লেখক: “rahman sarjil”
(ফেব্রুয়ারী’১৮)
……………
আমার আশেপাশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ বিত্তহীন,কেউ নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত,কেউ বা উচ্চবিত্ত শ্রেনীর। বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে রয়েছেঃ চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি,
খুদে ব্যবসায়ী, ফেরিওয়ালা, রিক্সা বা ভ্যান চালক, গাড়িচালক, মুটে-মজুর, উকিল, ডাক্তার, পুলিশ, শিক্ষক ইত্যাদি।’সুখ’ সম্পর্কে তাদের অনুভূতি পৃথক পৃথকভাবে জানতে চেয়েছিলাম। তাতে দেখা গেছে একেক জনের অনুভূতি একেক রকম। বেকারদের চাকরি দিয়ে শিল্পপতির সুখ, ব্যবসায়ের প্রসার ঘটলে ব্যবসায়ীর সুখ, মাস শেষে বেতন পেলে চাকরিজীবীরর সুখ। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত অধিকাংশইই চাকরিজীবী বা খুদে ব্যবসায়ী। বড় ব্যবসায়ী বা শিল্পপতির উচ্চবিত্তের মানুষ। তাদের বাড়ি-গাড়ির অভাব নেই। বছরে দুই-চারবার বিদেশে না গেলে তারা সুখ পায় না। অন্যদিকে নিম্নবিত্তরা বস্তি-বাড়িতে থাকে, কাজ শেষে গান গায় হৈ-হুল্লোড় করে, আরামে ঘুমায়। মুটেমজুর থেকে শুরু করে ড্রাইভার এরাও আনন্দ করে কাজ করে, খুশিতে ঘুমায়। সুখ খুজে বেড়ায় না। তাইতো তারা বলে সুখ দিয়ে কী করুম, কাম পাইলেই খুশি। ওর মধ্যেই আনন্দ। আর আনন্দ তো সুখ। মধ্যবিত্তরা খুব বেশি অনুভূতিপ্রবণ। সুখ দুঃখের আনুভূতি তাদেরই বেশি। তাদের সুখ দুঃখের পাল্লা প্রায় সমান্তরাল অর্থাৎ প্রায় সমান। আবার উকিল থেকে শুরু করে পুলিশের সুখের অনুভূতি বিচিত্র। তাদের জীবনে একের পর এক সমস্যা, রোগভোগ। বিত্ত বৈভবের প্রতি আগ্রহ তাদেরকে চিন্তামগ্ন রাখে। ফলে সুখের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আর যারা বিত্তহীন তারা আল্পতেই খুশি হয়ে যায়। আমার আশেপাশে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানষের সাথে আলাপ করে আমার মনে হয়েছে, যারা আল্পতেই তুষ্ট তারাই সুখের নাগাল পায়। তাই গলা ছেড়ে গান গাইতে পারে, প্রাণ খুলে হাসতে পারে, নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে।
০ Comments