লেখকঃ
Sajid Hasan Anil
……………
মানুষের জীবনের কত রং!!!
বাস্তবতার ঘোরপ্যাঁচ পথে চলতে গিয়ে কতই না খেলা খেলতে হয়। মনের বিরুদ্ধে কতই না ধূসর রঙে সাজাতে হয় জীবনের চাকচিক্যময় ক্যানভাসটা। ব্যস্ততম এই পথচলায় হাজারো অনুভূতিরা প্রতিনিয়ত চাপা পড়ে যায় কারণে অকারণে।
স্মৃতিগুলো কারারুদ্ধ করে রাখতে হয় ভাবনার অতি গভীরতম স্তরে। তবুও মাঝে মধ্যে তাদের অপ্রাণ চেষ্টা দমিয়ে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়ে।
স্মৃতিগুলোর মধ্যে আমার ভেতরটাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত দেয় স্কুলজীবনের সেই পুরোনো দিনগুলো। সেই কথা মস্তিস্কে প্রবেশ করা মাত্রই মনে হয় কতই না সুখের ছিল সেই সাদামাটা দিনগুলো।
সকালে ঘুম থেকে জাগা মাত্রই ঝটপট প্রস্তুতি নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হওয়া। বাসে ঝুলে অথবা ৫ টাকায় ট্যাম্পু বা লেগুনায় করে স্কুলের প্রধান ফটকটাতে পা রাখা মাত্রই শুরু যতসব পাগলামি দুষ্টুমি। দেরিতে ক্লাসে ঢুকলে স্যারের ‘সময় সচেতনতার’ ডায়লগ গুলো অথবা খুব তাড়াতাড়ি গিয়ে পছন্দমত বেঞ্চটায় নিজের ব্যাগের স্থানটা বুঝে নেওয়া।
রোল কলিং এর সময় অনুপস্থিত বন্ধুর কাছ থেকে একটা আইসক্রিম পাওয়ার আশায় বন্ধুর রোলে বিকৃত কণ্ঠে ‘Yes sir’ বলা।
H.W না করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে স্যার খাতাটা ভুলে বাসায় রেখে এসেছি অথবা স্যার গতরাতে ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না। কতসব শক্তিশালী অজুহাত!!!
প্রত্যকেটা বন্ধুর নামের সাথে একজন করে শঙ্খমালা। টয়লেটের দেয়াল ও ক্লাসের বেঞ্চগুলোর মধ্যে লেখা (T+O) (S+P) (I 1,4,3 u) সংকেতগুলোর মানে বোঝার ক্ষমতা।
প্রত্যেকতা স্যার ম্যাডামের এক একটা অর্থপূর্ন ছদ্মনাম যা শুধু আমাদেরই ছিল জানা। টিফিন পিরিয়ডে কিভাবে পেছনের গেইটটা দিয়ে পালানো যায়। দুইচার জন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করা পরেরদিন শাস্তির ভয়ে স্কুল না যাওয়া। পরিক্ষার খাতায় অভিভাবকের স্বাক্ষরের স্থানে নিজেই নিজের অভিভাবক হওয়ার সেই দাম্ভিকতা। শেষ পিরিয়ডে ঘন্টা বাজার অধীর অপেক্ষায় নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকা বা অন্য ক্লাসের ছুটিটা হলো দেখে মনে মনে কেরানিকে গালমন্দ করা। স্কুলশেষে শঙ্খমালাদের দেখে …………
পরীক্ষার আগের রাতে সাজেশন অর্থাৎ very very important প্রশ্নগুলো জানার আশায় শিক্ষকদের বিরক্ত করে তোলা পরীক্ষার হলে গিয়ে কে কাকে কীভাবে দেখাবে তা নিয়ে এক বিশাল পরিকল্পনা।
তাছাড়া ৫ টাকার সেই সিংগারা সমোচা,ঝালমুড়ি, চটপটি ফুচকা, আইস ললি, ১০ টাকা দামের সেই অরেঞ্জ জুসটা
আরো কতো কিছু !!! লিখে শেষ করা সম্ভব না।
তবে হ্যাঁ সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে সেই শেষ দিনটার কথা। সেই ঘাতক দিনটার কথা। সব আনন্দঘন মুহূর্তগুলো যে কেড়ে নিয়েছিল সবার কাছ থেকে। সেদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছুই বুঝতে পারিনি । ভেবেছিলাম এটা স্বাভাবিক কিন্তু সেদিন স্কুল শার্টটা খুলে ফেলার পড় থেকেই আস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছিলাম স্কুল লাইফ কী জিনিস।
স্মৃতিচারণের ইতিতে প্রতিবার একটি কথাই মনে হয় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর সফলতার নির্মাতা হতে পেরে ইটপাথরে গড়া সেই ভবনটা মনে হয় আজও বুকভরা গৌরব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
স্কুল জীবনের স্মৃতিগুলো ভুলে থাকা বেশ কষ্টকর।
School er din ses hoyeche besi din noy!! Kintu akhon e din gular kotha mone porle chokher pani amne amne boye roy..
R tmr ai chotto article er modde sei poro sriti charona ta peye gelam bhai!!!
Keep it up!! ????????
চোখে জল এসে গেল সেই দিনগুলোর কথা ভেবে
Scl life memory is always the best????????
লেখাটা ভালো ছিল আর পুরোনো সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিল☺☺☺
lakhata porey sei school jibon ar kotha mone pore gaylo.
খুবি সুন্দর।