের গান শুনে। কোনো এক সময় হয়ত সে সুরটা কেটে যায়। হাতে হাত কমই রাখা হয়। একটা সময় চলার পথটা দুইভাগে ভাগ হয়ে বেঁকে যায় দুটি ভিন্ন দিকে। অতঃপর আবারও হোঁচট খায় মন। কোনো আশায় পাশে চেয়ে দেখে, হোঁচট খেয়ে পড়ার কালে আবারও সে একাই। কেউ “কেমন আছো? ” প্রশ্ন করলে কষ্ট গুলো চাপা দিয়ে হাসিমুখে বলেছি, “খারাপ ছিলাম কবে? ” ভুলে যাওয়া মানুষটটার ভুলতে না পারা স্মৃতিগুলো অবজ্ঞা করেই তো তাকে ভুলে থাকা যায়। মানুষ মরে গেলে পঁচে যায় আর বেঁচে থাকলে বদলতে যাবে এটাই বাস্তবতা। অনেক দিন পর শহর থেকে কিছুটা দূরে একা বসে আছি। তবে আজ তার কথা খুব মনে পড়ছে। কিন্তু সে যাবার আগে আমার কাছ থেকে আমার পুরো মনটাই নিয়ে গেছে। আর আমাকে করে গেছে একলা। তবে আমার ভাগ্যে ভনেক ভালো। এই মনটা একলা চলতে জানে। একলা হোঁচট খেয়ে আবার উঠে দাঁড়াতে জানে। তাই আমি আজ একা হয়েও একাই নই।

সম্পর্কিত পোস্ট

মা

মা

ইশু মণি বাহিরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে তাসবিহ্ ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ করে ঘরের এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে আছে।টিনের চালে বৃষ্টির ফোঁটা পড়ায় অনবরত শব্দ হচ্ছে, বাসার সাথে লাগানো পেয়ারা গাছটার বিশাল বড় ডালপালা গুলো চালের উপর চলে এসেছে বারবার সেগুলো বারি খাচ্ছে যার কারণে শব্দ...

শখের পাখি

শখের পাখি

লেখিকা-উম্মে কুলসুম সুবর্ণা এই তো সেদিন মেলা থেকে বাসার ছোট্ট ছেলেটা আমাকে কিনে এনেছিলো। তখন তো ছানা পাখি ছিলাম এখন বুড়ো হয়েছি। বাসায় মোট ছয়জন থাকে। আগে ভাবতাম দুই রুমের ক্ষুদ্র ফ্ল্যাট এ এত গুলো মানুষ কিভাবে থাকতে পারে। পরে বুঝলাম এই সব কিছু ছেলের বউয়ের চমৎকার। অনেক...

নীল কমলিনী

নীল কমলিনী

অনুগল্প: নীল কমলিনী লেখা: অনুষ্কা সাহা ঋতু . চন্দনের শেষ ফোঁটাটা দিয়েই মা ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন। ছোট বেলায় এমন কত সাজিয়েছেন আমাকে। তখন মুচকি মুচকি হাসতেন, আর আজ কাঁদছেন। মা টাও ভারি অদ্ভুত। আচ্ছা, তবে কি দুটো সাজের অর্থ ভিন্ন! কি জানি? . হঠাৎ শঙ্খ আর উলুধ্বনি ভেসে...

০ Comments

Submit a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *