লেখা: তাসনিম নিশাত
হয়ত অনেক আগেই বদলে যেত পৃথিবীর মানচিত্র
হয়ত ভুলের ধারাপাতের রাত্রিগুলোয়
পৃথিবী থাকত অদ্ভুত দুরত্বের ব্যবধানে।
কিন্তু, রংমাখা কাদামাটির জমাট অশ্রু নিয়ে হাজির হল অবুঝ মানব
নিষেধাজ্ঞা ভুলে অপরিচিত মুদ্রার জলে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল।
হে প্রভু, ক্ষমা করো! সেই থেকে শুরু হল আদম সন্তানের প্রেমলিপ্সার মৃত আনন্দ!
অবিশ্বাসের দুর্গম পথে কতিপয় নিষেধের বিরুদ্ধে চলল অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই।
হয়ত অনেক আগেই নক্ষত্রের পতন হত মহাশূন্যর বিপুল অন্ধকারে
হয়ত আকাশের পূর্বে প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্মারকলিপি সাতশতক্রোশ দূরের অবস্থানে থাকত ভুল পরিস্ফুটনের ভয়ে।
কিন্তু, চোখের জলের বিনিময়ে শুরু হল দ্বীতিয় জীবন
অফুরন্ত অক্সিজেনের প্রাণবন্ত সবুজের গালিচায় প্রাণ ফিরে পেল অবুঝ মানব।
সৃষ্টিকর্তা, বড়ই রহস্যময়!
শতাব্দীর দুরত্ব পারায়ে যুগল শালিখের মৃতদেহ নিয়ে উঠানে দুঃখবিলাসের আয়োজন!
অপার শূন্যতায় পুরনো অরণ্যে অস্তিত্বকে আবার খুঁজে পাওয়া
আদিম বৃক্ষের সবুজ প্রাণে।
হয়ত অনেক আগেই সূর্যের গতিপথ পরিবর্তিত হতো
হয়ত বিষাদের নীল আভায় অশ্রুবিলাশ থাকত জিজ্ঞাসাচিহ্নের উর্ধ্বে।
মৃত্যুর আটপৌড়ে শাড়ির আঁচল টেনে ছদ্মবেশী চিত্রশিল্পীর অদ্ভুত জলরঙের জীবন্ত যৌবন উদিত হলো।
অবাক আঁধারের রঙমাখা স্পর্শে হঠাৎ করেই নষ্ট ঘড়ির কাঁটা বিশ্রামহীন হয়ে যায়!
হতাশার ধূসরতায় যদিওবা অবাস্তব পৃথিবীর অস্তিত্ব বাঁচানো
শুধু মহাকালের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত বড্ড ফাঁকা শূন্যতায় ভরা চিৎকার ভেসে আসে
কারণ;
পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই আমরা ছিলাম মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী!
খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।পৃথিবীতে আসার আগেই আমরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী। জীবন কতটা কঠিন এটা না জন্মালে কেউই বুঝতো না। যদিও এটা গদ্য কবিতার মতই, তবে ছন্দের মিল থাকলে আরো ভালো লাগতো। বানানের কিছু ভুল সংশোধন করে দিচ্ছি।
দুরত্বের- দূরত্বের।
সাতশতক্রোশ- সাতশত ক্রোশ।
দ্বীতিয়- দ্বিতীয়।
শালিখের- শালিকের।
অশ্রুবিলাশ- অশ্রুবিলাস।
দ্বিতীয়,পেরিয়ে, শালিকের, উল্লেখ্য শব্দগুলো বিকৃত রুপ আছে আপনার কবিতায়। ভালো লিখেছেন।
খুব সুন্দর একটি কবিতা।ভাবার্থ অনেক গভীর।
পড়ে ভালো লগলো।
গদ্যে ছন্দে রচিত।তাই হয়তে লাইনগুলোর তেমন ভালো নেই।সৃষ্টিকর্তা বড়ই রহস্যময়।
শেষের লাইনটা ভালো লেগেছে।
বানানে ভুল আছে
দ্বীতিয়-দ্বিতীয়
জিজ্ঞাসাচিহ্নের–জিজ্ঞাসা চিহ্নের
দুরত্ব–দূরত্ব
সাতশতক্রোশ–সাতশত ক্রোশ
অশ্রুবিলাশ–অশ্রুবিলাস
পারায়ে–পেরিয়ে
দুর–দূর
শুভ কামনা।
হয়তো ভালো পাঠক নই।তাই কবিতার ভাবার্থ ভালোভাবে বুঝিনি।তবে যেটুকু বুঝেছি কবিতায় কবির প্রকাশের গভীরতা অনেক।ভালো লেগেছে।
কিন্তু চোখের জলের বিনিময়ে শুরু হলো দ্বিতীয় জীবন।দারুণ একটা বাক্য।আমাদের ভুলগুলো শোধরানোর এ এক উপায়।
কবিতার এক জায়গায় দুঃখবিলাস আর এক জায়গায় অশ্রুবিলাশ লিখেছেন।আরো কিছু ভুল আছে।
#ধন্যবাদ
বেশ লিখেছেন।
তবে কয়েকটা জায়গায় বানানে ভুল পেয়েছিলাম যা অন্যান্য পাঠকরা তুলে ধরেছেন। তাই আর একটু সতর্ক হয়ে টাইপ করুন।
হয়ত-হয়তো
রাত্রিগুলোয়-রাত্রিগুলোর
দুরত্বের- দূরত্বের।
পারায়ে-পেরিয়ে
সাতশতক্রোশ- সাতশত ক্রোশ।
দ্বীতিয়- দ্বিতীয়।
শালিখের- শালিকের।
অশ্রুবিলাশ- অশ্রুবিলাস।
বেশ ভালো ছিল , আদমের আগমন আর তাদের জীবন রচিতা ভেবে লেখা হয়েছে, শুভ কামনা
কয়েকটি ভুল,
হয়ত___ হয়তো
মহাশূন্যর___ মহাশূন্যের
দ্বীতিয়___ দ্বিতীয়
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত____ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটাও দারুণ ছিলো।
লেখার মধ্যে অন্যরকম রস অাছে।
.
সবমিলে পরিপূর্ণ কবিতা মনে হলো।
খুব ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো।