নিয়তি
মোঃ সোয়াইব হোসেন
নুন আনতে পান্তা ফুরায় এরকম একটা পরিবার রহিম মিয়ার। তার পরিবারের একমাএ সম্বল অমি। তাকে নিয়ে তাদের অনেক আশা, অনেক স্বপ্ন। একদিন তাদের সব কষ্ট গুজে দিবে অমি।
অমির ঘুম ভাঙ্গে প্রতিবেশীদের ডাকে। কেউ বলে অমি দেকত মোবাইলটার কি হয়েছে, কেউ বলে অমি বাজারে যাবি, কেউ বলে অমি একটু এদিকে আয় আমার কাজটা করে দিয়ে যা। নিজের কাজ রেখে অন্যর কাজ করতেই যেন তার সুখ।
গ্রাম থেকে ইন্টার পাশ করে ঢাকায় যায় উচ্চ শিক্ষার জন্য। ছোট্ট একটি ঘর নেয় থাকার জন্য। ঘরে একটি দরজা,একটি জানালা,ছোট্ট একটি পড়ার টেবিল। এক প্রকার কোণঠাসা হয়ে থাকে ঘরে। কেনই বা না, তার বাবার তো আর অনেক টাকা নেই। তাই সে এটাই হাসি মুখে মেনে নিয়েছে। একটি কলেজে অনার্স এ ভর্তি হয় অমি। পড়ার ফাঁকে ফাঁকে সে টিউশনি করে, এতে করে তার পড়ার খরচ হয়ে যায়।
একদিন সে কলেজে যায়, হঠাৎ সে দেখল তার সামনে দিয়ে একটি মেয়ে হেটে যাচ্ছে। সে অবাক চোখে দেখল, এটা কি মেয়ে নাকি ডানাহীন পরী! সে ফেলফেল করে তাকিয়ে আছে। সে এরকম সুন্দর মেয়ে আগে কখনো দেখে নি।
সে প্রতেক দিন একই স্থানে দাড়িয়ে থাকে তাকে শুধু একটি বার দেখার জন্য। মেয়েটি তা লক্ষ্য করে। একদিন মেয়েটি বলল তুমি কি আমাকে কিছু বলতে চাও? অমি ঘাবড়ে যায় এবং তোতলাতে তোতলাতে বলল, না মানে তুমি এত সুন্দর কেনো? মেয়েটি বলল আমার চেয়েও অনেক সুন্দর মেয়ে আছে। অমি বলল বটে,কিন্তু আমার কাছে তুমি অনেক সুন্দর। তোমার নাম কি? অমি প্রশ্ন করল।মেয়েটি বলল চাঁদনি। তাদের মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে, এক পর্যায় তারা দুজন ভাল বন্ধু হয়।
চাঁদনি ধনীর দুলালী মেয়ে। অমি চাঁদনি কে ভালবাসতে লাগল, কিন্তু চাঁদনি ধনীর মেয়ে তাই ভয়ে একথা চাঁদনি কে বলত না ।
অমি অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করত, এবং সেই টাকা দিয়ে গিফট কিনে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদনিকে দিতো। চাঁদনি ও তা বুঝতে পারত এবং একদিন সে অমিকে বলল “তুমি কি আমাকে ভালবাসো?” অমির মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পরল। সে ভয়ে ভয়ে মাথা দিয়ে না সূচক ইশারা করল। চাঁদনি বলল তুমি কি আমাকে ভালবাসতে পারো না।(আবেগী কন্ঠে)। অমি বলল তুমি কোথায় আর আমি কোথায়। এটা কি করে সম্ভব। চাঁদনি তাকে নির্ভয় দেয়, অমি কিছুসময় পর রাজি হয়। এভাবে চলতে থাকে তাদের প্রেম।
কিন্তু গরীবের ভাগ্যে কি সুখ সয়। চাঁদনির বাবা তাদের সম্পর্কের কথা যেনে যায়। সে অতি দ্রুত এক বড় ব্যবসায়ীর সাথে চাঁদনির বিয়ে ঠিক করে। একথা শুনে অমি চাঁদনির বাবার কাছে যায়। কোন স্বস্তি তো পেলই না বরং হয়ে আসল অপমান, অপদস্থ। চাঁদনির বাবা অমির সাথে চাঁদনির সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসছে অমি কি করবে বুঝতে পারছে না। চাঁদনির মায়া যেন তাকে পিছু টানছে। সে সিদ্ধান্ত নেয় আবার চাঁদনিদের বাড়ী যাবে। অবশেষে সে বিয়ের দিন চাঁদনিদের বাড়ী যায়। কিন্তু চাঁদনির দেখা পায় নি, পেয়েছে শত আঘাতের মার। রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে যায়। সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামে চলে যাবে। কিন্তু বাবা মার স্বপ্ন কি হবে? এভাবেই কী ভেঙ্গে যাবে? সে নিজেকে শক্ত করতে এবং সব কিছু ভুলে যেতে চেষ্টা করে, একসময় সব ভুলে যায়। অমির পড়াশুনা শেষ হয়। সে একটি ভাল চাকরি পায়। বাড়ী-গাড়ী সব হয় অমির। অমি তার বাবা মাকে শহরে তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। অমির বাবা মা অমিকে একটি ভাল মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়। খুব সুখে অমির দিন কাটতে লাগল।
