লেখক:এস এম শাহাদত হোসেন।
.
.
হাটহাজারী উপজেলার ছোট্র একটি গ্রামে বাস করে মিলি। মেয়েটির বয়স বেশি হবে না ১৫/১৬ হবে। বন্ধুদের সাথে খেলা করা, স্কুলে যাওয়া, পড়া লেখা করা এই সব মিলিয়ে তার জীবন। এই বয়সে প্রতিটা ছেলে মেয়ে খেলতে পছন্দ করে ঠিক তেমনি মিলিও তাই পছন্দ করে। স্কুলের পর বুন্ধদের সাথে খেলা করা তার প্রতিদিনের রুটিন। তার এই আনন্দময়ী জীবন বেশ ভালোভাবেই খাটছিল। মিলির জীবনে তেমন কোন দুঃখ নেই। মিলির পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো না। মিলির বাবা কৃষি কাজ করে, আর মিলির মা বাড়িতে অন্যের জামা সেলাই করে। মিলির কোন ভাই নেই, তারা দুই বোন। মিলি হচ্ছে সবার বড়। তার ছোট বোনের বয়স বেশি হবে না, ৪/৫ বছর হবে।
.
মিলির জীবনটা যখন সম্পূর্ণ আনন্দের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনি তার বাবা এসে তার সব আনন্দ খেড়ে নিল। নষ্ট করে দিল একটি আনন্দের জীবন। একদিন মিলি তার বাড়ির পাশে খোলা মাঠে তার বন্ধুদের সাথে খেলা করছিল ঠিক তখনি তার বাবা এসে তাকে ডাক দিল। বাবার ডাক শুনে মিলি গেল তার বাবার কাছে। তার বাবা রফিকউদ্দিন মেয়ের হাত ধরে বললেন,
– চল মা আর খেলতে হবে না।
– বাবা কোথায় যাব?
অবাক হয়ে প্রশ্ন করল মিলি।
– বাসায়। আজকে কিছু মেহমান আসবে তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
– বাবা আর একটু খেলে যাই?
অনুরোধের কন্ঠে বলল মিলি।
– না মা আর খেলতে হবে না চল।
মিলি তার বাবার কথায় সম্মতি জানিয়ে হাঁটা দিল তার বাড়ির উদ্দেশ্যে।
.
বাড়িতে এসে দেখল কিছু মেহমান এসেছে। তাদের মধ্যে দুইটা ছেলে আর তিনটা মেয়ে, একটা বৃদ্ধ মহিলা। মিলির মা তাদের সাথে কথা বলছে। মিলিকে আর তার বাবাকে আসতে দেখে ছেলেগুলো দাঁড়িয়ে গেল। তাদের মধ্যে একজন ছেলে দাঁড়িয়ে মিলির বাবাকে সালাম দিল। মিলির বাবা সালাম নিয়ে বলল,
– বাবা আসতে কোন অসুবিধা হয় নি তো?
– না কোন অসুবিধা হয় নি।
কথাটা বলেই সবাই শব্দহীন হাসি দিল একটা। মিলি কিছু বুঝল না, সে বুঝল না কেন তারা এসেছে।
.
মিলিকে ঘরে নিয়ে গেল তার মা। ঘরে যেতেই মিলি তার মাকে জিজ্ঞেস করল।
– মা এরা কারা? আগে তো কোন দিন দেখে নি এদের?
– এরা এসেছে অন্য এলাকা থেকে তোকে দেখতে?
– আমাকে দেখতে..! কেন?
অবাক হয়ে প্রশ্ন করল মিলি।
– তোর বিয়ে ঠিক করেছে তোর বাবা।
আরও বেশি অবাক হয়ে গেল মিলি কথাটা শুনে।
– মা আমার কি বিয়ের বয়স হয়েছে?
– হ্যাঁ হয়েছে তো।
– মা, আমি বিয়ে করতে চাই না এখন…।
– কথাটা আমাকে না বলে তোর বাবাকে বল।
কথাটা যখন বলল ঠিক তখনি মিলির বাবার রুমে ঢুকল। রুমে ঢুকেই তিনি বললেন,
– কী হয়েছে?
মিলির মা বলল,
– তোমার মেয়ে না কী বিয়ে করতে চাই না।
রফিকউদ্দিন মিলির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
– কেন রে মা কী হয়েছে?
– বাবা এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে নিজের ক্ষতি হয়। আর আমি পড়ালেখা করতে চাই। আর বর্তমানে তো বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না।
রফিকউদ্দিন মেয়েকে একটা জায়গায় গিয়ে বসিয়ে বললেন,
– শুন মা, তুই লেখাপড়া করতে চাস করতে পারবি। তবে সেটা বিয়ের পর, আর বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না তো কী হয়েছে বয়স বাড়িয়ে কোড ম্যারিজ করিয়ে দিব। আর সব চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ছেলেটা অনেক ভালো, বিদেশে থাকে। তার সাথে বিয়ে হলে তুই সুখে থাকবি। তুই না করিস না মা।
বাবার কথা শুনে মিলি চুপ হয়ে গেল। রফিকউদ্দিন এমন ভাবে কথাগুলো বললেন মিলিকে। যে সে রাজি না হয়ে পারল না। মেয়ে কে চুপ থাকতে দেখে রফিকউদ্দিন বুঝে গেলেন তার মেয়ে এই বিয়েতে রাজি আছে। তার মুখে হাসি ফুঁটে উঠল। তিনি তার স্ত্রীকে বললেন,
– আমাদের মিলিকে তাদের পছন্দ হয়ছে। এবং সে আজকেই বিয়েটা করে ফেলতে চাই।
স্বামীর কথা শুনে তার মুখে হাসি ফুঁটে উঠল। তিনি বললেন,
– আলহামদুলিল্লাহ তাহলে তো ভালোই হল। তবে আজকাল বাল্যবিবাহ সবার প্রকাশ্য দেওয়া যায় না তার জন্য বয়স বাড়াতে হয়। আর বিয়ে যদি আজকে হয় তাহলে বয়স বাড়ানো যাবে না। কোডে গিয়ে দিয়ে দিবে?
স্ত্রীর কথা শুনে রফিকউদ্দিন কিছুক্ষণ ভাবলেন। কিছুক্ষণ পর বললেন,
– হুমম সেটাই করতে হবে। আমি তাদের বলি কথাটা কি বল?
– হুমম বল।
রফিকউদ্দিন তাদের গিয়ে বললেন কথাটা। সবাই রাজি হল রফিকউদ্দিনের কথায়।
.
সেদিন রাতে সবার অলক্ষ্য মিলির বিয়ে দিয়ে দিল রফিকউদ্দিন। বিয়েটা কোড ম্যারিজ হওয়াতে কোন জামেলা হল না।
.
বিয়ের পর কিছু দিন মিলি শ্বশুর বাড়িতে বেশ সুখে ছিল। সমস্যা হল কিছুদিন পর। কিছুদিন পর যখন মিলির স্বামী বিদেশে চলে গেল তখন থেকেই তার ননদরা আর তার শাশুড়ি তার উপর কঠিন অত্যচার শুরু করে দেই। এটা ওটা নিয়ে সারা দিন কথা শুনাই মিলিকে। মিলি এসব সহ্য করতে পারে না রাত হলে সে নীরবে কান্না করে। কথা ছিল বিয়ের পর তাকে পড়তে দেওয়া হবে, কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর পড়তে বসতে তো দূরের কথা ঠিক মতো একটু আরমও করতে পারে না। সারা দিন তাকে দিয়ে নানান কাজ করাই। সব কাজ মিলি পারে না, কাজে একটু ভুল হলেই মিলির ননদরা তাকে বলে,
– বিয়ের আগে সব কাজ শিখে আসতে পারিস নি? আমার ভাইয়ের সব সম্পত্তি ভোগ করার জন্যই তুই এখানে এসেছিস তাই না? আমার সহজ সরল ভাইটাকে তুই আর তোর মা বাবা মিলে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিজেদের করে নিয়েছিস সম্পত্তি ভোগ করার জন্য তাই না? ভেবেছিস বিয়ে হলেই সব সম্পত্তি পেয়ে যাবি, কিন্তু পাবি না, একটা টাকাও তুই পাবি না।
কথার জবাবে মিলি কিছুই বলে না। সব ননদরা তার বড়, মিলি একটা বললে তার দশটা বলে। তাই মিলি আর কিছু বলে না চুপ করে শুনতে তাকে আর চোখ থেকে জল ফেলে। মিলি তার বাবাকে কথাগুলো বলার সাহস পাই না। কেননা সে জানে কথাগুলো তার বাবা শুনলে খুব কষ্ট পাবে সে জন্য সে বলে না। চুপচাপ সব অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে।
.
একদিন কাজ করতে করতে মিলি মাথা ঘুরে পড়ে গেল। কিন্তু কেউ তার দিকে ফিরেও তাকাল না। যখন তার হুস হল সে উঠে গিয়ে তার বিছানায় শুয়ে পড়ল। পরে জানতে পারে সে গর্ভবতী। কথাটা স্বামীকে বলতেই সে খুশি হয়ে গেল, খুশি হয়ে দেশে আসার জন্য অস্থির হয়ে গেল। মিলি গর্ভবতী কথাটা শুনে তার ননদরা খুশি হল না। সবাই মিলির উপর অত্যাচারটা আরও বাড়িয়ে দিল যাতে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়, কিন্তু শত অত্যাচারের পরও সে বাড়ি ছেড়ে গেল না। এভাবে চলতে চলতে মিলির ডেলিভারির সময় হয়ে এল।
.
একদিন সে কলসিতে করে পানি আনছিল। উঠানের মাঝখানে আনতেই সে মাথা ঘুরে পড়ে গেল। সবাই তাকে ধরে রুমে নিয়ে গেল। তার অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গেছে, এত খারাপ অবস্থাতেও তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হল না, বাড়িতে একটা বৃদ্ধাকে ডেকে আনলেন। মিলির বাবা মা কে খবরটা দেওয়া হয়েছে, খবরটা শুনেই তারা চলে আসলেন মিলির শ্বশুর বাড়িতে।
.
মিলির অবস্থা আগের চাইতে আরও খারপ হতে লাগল। এটা দেখে যে বৃদ্ধাকে নিয়ে আসা হয়েছিল সেই বৃদ্ধাটি বললেন,
– মেয়ের অবস্থা অনেক খারাপ, তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভালো হবে।
কথাটা শুনে সবাই হাসপাতালের দিকে নিয়ে গেল মিলিকে। হাসপাতালে পৌঁছে তাড়াতাড়ি তাকে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হল।
.
বেশ কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বিষণ্ণ মুখ নিয়ে বের হয়ে এলেন রুম থেকে। ডাক্তার বের হতেই সবাই তার কাছে ছুটে গেলেন। সবাই যেতেই ডাক্তার বললেন,
– আপনারা অনেক বেশি দেরী করে ফেলছেন, আরও আগে নিয়ে আসা উচিত ছিল আপনাদের। আর এত একটা ছোট মেয়েকে বিয়ে দেওয়া আপনাদের ঠিক হয় নি। মেয়েটা ছোট অবস্থাই গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার জীবনটা তো বাঁচানো গেল না, সাথে বাচ্চাকেও বাঁচানো গেল না। আর মেয়েটাকে দেখে বুঝা যাচ্ছে গর্ভবতী অবস্থায় ভালো করে তার সেবা করা হয় নি, তাই তার জীবনটা আরও বেশি ঝু্ঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল।
ডাক্তারের কথা শুনে মিলির বাবা মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। আর মিলির শ্বশুর বাড়ির লোকেরা কান্নার অভিনয় করতে লাগল যাতে কেউ বুঝতে না পারে তারা মিলিকে অত্যাচার করেছে সেটা।
.
মিলির মা বাবা মেয়ের নিস্তব্ধ দেহ জড়িয়ে ধরে কান্না করে যাচ্ছেন। মিলির বাবা রফিকউদ্দিন বুঝতে পারছেন তিনি কত বড় একটা ভুল করেছেন। এই ভুলের পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর এবং দুঃখের হবে তা তিনি জানতেন না, যদি জানতেন তাহলে এমন ভুল করতেন না। একটা ভুলের জন্য আজ তিনি তার আদরের মেয়েকে হারিয়ে ফেললেন। নিজের প্রতি তার প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে। কীভাবে পারলেন তিনি? কেন মেয়ের বিয়ে দেওয়ার আগে সবার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিলেন না? অনেক কষ্ট হচ্ছে তার।
.
.
এভাবেই হাজারো মিলির জীবন চলে যাচ্ছে বাবা মায়ের, পরিবারের একটা ভুলের জন্য। বাল্যবিবাহের আইন আছে, কিন্তু সেই আইন কেউ মানে না, সবাই ঠিকই কোড ম্যারিজ অথবা বয়স বাড়িয়ে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এই সকল বাবা মায়ের মন মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া দরকার তা না হলে এভাবে মিলির মতো অনেক মেয়ের জীবন চলে যাবে, হারিয়ে যাবে অনেক মেয়ের স্বপ্ন।
.
.
>>>>সমাপ্ত<<<<
পূনর্জন্ম
জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...
ভালো লিখেছেন।
বাল্য বিবাহের জন্য কঠোর আইন করলে ও আজকাল এসব অনেক বাবা মা মানে না।
অাইন অমান্য করেই বিয়ে দিয়ে দেয়।
তাইতো পরবর্তিতে এই ভুলের মাশুল দিতে।অল্প বয়সেই একটা জীবন ঝরে যায়।
নিরবে সয়ে যায় শ্বশুড় বাড়ির অত্যাচার।
প্রথমে বাবা মাকে সচেতন হতে হবে।
গল্পের মেসেজটা খুব ভালো ছিল।
পরে বুঝলে ও কিছু করার নাই।
বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
খাটছিল-কাটছিল
খেড়ে–কেড়ে
কন্ঠে–কণ্ঠে
আরমও–আরামও
খারপ–খারাপ
দেরী–দেরি
জামেলা—ঝামেলা
অত্যচার—অত্যাচার
পারিস নি—পারিসনি(নি মূল শব্দের সাথে বসে)
হয় নি–হয়নি
শ্বশুর–শ্বশুড়
কথা শুনাই মিলিকে—–কথা শোনায় মিলিকে।
মিলির বাবার রুমে ডুকল—মিলির বাবা রুমে ডুকল।
নানান কাজ করাই–নানান কাজ (করায়)
হবে।
মিলি একটা বললে তার দশটা বলে—তার হবে না, (তারা) হবে।
কথাগুলো বলার সাহস পাইনা—(পায় না) হবে।
শুভ কামনা রইলো।
সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। গল্পে বেশকিছু বানান ভুল আছে। আশা করি এসব ভুল সংশোধন করে নিবেন।
গল্পের মূল বার্তাটা অনেক সুন্দর। আমাদের দেশের অনেক মেয়েই বাল্যবিবাহের জন্য নানারকম সমস্যার শিকার হচ্ছে, এমনকি জীবনহানিও হচ্ছে। এই গল্প থেকে অনেকেই বুঝতে পারবে, বাল্যবিবাহের ভয়াভ পরিণতি।
বানানে প্রচুর ভুল আছে, বানানের প্রতি সচেতন হবেন।
ছোট্র- ছোট্ট।
বুন্ধদের- বন্ধুদের।
আনন্দময়ী জীবন হবে না, আনন্দময় জীবন হবে।
খাটছিল- কাটছিল।
খেড়ে- কেড়ে।
কোড ম্যারিজ- কোর্ট ম্যারিজ।
ফুঁটে- ফুটে।
জামেলা- ঝামেলা।
আরমও- আরামও।
খারপ- খারাপ।
গল্পের মূল বার্তাটা অনেক সুন্দর। আমাদের দেশের অনেক মেয়েই বাল্যবিবাহের জন্য নানারকম সমস্যার শিকার হচ্ছে, এমনকি জীবনহানিও হচ্ছে। এই গল্প থেকে অনেকেই বুঝতে পারবে, বাল্যবিবাহের ভয়াবহ পরিণতি।
বানানে প্রচুর ভুল আছে, বানানের প্রতি সচেতন হবেন।
ছোট্র- ছোট্ট।
বুন্ধদের- বন্ধুদের।
আনন্দময়ী জীবন হবে না, আনন্দময় জীবন হবে।
খাটছিল- কাটছিল।
খেড়ে- কেড়ে।
কোড ম্যারিজ- কোর্ট ম্যারিজ।
