লেখা : তানজিনা তানিয়া
.
ভালোবাসা কি দুঃসাধ্য কাজ রুপমদা?
ভালোবাসা তো কাঁটাতারের বেড়া নয় যে, তোমাকে এর কাছে এলে রক্তাক্ত হতে হবে।
ভালোবাসা তো মহাসাগর নয় যে, সাঁতার না জানলে ডুবতে হবে।
রুপমদা, অল্প অল্প করে কী অন্তর ছোঁয়া যায় না ?
শিশির কণাতেও নাকি দরিয়া হয়, তাহলে আমার ভিতরের ছোট ছোট আকুতিগুলো তোমার মনে ভালোবাসা জন্ম দেয় না কেন?
আমার বুকে তো অজানা হাহাকার খাঁ খাঁ করে উঠে।
যেন সূর্যের সবটুকু তাপে ঠাসা বুকের ভিতরটা।
তুমি কি একটুখানি ছুঁয়ে দিয়ে আমার চোখে সুখের জল এনে দিতে পারো না ?
রোজ রোজ ক্ষতবিক্ষত মনের প্রতিটি কোণায় কোণায় ছত্রাকের মতো জন্ম নেয় অভিমান।
ভালোবাসা আর অভিমানের কোলাহলে সৃষ্ট যন্ত্রণা কখনও অনুভব করেছ তুমি?
যে গোলাপ গাছটা নিজের অজান্তেই বুকের ভিতর রোপন করে দিয়েছ, সেটা থেকে রোজ রোজ ঝরে পড়ে ফুটন্ত গোলাপ।
তারপর ঝরা গোলাপ থেকে বিচ্যুত হয় তার কোমলমতি পাপড়িগুলো।
বাসী অভিমানের স্তুপে গড়ে উঠা ছত্রাকের মতো অসংখ্য ছত্রাকে ছেয়ে যায় সেই ফুলের পাপড়িগুলো।
সবকিছুর সমন্বয়ে বুকগহীনে ভাংচুর শুরু হয়, শুরু হয় তীব্র ব্যথা।
এমন বাজেভাবে নষ্ট হয় গোলাপের পাপড়িরা যে আমার ভীষণ কান্না পায়।
যে চোখে কাজল লেপ্টে হরিণী চোখের অধিকারিণী হয়েছিলাম,
সে চোখে ঝর্ণা তৈরি হয়েছে, প্রচন্ড বেগে পানি প্রবাহিত হয়।
প্রবল সেই স্রোতে বুকের পাহাড় ক্ষয়ে ক্ষয়ে নদী হয়।
সেই নদী সাগরে গিয়ে মিশে।
তারপর কেবল স্রোত আর জোয়ার।
একটুখানি ভাটার আশায় মনপাখিটা চাতক হয়ে উঠে।
না, ভাটার দেখা মিলে না। জোয়ারের পানিতে উপচে উঠে মনের আঙিনা।।
উপচানো সেই পানি চোখের সব কাজল ধুয়ে নিয়ে যায়।
আমি বেহায়া হই, শতশত মানুষের ভীড় ঠেলে আমি ছুটে যাই তোমার কাছে।
লোকে আমার নাম দেয় বেহায়া, কলঙ্কিনী।
আমি আশায় থাকি এই কলঙ্কিনীর সব কালো দাগ তুমি সিঁদুরের লালে ভরিয়ে দিবে।
সেকেন্ড, মিনিট তারপর ঘণ্টার কাঁটা ঘুরে যায় অবিরত।
দিন, মাস আর বছরও অতিবাহিত হয়।
আমি আমার সিঁথির কাছে তোমার হাতের অস্তিত্বটার অপেক্ষায় থাকি একটা সিঁদুর কৌটা সমেত।
না, আমার সিঁথি শূন্য থেকে যায়।
আবারও মনে প্রশ্ন জাগে, ভালোবাসা কি তবে সত্যিই দুঃসাধ্য কাজ?
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
“ভালোবাসা কি তবে সত্যিই দুঃসাধ্য কাজ?”
-:হ্যা,ভালোবাসা দুঃসাধ্য কাজ,যা সবার দ্বারা হয়না।
অসাধারণ লেগেছে কবিতাটি।শুভকামনা নিরন্তর
পাঠক বাকরূদ্ধ।
বাস্তবের সঙ্গে অসম্ভব সাদৃশ্য পেয়ে। ভাবনারখেই হারিয়ে ফেলছি বারবার এত বাস্তব কীভাবে হল?