ফাতেমা কাউছার
মেয়েটির জন্মতিথিতে শুভ সংখ্যা
ছিল একশত আট,
একশত রকমের অমনিশা কাটিয়ে
শুল্কপক্ষের অষ্টমতম দিনে জন্ম তার।
শুভসংখ্যার ভিত ধরে
একশত আট জন কাঙালি ভোজ,
একশত আটটি মোমবাতি দান
আর তার জন্য একশত আটটি জামা,
একশত আট রকম খেলনা।
মেয়েটিও দেখতে তেমন বই কি
মুখ চোখ গোল গাল,
ঠোঁট দুটো লাল লাল।
জন্মের একশত আটতম মাসে
মেয়েটির চাওয়া ছিল
একশত আটটি রঙিন মােমবাতি,
মোমবাতিগুলো খুব যতনে আস্তে আস্তে
বিগলিত হয় আর মেয়েটি বড় হয়
হাজারো একশত আটটি চোখ ধাধানো
রঙিন স্বপ্ন নিয়ে।
তার পরের একশত আটতম মাসে
মেয়েটির সামনে উঁকি দেয়
আরো একটি শুল্কতিথি।
একশত আটটি বেলুন,একশত আটটি
নীল পদ্ম,একশত আটটি চিরকুট
আর শত একশত আটটি রঙিন স্বপ্ন।
একশত আট রকমের ফানুস উড়িয়ে
প্রথম দেখার একশত আটতম দিনে,
মেয়েটির পরিণয় একশত আটটি
নীল পদ্ম এনে দেওয়া সুদর্শনের সনে।
তারপর…….
পার্কস্ট্রিটের ১০৮ নাম্বার বাড়িটাতে
তাদের পরিণয়ের একশত আটটি দিন
পার হয়ে গেল।
আমরা খবর রাখিনি খুব একটা,
হয়ত কেটেছে নব বর বধুর খুনসুঁটিতে,
একশত আট রকমের আবিরের রঙে
হয়ত তারা সহস্রতম পথ পাড়ি
দেওয়ার স্বপ্ন বুনছে।
অতঃপর…………..
একদিন খুব ভোর হঠাৎ
এক,দুই, তির, চার করে করে…
একশত আটটি বেলুন ফুটানোর শব্দ-
আর একদিন ভোরে দেখতে পেলাম গনগনে ধোঁয়া,
বুঝতে ভুল হল না
পুড়ছে একটি একটি করে সযতনে
বইয়ের ভাঁজে গুঁজে রাখা
মেয়েটির একশত আটটি নীল চিরকুট।
নীল যে তার প্রিয় ছিল খুব।
আরেকদিন দেখলাম একশক আটটি
শুকনো নীলপদ্ম ভাসছে ড্রেনের জলে।
আমরা বিহ্বল শুভ-অশোভের টালবাহানায় ;
পেলব মেয়েটি চুপসে গেল নিমিষেই
চোখ মুখে ফুটে উঠল একশত আট রকমের বিষাদ।
চাওয়াটা অবশ্য নেহাত খুব বেশি ছিল না
সুদর্শনের,
একশত আট রকমের উপহার আর
বিয়েতে একশত আট রকমের খাবার…
তারপর;আরও একশত আটটি দিন
গত হয়ে গেল,
একদিন ভোরে হঠাৎ সব চুপচাপ,
১০৮ নাম্বার বাড়িটা হুট করে সুনসান-
আমরা উঁকি দিলাম কৌতুহলে,
হঠাৎ দেখলাম একশত আটটি রক্তগঙ্গা বয়ে গেছে
একশত আটটি দিকে।
আমরা আরো এগুলোম ধীরে ধীরে,
অজানা আশংকায়
রক্ত হিম হয়ে এল
শুভ লগ্নে জন্মানো মেয়েটি
জন্মান্তরে হারিয়ে গেল নিঃশব্দে, আর
শরীরে করে এঁকে নিয়ে গেল
একশত আটটি কাটা দাগের চিহ্ন,
হয়ত বিধাতার জন্য উপহার।
আর হা গতরাতটি ছিল
কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম রাত।
আরেকদিন দেখলাম একশক – একশত (সম্ভবত টাইপিং মিস্টেক)
পেলব মেয়েটি – পেলব বলতে কী বুঝিয়েছেন? এমন শব্দ থাকলেও জানা নেই আমার। বুঝিয়ে দেবেন আশা করি।
আর হা – হ্যাঁ
সুন্দর লিখেছেন।
প্রাধান্য এসেছে একশত আট।
ছন্দপতন হয়েছে।
সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
শুভ কামনা রইল।
এত সুন্দর সমালোচনার জন্য অশেষ অশেষ কৃতজ্ঞতা। পরেরবার থেকে বানানের দিকে আরো গভীরভাবে দৃষ্টি দিব। আর পেলব বলতে বুঝিয়েছি উৎচ্ছলতাকে।
কে এম আখলাক, এটি ছন্দ কবিতা নয়। কেন বারবার গুলিয়ে ফেলেন? লেখককে বিব্রত করবেন না আশা করি। এমন করে সেরা পাঠক হওয়া যায় না।
সুন্দর একটি কবিতা। পড়ে আমার একশত আটবার হাততালি দিতে ইচ্ছা করছে। মেয়েটির জন্ম থেকেই একশত আট নম্বরটি শুভ ছিল কিন্তু শেষে এই সংখ্যাটিই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। তার ভাগ্যে ভালো কিছু ঘটার আগেই সেটি অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়।
সুন্দর আর আনকমন থিম ছিল। তবে কিছুটা জায়গায় একঘেয়েমি লেগেছে। ছন্দপতন হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। বানানের কিছু ভুল সংশোধন করে দিচ্ছি।
ধাধানো- ধাঁধানো।
বর বধুর- বর-বধুর (হাইফেন হবে।)
শুভ-অশোভের- শুভ-অশুভর।
হা- হ্যাঁ।
অনেক শুভ কামনা রইল।
অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সুন্দর একটি প্রাণবন্ত কবিতা। অনেক ভালো লাগলো। তবে প্রিয় লেখিকা ‘তম’ সাধারণত দশের পরের ক্রমগুলোতে ব্যবহৃত হয়। অনেক বড় ভুল ছিল “অষ্টমতম”।
শুভ কামনা রইলো।
অনেক কৃতজ্ঞতা ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য
সুন্দর একটি কবিতা।
কবিতার থিমটাই ভিন্ন।পড়ে ভালো লাগলো।
শব্দচয়নও বেশ সুন্দর।
মেয়েটির জন্মতিথিতে শুভ সংখ্যাটি ছিলো একশত আট।
সবকিছুি একশত আট নিয়ে বেস সুন্দরভাবে গঠিত হচ্ছে।হঠাৎ করে একশত আটটি,একশত আট দিকে চলে গেল।
বানানেও তেমন ভুল নেই
অশোভে–অশুভ
ধাধানো–ধাঁধাঁনো
শুভ কামনা রইলো।
খুব সুন্দর একটি কবিতা,ভিন্নরকম স্বাদ পেলাম।
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা কবির প্রতি।
বানানে অল্পকিছু ভূল আছে,শোধরে নেবেন।