সাব্বির আহমেদ বাবু
শিশির বিন্দু সমগ্রতায় আছে ছড়িয়ে
ধবল বক নেমে এসেছে কলমিলতার ঝোপে,
বিকেলের হলুদ আভায় ছিন্নভিন্ন কলমিলতার বক্ষ,
ভ্রুক্ষেপ করার মতো নেই কেউ; সন্তর্পণে শিশির বিন্দু মিশে গেল অতলে।
জলার কালচে শৈবাল ঢেউনৃত্যে ভেসে এলো কলমিলতার খুব কাছে,
বুঝেনি ধবল বক কেড়ে নিবে অনাগত ভ্রূণ
তীক্ষ্ণ নখের পরশে।
নিঃশেষে শৈবাল বুহ্য ভেঙ্গেচুরে ঠায় নিলো ধরনী বুকে।
শান্তির প্রতীক গায়ে মেখে ধবল বক
পেটপূজো শেষে আশ্রয় নিলো নারকেল বৃক্ষ মাঝে,
হৈ হৈ রই রই রবে মুখরিত সৃষ্টিকুল,
শান্তির বার্তায় বিরাজমান ধবল বক।
কলমিলতার দুঃখ গুলো শিশিরজলে মিশে যায়
একাকার হয়ে যায় কেউ দেখবার আগেই,
শৈবাল তার আপন বলয়ে ধীরে ধীরে
গড়ছে হারানো সাম্রাজ্য আবার আসবে বুকে আঁচড় দিতে ধবল বকে এই আশাতে।
হাজার বছর ধরে এই নিয়মে খেলা করে নিয়তি
চারিদিকে চিরদিন এই তো খেলা সৃষ্টি মাঝে,
তবুও তো দয়ার মাঝে আছে কিছু বেঁচে
হাজার বছর ধরে অন্ধকার রাত্তিরে মিশে।
স্নিগ্ধ কোমল পৃথিবী আলোড়িত পাতপতঙ্গ কোলাহলে,
শান্ত হতে হবে ব্রত নিয়ে নক্ষত্রপতির আরাধনা যে করে।
নগ্ন থামের উপর দাঁড়কাক কা কা জপে আপন সুরে,
সেই সুরে ঝরে পড়ে কত আক্ষেপ আর হারানো ব্যথার কথা।
অসাধারণ! শব্দচয়ন আর উপস্থাপন এক কথায় মনোমুগ্ধকর। অসম্ভব সুন্দর করে আপনি কবিতাটা উপস্থাপন করেছেন যেন সবকিছুই চোখের সামনে ভেসে উঠল। বানানে ভুল পাই নি।
অনেক শুভ কামনা জানাচ্ছি প্রতিযোগীকে।
চমৎকার লিখেছেন।
ছন্দেরও ধারাবাহিকতা রয়েছে।
তবে কবিতার মর্মার্থ অতোটা বুঝিনি।
বানানেও ভুল নেই।
অনেক শুভ কামনা রইলো।
ঠায়-ঠাঁয়
ধরনী-ধরণী
দুঃখ গুলো- দুঃখগুলো
বাহ্ বেশ চমৎকার লিখেছেন। কবিতার মাঝে অনেককিছু ফুটে উঠেছে। যেমন:ধবল বক কমলিতলার মাছ খেয়ে পেট বড়লো আর প্রকৃতির খেলা। তবে বানানে দিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।