একদিন অমি অফিস থেকে ফেরার সময় দেখল রাস্তার পাশে মানুষ জটলা হয়ে কি যেন দেখছে। অমি অবাক হয়ে দেখার জন্য এগিয়ে আসল,আর যা দেখল এতে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। এতো সে তার চির পরিচিত চাঁদনি,তার এ অবস্তা কেনো?ছেড়া কাপড়,শরীরে-মুখে দাঁগ। শুকিয়ে মরামরা অবস্তা একজন পাগল। সে লোকদেন মুখে শুনতে পেলো এই অবস্তার কারন, চাঁদনির স্বামী অবৈধ ব্যবসা করত এবং সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। চাঁদনির বাবা ব্যাংক ঋন পরিশোধ করতে না পারায় বাড়ী ঘর নিলামে উঠে যায়। এতে করে তার বাবা নিস্ব হয়ে যায়। চাঁদনির স্বামী ছিল মাদকে আসক্ত।নেশার জন্য তার স্বামী তাকে তার বাবার কাছ থেকে প্রায় টাকা আনতে বলত। অনেক বার টাকা এনেও দিয়েছে। পরে আর আনবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়, যার ফলে তার স্বামী তাকে বন্ধুদের কাছে বিলিয়ে দিতো কিছু টাকার বিনিময়। এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায় চাঁদনি পাগল হয়ে যায় এবং সকলে জানতে পারে তার এইডস হয়েছে। এর পর থেকে সে রাস্তায়। তাকে আর কেউ ভালবাসে না। অমি চাঁদনিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। আর ভাবে এটাই কী তাদের নিয়তি!!!
[বি.দ্র. নিয়তির লিখন না যায় খন্ডন]
একমাএ-একমাত্র
দেকত-দেখত
অমি দেখত মোবাইলটা কি হয়েছে? এইখানে কমা হবে না, প্রশ্নবোধক চিহ্ন হবে।
হেটে-হেঁটে
দেখে নি-দেখেনি
দাড়িয়ে-দাঁড়িয়ে
কেনো-কেন
ভাল-ভালো
দিতো-দিত
যেনে-জেনে
শুনে-শোনে
বাড়ী-বাড়ি
পায় নি-পায়নি
গাড়ী-গাড়ি
বাড়ীতে-বাড়িতে
এতো-এত (কিংবা এটা তো)
লোকদেন -লোকজনের
কারন-কারণ
গল্পটা খুবই কষ্টের ছিল, পড়েও অনেক ভালো লেগেছে। আবার সমাজের বাস্তব চিত্রও বলা যায়। অমি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে শিক্ষণীয় গল্প, তবে বানানে ভুলের মাত্রা বেশি। শুভ কামনা রইল।
গল্পটা যেন খুব পরিচিত গল্প। বানান ভুল ছিল অনেক। আরেকটু ডিটেইলস লিখলে সুন্দর হত বোধহয়।
অসাধারণ লিখেছেন।
বর্ণনাভঙ্গি ভালো ছিলো।
পড়ে ভালো লাগলো।
প্রতিযোগিতার গল্প আরেকটু বড় করতে পারতেন।
আর বানানে প্রচুর ভুল।
বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
শুভ কামনা রইলো।
আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রসঙ্গে কিছু কথা :
লেখনী আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন। কাঁচা হাতের লেখা মনে হলো। গল্পে মাধুর্যতার অভাব রয়েছে। বানানেও বেশ ভুল। নিচে ভুলগুলো লক্ষণীয় :
কি/কী এর ব্যবহারে সমস্যা রয়েছে।
একমাএ – একমাত্র
গুজে – ঘুচে
দেকতে – দেখত
হেটে – হেঁটে
দেখে নি – দেখেনি
প্রতেক – প্রত্যেক
দাড়িয়ে – দাঁড়িয়ে
এত – এতো
কেনো – কেন
চাঁদনি কে – চাঁদনিকে
একথা – এই কথা
চাঁদনি ও তা – চাঁদনিও তা
কোন – কোনো
পায় নি – পায়নি
অবস্তা – অবস্থা
কারন – কারণ
নিস্ব – নিঃস্ব
সম্পর্কের কথা যেনে যায় – সম্পর্কের কথা জেনে যায়
আগামীতে খেয়াল রেখে লিখবেন আশা করি ভালো হবে। শুভ কামনা।