ফুঁটে- ফুটে।
জামেলা- ঝামেলা।
আরমও- আরামও।
খারপ- খারাপ।
ছোট্র- ছোট্ট
কোড – কোর্ট
সে আজকে বিয়ে করতে চাই – চায় হবে।
জামেলা- ঝামেলা
অত্যাচার শুরু করে দেই – দেয় হবে
শুনাই -শোনায়
করাই -করায়।
পাই -পায়
ই আর য় এর ব্যবহারে সমস্যা আছে,ঠিক করে নিবেন 🙂
ম্যাসেজটা ভাল।শুভ কামনা । 🙂
সবাইকে ধন্যবাদ গল্পের ভুল গুলো দেখিয়ে দেওয়া জন্য। সামনে থেকে চেষ্টা করব কোন ভুল ছাড়া গল্প লিখতে, ধন্যবাদ গল্প সম্পর্কিত মন্তব্য করার জন্য।
বুন্ধদের-বন্ধুদের
হয় নি-হয়নি(দুইটা একসাথে দিলে ভালো হয়)
জামেলা-ঝামেলা
দেরী-দেরি
লেখাটা বেশ ভালো ছিল আর শিক্ষামূলক বটেই। সমাজে এইরকম ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে, আর বানানের দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
বুন্ধদের-বন্ধুদের
হয় নি-হয়নি(দুইটা একসাথে দিলে ভালো হয়)
জামেলা-ঝামেলা
দেরী-দেরি
লেখাটা বেশ ভালো ছিল আর শিক্ষামূলক বটেই। সমাজে এইরকম ঘটনা প্রায়ই হচ্ছে, আর বানানের দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
ভুলগুলো দেখে নেই,
ছোট্র___ ছোট্ট
ছেলে মেয়ে___ ছেলে-মেয়ে
খাটছিল___কাটছিল
খেড়ে___ কেড়ে
কন্ঠে___ কণ্ঠে
হয় নি___ হয়নি
কোন দিন___ কোনদিন
দেখে নি___ দেখেনি
.
বিয়ে করতে চাই না___ চায় না
.
কোড____ কোর্ট
এমন ভাবে___এমনভাবে
মেয়ে কে___ মেয়েকে
.
সে আজকেই বিয়েটা করে ফেলতে চাই।___ চায়
.
অলক্ষ্য___ অলক্ষ্যে
জামেলা___ ঝামেলা
কিছু দিন___ কিছুদিন
.
অত্যচার শুরু করে দেই। __ দেয়
.
সারা দিন ___ সারাদিন
নীরবে___ নিরবে
করাই___ করায়
পারিস নি___ পারিসনি
প্রচন্ড___ প্রচণ্ড
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্ট নিয়ে আমার কথা হচ্ছে, এমন গল্পের কাহিনী বিটিভি খুললেই দেখতে পাবেন।
মাঝখানে একটু বাদে সবকিছুই মিল আছে। গল্পের নাম দেখে আর শুরু কাহিনী দেখে বুঝা যাচ্ছিল শেষটা কী হতে চলেছে।
সুতরাং কমন প্লট হলেও অানকমন কিছু রাখা বাঞ্চনীয়।
তবে লেখার ধারাবাহিতা অাছে।
শুভ কামনা।
আমাদের দেশে বাল্যবিবাহ আইনত অপরাধ।তবে সেই আইন কাগজে কলমে রয়ে গেছে।যার জন্য এরকম হাজারো মিলি অঝোরেই হারিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইনি নিয়ম আরো শক্ত ও জোড়ালো করা দরকার।আমাদের হতে হবে আরো সচেতন।
সরকার পাঠ্য বইয়ের পিছনে একটি হটলাইন নাম্বার দিয়েছে(টুল ফ্রি ২৪ ঘণ্টা)।সেখানে কল দিলেই সরকারি লোক আসে তদন্তের জন্য।এরকম ঘটনা ঘটতে দেখলে আমরাও একটি ফোনকলের মাধ্যমে এরকম একজন মিলির প্রাণ বাঁচাতে পারি।
বানানে কিছু ভুল আছে।ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