লেখা : শামীমা আক্তার শানু
.
স্কুলের গন্ডি পেরোলে না তুমি
পেরলো না তোমার শৈশব,
হাত-পা বেঁধে পরালো মালা
সাথে বাঁধলো স্বপ্ন সব ।
.
হলো না তোমার স্বপ্ন পূরণ
হলো না আকাশ ছোঁয়া,
এক পলকে সব হলো ছাই
মিশে গেলো সব ধুলায় ।
.
নতুন বাড়ি,নতুন ঘর
নতুন যে সব মানুষ,
ভয়ে তুমি বাক্যহীনা
বোবা আর নিশ্চুপ ।
.
নেই সেই দূরন্তপনা,
নেই চঞ্চলতা মাঝে,
নেই সেই বাচালতা
তোমার হাবে ভাবে ।
.
সংসার জীবনে পা দিলে তুমি
হয়ে গেলে এক নারী ,
হাঁড়ি পাতিল খেলেছো তুমি ,
তখন বোঝনি সংসার কি?
.
ধীরে ধীরে তুমি পার করলে
সপ্তাহ,মাস,বছর,
হয়ে গেলে তুমি অদম্য
কষ্টে করে সবর।
.
তোমার গায়ে নেই এখন
সেই শৈশবের গন্ধ,
এসেছে এখন তোমার মাঝে
মাতৃত্বের গন্ধ ।
.
কোল জুড়ে আসলো তোমার
এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান,
তাকে নিয়েই তৈরি করেছিলে
স্বপ্নের এক মায়া জাল ।
.
লোকের মুখের হাজারো কথায়
কান না দিয়ে তুমি,
সংগ্রাম করেছো দিন রাত
তোমার সন্তানের লাগি ।
.
ধীরে ধীরে হলে তুমি
স্বীয় সংসারের ঢাল,
যে তুমি বোঝনি আগে
সংসারের হাল চাল ।
.
গাঁয়ের মেয়েরা বাসতো ভালো
ডাকতো সোনা মা বলি,
তুমি যে ছিলে তাদের
নয়নেরই মনি ।
.
তুমি করেছো তাদের মুক্ত
করেছো খাঁচা ছাড়া
দেখিয়েছো আলোর পথ,
দিয়েছো বাঁচার আশা।
.
শিক্ষায় আলোকিত তুমি
ছড়িয়ে দাও জ্ঞান,
তোমার জ্ঞানে হবে অজ্ঞ
দেশ সেরা বিদ্বান।
.
ছোট্ট খুকিটি আজ অনেক বড়
বিলেত ফেরা ডাক্তার,
মায়ের আদর্শ,মায়ের গর্ব
এই খুকিটি তার ।
.
গাঁয়ের হাসপাতালে আসে সে
বিনামূল্যে দেয় চিকিৎসা,
অসহায়ের মুখে হাসি ফোটাতে
প্রত্যহ তার অন্ন দেয়া।
.
মা জননী স্বার্থক তুমি
জীবন যুদ্ধের সংগ্রামে,
নিজের আশাটি পূর্ণ করেছো
নিজের মেয়ের মাধ্যমে ।
.
নারী তুমি পারো সবকিছু
সব বাঁধা ভাঙতে,
মা তুমিই পারো শুধু
সন্তানের মন বুঝতে ।
.
নিজ চামড়ার জুতা পরালেও
হবে না শোধ তোমার ঋণ,
হবেনা শোধ কোনদিনও
তোমার কষ্টে কাটানো দিন।
.
তোমায় জানাই হাজারো
অশ্রুভেজা সালাম,
তোমায় ভালবেসে মরতে চাই
ভালবাসা অবিরাম।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
প্রতিটা মেয়েরেই বিয়ের আগে কতো স্বপ্ন থাকে।জীবনে কিছু করবে।
কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হয় না।
তাই অনেক মেয়ে আছে বিয়ের পর নিজের মেয়েকে ডাক্তার বানায়,নিজের স্বপ্নগুলো পূরণ করে মেয়ের মাধ্যমে।
ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো।
সত্যিই নারীরাই পরিবারের মুল চালিকাশক্তি। খুব সুন্দর লিখেছেন, ,কবিতার ছন্দের দিকে একটু খেয়াল রাখবেন,,
আরেক্টু ভাবলেই মনে হয় লাইনগুলো ছন্দের মিলিয়ে সব লেখা যেত।ভালো হয়েছে। শুভ কামনা 🙂
খুবই সুন্দর হয়েছে। চিন্তাধারা অনেক সুন্দর। কবিতার মাঝে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। নারী সৃষ্টিকর্তার এমন এক সৃষ্টি, যা অমূল্য। আর মায়ের স্নেহের প্রতিদান নিজের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানালেও পূরণ হবে না সত্যিই। কিছু মেয়েদের স্বপ্ন তারা পূরণ করতে পারে না বলেই,সন্তানের দ্বারা পূরণ করে। কবিতায় ছন্দের মিল থাকলে পড়তে আরো ভালো লাগত। বানানে কোন ভুল নেই। আপনার কবিতা থেকে আমার মাথায় ছন্দ এসেছে।
হলো না তোমার স্বপ্ন পূরণ,
হল না আকাশ ছোঁয়া।
এক নিমিষে সব হল ছাই,
হয়ে গেল সব ধোঁয়া।
ছন্দ ছাড়া একটু মনে হচ্ছে,
ভালো, শুভকামনা
বেশ ভালো ছিল।, তবে আরেকটু ঘুচ্ছিয়ে লিখলে ভালো হতো
চমৎকার এক কবিতা।কবিতায় আলাদা একটা টান,অনুভূতি পেয়েছি।তাছাড়া ছন্দে,শব্দের মিলনো ভালো লেগেছে।
সব মায়েরাই সংগ্রামী নারী।তারা যেকোন কিছু করতে পারে।তাই মায়েদের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা,ভালোবাসা।
আমরা তাদের ঋণ কোনদিনো শোধ করতে পারবো না।
শুভকামনা রইলো।
কিছু ভুল,
গন্ডি___ গণ্ডি
পেরলো___ পেরুলে/পেরুলো
গেলো___ গেল
হাবে ভাবে___ হাব-ভাবে
সংসার কি___ কী
হবেনা___ হবে না
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটা দারুণ।
লেখনী খুব ভালো না হলেও মোটামুটিরকম।
.
সত্যি তো, একজন নারী অাস্তে অাস্তে অনেক ধাপ পার করে কারো বা বধূ, কখনো সন্তানের মা ইত্যাদির মর্যাদা লাভ করে।
মা তো মায়েই।
.
সবমিলে মোটামুটি ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।