লেখা: ফাইজা আক্তার সুবনা
পেট ভরেনা অঢেল ধনে, মনে ভরে না অল্পে,
যেখানে দেখে খামচে ধরে, আরও চাই টাকা ভাই!
এ যেনো পেশা, চোখে মুখে নেশা,
ধন হবে আকাশ সমান, বুকে রাখে অধিক আশা।
গরিব আবার মানুষ নাকি, লাথি তার পাওয়া,
ব্যথা নিয়ে সরে যাওয়া, এইটা বুঝি তার চাওয়া!
সমাজে তার আছে নাকি কিছু!
সম্মান বা ইজ্জত পাওনা!
হাতের খেলনা হয়ে হাত বদল, এতেই তার দিন যাওয়া।
কাপড় নেই, পেটে ভাত নেই, মহা জ্বালা তাদের সাঙ্গ,
রাতের স্বপ্ন, দিনের মরীচিকা, অবিরত হয় ভঙ্গ।
দিনের আলোয় আহার জুটে, রাতে তার খালি পাঠি হয় শুয়ার বিছানা!
এদেরই ধন করে চুরি, বড়লোকে গড়ে দামী গাড়ি বাড়ি,
শকুন এরা মুখোশ পরে, সমাজের নামিদামী মহাজন সাজে!
শিক্ষিত ভদ্র এরা নীতি কথা বলে বেরায় বেশি,
একের ভেতর সব লুঠে, সাধারণের গলায় ঝুলে ফাঁসির দঁড়ি!
আড়ালে এরা মেতে উঠে অট্টহাসির জোয়ারে,
দেয়ালের ওপারে বুক ফাটা স্বরে কাঁদে দুঃখি কোন এক দম্পতি!
তবুও এরা চায়, আরও চায় সকাল সন্ধ্যে সাজে,
গরিবের রক্তচোষে আকাশচুম্বী কোটিপতি!
পাঠি-পাটি
শুয়ার-শোবার/শোয়ার
বেরায়-বেড়ায়
সমাজে গরিবদের প্রতি আচরণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন আপু।ভাল হয়েছে। শুভ কামনা।
আমাদের সমাজে কিছু ধনী মানুষ আছে তাদের সম্পদের প্রতি নেশা থাকে।সম্প্দ থাকার পরেও আরও চায়।অল্পতে মন ভরে না।তাদের শুধু বড় হওয়ার ইচ্ছা।এটা যেনো পেশা হয়ে দাঁড়ায়।
আর গরীবদেরই সব জালা।তাদের পেটে সবসময় ভাত জুটে না।তাদের স্বপ্ন মরিচীকা মাত্র।
দিনের বেলায় খাবার জুটলেও রাতে আর জুটে না।
ধনীরা মুখোশ পরে সমাজে সম্মানী মানুষ তবে গরীবদের দুঃখ দুর্দশা আর দূর করে না।নিজেরা আরাম আয়েশ
করে চলে তবুও গরীবদের কষ্ট চোখে লাগে না।
ভরেনা—ভরে না
পাঠি–পাটি
বেরায়—বেড়ায়
ভালো লিখেছেন।চমৎকার কবিতা।
পড়ে ভালো লাগলো।
আপনি অনেক লাইনে বিস্ময়সূচক(!) চিহ্নটি বেশি ব্যবহার করেছেন।
সব জায়গায় এইটা হবে না।
মাঝে মধ্যে ছন্দের মিল নেই।
শুভ কামনা রইলো।
বাহ! খুব দারুণ একটি কবিতা। পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এটা পড়ে “বিড়াল” গল্পের একটি লাইন মনে পড়ল। “তেলা মাথায় তেল দেওয়া।” আমাদের সমাজে এখনো দুই শ্রেণির মানুষ আছে। একদল, যাদের অঢেল,হাজার সম্প্র থাকার পরেও তাদের আরাও সম্পদ চাই, এমনকি তারা গরীবের সম্পদ কেড়ে নিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। আরেক শ্রেণির মানুষ আছে দিন আনে দিন খায়,তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। বেশ ভালোভাবে তা কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ছন্দের মিল এবং শব্দচয়নও ভালো হয়েছে।
সাঙ্গ- সঙ্গ।
পাঠি- পাটি।
শুয়ার- শোয়ার।
বেরায়- বেড়ায়।
ভাল লিখেছেন সামনে আরো ভাল লিখার প্রত্যাশা রইলো। ☺ 🙂
বেশ কিছু ভুল অন্যান্য পাঠক/পাঠিকারা ধরিয়ে দিয়েছেন সামনে বানান এবং টাইপিং এ আরো সতর্ক থাকুন।
ভুল ধরিয়ে দিয়েছে প্রায় সব তাই আর বলছি না। তবে ধনীর যত সম্পদ থাকুক না কেন সে তো আরো চাইবেই এটাই স্বাভাবিক। এই জগতের রং খেলাই যে এইরকম। কবিতাটা বেশ ভালো ছিল, শুভ কামনা।
কিছু ভুল,
ভরেনা___ ভরে না
মনে___ মন
যেনো___ যেন
মহা জ্বালা___ মহাজ্বালা
দুঃখি___ দুঃখী
কোন___ কোনো
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটাও দারুণ।
লেখনীও বেশ সুন্দর।
.
সমাজে এমন লোকের অভাব নেই যারা অন্যকে শোষণ করে নিজে অঢেল সম্পদ গড়ে তোলে। এমন টপিকটা সুন্দর ফুটে উঠেছে।
.
সবমিলে সুন্দর।
শুভ কামনা রইলো।
মানুষ যত পায় তত চায়,এটাই তার স্বভাব।কিন্তু এই পাওয়াটা অন্যের অন্য কেড়ে নেওয়া।এই অমানুষেরা গরিবদের পেটে লাথি মেরে নিজেরা সম্পত্তির পাহাড় জমায়।
সব মানুষের মতো তাদেরও তো একদিন সাড়ে তিন হাত জমির নিচে থাকতে হবে।তাহলে এতো সম্পত্তি করে ফায়দা কি।
এমন মানুষদের জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি।
অনেক ভালো লিখেছেন।শুভকামনা রইলো।